>বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ডিফেন্ডার তপু বর্মণ। দক্ষিণ এশিয়ার ‘বিশ্বকাপ’ খ্যাত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে টানা তিন ম্যাচে করেছেন তিন গোল। ২০১৫ সালে কেরালায় ভুটানের সঙ্গে প্রথমটি। বাকি দুটি এবার ঢাকায় ভুটান ও পাকিস্তানের সঙ্গে। তাঁর বাবা দয়াল বর্মণ একজন মাছ ব্যবসায়ী। আজ থাকছে বাবা-ছেলের পছন্দ-অপছন্দের কথা।
১. প্রিয় খাবার?
তপু: খিচুড়ি আর ইলিশ মাছ ভাজার তুলনা হয় না। মুরগির মাংসের ঝোলও ভালো লাগে।
বাবা: ছোট থেকেই ভাত-মাছ। এটা ছাড়া চলা যায় না।
২. কোথায় ঘুরতে পছন্দ?
তপু: খেলার জন্য দেশে-দেশে যাওয়া হয়। কিন্তু সেভাবে প্রিয় কোনো জায়গা নেই। অবসর থাকলে নারায়ণগঞ্জের বাসায় গিয়ে থাকতে ভালোবাসি।
বাবা: ঘোরাঘুরি তেমন হয় না। এখন পরিবার-সংসার নিয়েই জীবন কাটে। তবে নারায়ণগঞ্জ শহরে সময় কাটাতে ভালো লাগে।
৩. প্রিয় সিনেমা?
তপু: টাইটানিক। মনে হয় না জীবনে কখনো এই ছবির কথা ভুলতে পারব।
বাবা: সত্তর-আশির দলকে বাংলা ছবিগুলোর কথা ভোলা যায় না। অবুঝ মন, নীল আকাশেরর নিচে, ময়নামতি...এমন অনেক ছবিই প্রিয়।
৪. প্রিয় গায়ক?
তপু: সনু নিগম।
বাবা: লতা মুঙ্গেশকর।
৫. প্রিয় অভিনয় শিল্পী?
তপু: সালমান খান ও রণবীর কাপুর।
বাবা: রাজ্জাক-শাবানার কোনো তুলনা হয় না।
৬. প্রিং রং?
তপু: কালো বেশি পছন্দ। এরপর নীল।
বাবা: হলুদ ও কালো।
৭. কখন রাগ হয়?
তপু: কেউ কথা না রাখলে নিজেকে সামলাতে পারি না। চাই মানুষ সব সময়ই কথা দিয়ে কথা রাখুক।
বাবা: সংসার করতে গেলে অনেক সময়ই রাগ-অভিমান হয়। তবে কেউ মিথ্যা কথা বললে রাগ বেড়ে যায়।
৮. প্রিয় খেলা?
তপু: ফুটবল। এটা ছাড়া যেন জীবনই অচল।
বাবা: অবশ্যই ফুটবল। আমাদের প্রাণের খেলা।
৯. প্রিয় ফুটবলার?
তপু: রক্ষণে খেলি আমি, সেন্টার ব্যাক। সে হিসেবে এবার বিশ্বকাপে ফ্রান্সের ডিফেন্ডার ভেরোনকে খুব ভালো লেগেছে। আর ফরোয়ার্ডের কথা যদি বলি, অবশ্যই মেসি। বাবার পছন্দের ঠিক উল্টো।
বাবা: দেশে আমার ছেলে তপু বর্মণ। নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় গিয়ে ওর খেলা দেখি। বিদেশে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পাঁড় ভক্ত আমি। ওর খেলা মানে আমার দেখা চাই-ই চাই।
সাক্ষাৎকার: মাসুদ আলম