বাড়িতে বসে ধূমপান করছেন?

অভিভাবক বা অন্যদের ধূমপানের কারণে পরোক্ষভাবে শিশুরা বড় হয়ে ফুসফুসের ক্যানসারসহ আরও নানা রোগের ঝুঁকির মধ্যে থাকে। অধূমপায়ী মা-বাবার সন্তানদের তুলনায় সপ্তাহে অন্তত ১০ ঘণ্টা মা-বাবার পরোক্ষ ধূমপানের শিকার শিশুদের পরবর্তী জীবনে ফুসফুসের রোগ হওয়ার ঝুঁকি ৪২ শতাংশ বেশি, স্ট্রোকের ঝুঁকি ২৩ শতাংশ এবং হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি ২৭ শতাংশ বেশি।

তামাকের ধোঁয়ায় অন্তত ৬০ রকমের ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান আছে। ধূমপায়ী ব্যক্তির বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়ায় অন্য ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়াকে পরোক্ষ ধূমপান বলে। এটা দুইভাবে হতে পারে। প্রথমত, বিড়ি-সিগারেটের নির্গত ধোঁয়া পাশের মানুষের নাক দিয়ে প্রবেশ করে, দ্বিতীয়ত, ধূমপায়ীর প্রশ্বাসের বেরিয়ে আসা ধোঁয়া। আপনি হয়তো জানেন না, বাড়িতে মাত্র ৩০ মিনিট কারও সামনে ধূমপান করলে তা ওই মানুষটির হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলার জন্য যথেষ্ট। গবেষণা বলছে, বাড়িতে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে হৃদ্‌রোগ ও ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি ২৫ শতাংশ বেড়ে যায়। কর্মস্থলে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে অন্যদের হৃদ্‌রোগ ও ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি বাড়ে প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ।

দেশে এখনো পথঘাটে, যানবাহনে, অফিস-আদালতে ও মার্কেটে অনেককে প্রকাশ্যেই ধূমপান করতে দেখা যায়। এমনটি দেখলে প্রতিবাদ করার অধিকার আপনার-আমার সবারই আছে। কেননা আমরা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়ছি। মনে রাখবেন, এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আর বাইরে ধূমপান নিষেধ বলে অনেকেই এখন বাড়িতে বসে ধূমপান করেন। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি, আপনার বাড়ির সদস্য, বিশেষ করে শিশুদের জন্য কত বড় বিপদ আপনি নিজেই ডেকে আনছেন? তাই বাড়িতে কি বাইরে, সব জায়গায়ই ধূমপান বর্জন করুন। নিজেকে ও নিজের সন্তানদের নিরাপদ রাখুন।