বর্ষায় কাঠের আসবাব ভালো রাখার সহজ ৫ উপায়

বর্ষা মৌসুমে আসবাবের বাড়তি যত্ন দরকার।
বর্ষা মৌসুমে আসবাবের বাড়তি যত্ন দরকার।

বর্ষা মানেই একটু বাড়তি যত্ন দরকার। বর্ষায় নানা রোগব্যাধি থেকে নিজেকে সুরক্ষার জন্য যেমন বাড়তি যত্ন দরকার, তেমনি ঘরের আসবাব সুরক্ষিত রাখতেও প্রয়োজন সঠিক যত্ন। অযত্ন ও অবহেলায় কাঠের আসবাবপত্র খুব দ্রুত মলিন ও নষ্ট হয়ে যায়। প্রকৃতির ধুলা-ময়লা বৃষ্টি এসে পরিষ্কার করে দিয়ে গেলেও ভেজা আবহাওয়ার কারণে শখের কাঠের আসবাব নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষজ্ঞরা তাই বর্ষার মৌসুমে আসবাব না কেনার ও স্থানান্তর না করার পরামর্শ দেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে বর্ষায় আসবাব সুরক্ষিত রাখার কয়েকটি উপায় বলা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে আসবাব যত্নে রাখার পাঁচটি কৌশল সম্পর্কে জেনে নিন:

আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন: ঘরের দেয়াল থেকে আর্দ্রতা টানার একটা প্রবণতা থাকে আসবাবের। কাঠের ক্ষেত্রে তা বেশি। তাই দেয়াল থেকে কম পক্ষে ছয় ইঞ্চি দূরে আসবাব রাখুন। বৃষ্টি পড়া বন্ধ হলে সব জানালা খোলা রাখুন। এতে ঘরে আলো-বাতাস ঢুকবে এবং ঘর আর্দ্রতামুক্ত থাকবে। যেসব সোফা মোটা ও শক্ত কাপড় দিয়ে ঢাকা থাকে, এগুলো সুযোগ পেলে রোদে দিতে হবে। যেন ময়লা আর পোকামাকড় ঘরবসতি না করতে পারে।

ন্যাপথলিন ব্যবহার: কর্পূর বা ন্যাপথলিন আর্দ্রতা শোষণ করতে খুব ভালো কাজ করে। এগুলো কাপড় ভালো রাখতে এবং কাঠের ওয়ার্ডরোব বা আলমারি পোকামাকড় ও অন্যান্য কীট থেকে রক্ষা করে। আরও প্রাকৃতিক কিছু ব্যবহার করতে চাইলে নিমপাতা বা এলাচি ব্যবহার করতে পারেন। আসবাব পানিতে ভিজে গেলে তা শুকাতে কখনোই কড়া রোদে দেবেন না। এতে রং হালকা হয়ে যায়, ফাটলও ধরে।

হিউমিডিফায়ার ব্যবহার: তাপমাত্রা ঠিক রাখতে ও স্যাঁতসেঁতে ভাব দূর করতে ‘হিউমিডিফায়ারস’ খুব ভালো কাজ করে। ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে আসবাবও দীর্ঘস্থায়ী হবে। প্রয়োজনে আসবাব জানালা-দরজার কাছ থেকে সরিয়ে রাখা যেতে পারে। যেন বৃষ্টির পানি এসবের গায়ে না লাগে।

ভেজা কাপড় এড়িয়ে চলুন: আসবাব পরিষ্কার করতে ভেজা কাপড় বা তোয়ালে ব্যবহার করবেন না। শুকনা ও পরিষ্কার কাপড় দিয়ে কাঠের আসবাব মুছতে হবে। নিয়মিত আসবাব পরিষ্কার করলে বর্ষায় কাঠের আসবাবে ময়লা আটকানোর প্রবণতা কমবে। যেকোনো আসবাবই সব সময় পানি থেকে দূরে রাখুন। এমনকি হাতে পানি লেগে থাকা অবস্থায় কোনো আসবাব হাত দিয়ে ধরা উচিত না।

বার্নিশ ব্যবহার: কাঠের আসবাব ভালো রাখতে মানভেদে বছরে দু-একবার বার্নিশ বা লিকারের প্রলেপ দিন। এতে কাঠের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যাবে। ফোলাভাব দূর হয়ে কাঠ ভালো থাকবে। যেকোনো ধরনের বোর্ডের ফার্নিচার, যেমন পারটেক্সের তৈরি আসবাবপত্র তৈরির সময়ই বোর্ডের কাটা অংশে ভালো করে পুটিং লাগিয়ে নিতে হবে। এতে বাতাস বা পানি জমে ফুলে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।