যেভাবে ৬ মাসে নিজেকে বদলাবেন

প্রতিদিন হালকা দৌড়ালে সারা দিন ভালো লাগবে। ছবি: অধুনা
প্রতিদিন হালকা দৌড়ালে সারা দিন ভালো লাগবে। ছবি: অধুনা

হুট করেই কি নিজেকে বদলে ফেলা যায়? সকালে ঘুম ভেঙেই কি নিজেকে বদলে ফেলতে পারবেন? নিজেকে ইতিবাচক উপায়ে পরিবর্তন করতে হলে নিজেকে সময় দিতে হবে, নিজেকে নিয়ে ভাবতে হবে। মনে মনে যদি পরিবর্তন চান, তাহলে কখনই নিজেকে বদলে ফেলা যাবে না। একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শক মেহেদী মাহবুব বলেন, ‘জীবনে যদি অভ্যাসগত কিংবা আচরণগত পরিবর্তন আনতে চান, তাহলে আমাদের কাগজ-কলম নিয়ে বসতে হবে। কাগজ-কলমে লক্ষ্য লিখে এরপর সময় দিয়ে নিজেকে বদলাতে হবে। একটু সময় নিয়ে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়ালেই কিন্তু জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।’ তরুণ পেশাজীবীদের দক্ষতা নিয়ে কাজ করা মানবসম্পদ বিশেষজ্ঞ মেহেদী মাহবুব নিজেকে ছয় মাসে পরিবর্তনের জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দিচ্ছেন।

যা পরিবর্তন করতে চান তা নির্ধারণ করুন: মনে করুন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে আপনি প্রতিদিন সকালে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠবেন। তাহলে একটি কাগজে তা লিখে প্রতিদিন চোখে পড়ে এমন জায়গায় সাঁটিয়ে রাখুন। এভাবে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। হুট করেই কাল সকালেই আপনি ভোরে ঘুম থেকে উঠতে পারবেন না। আর উঠলেও পরশু দিন আবার ওঠার আগ্রহও চলে যেতে পারে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে কী কী করবেন, তা ঠিক করুন। হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। পত্রিকায় চোখ বোলানোর অভ্যাস করতে পারেন। সন্তানকে নিয়ে স্কুলে যেতে পারেন। সকালের সময়টাতে লেখালেখির কাজও করতে পরেন।

সারা দিন গুছিয়ে নিন: জীবনের একটি বিষয়ে ইতিবাচক পরিবতন আনতে চাইলে আপনার পুরো দিনকেই সেভাবে সাজাতে হবে। আপনি হয়তো সকালে ঘুম থেকে ওঠেন কিন্তু সারা দিন কোনো রকমেই হাঁটাচলা না করে পার করে দেন। এমনটা করবেন না, একটি পরিপূর্ণ পরিকল্পনা গ্রহণ করুন।

ইতিবাচক মনের মানুষদের খুঁজে বের করুন: একা একা নিজেকে পরিবর্তন করা বেশ কঠিন একটি কাজ। সমমনা মনের মানুষ বা বন্ধুদের খুঁজে বের করুন। তাঁদের সহায়তা নিন। যাঁরা নেতিবাচক কথা বলেন, তাঁদের এড়িয়ে চলুন।

যেখানে আগ্রহ, সেখানে সময় দিন: আপনার যে কাজটি করতে ভালো লাগে, সেখানে সময় দিন। কাজের গুণগত মান উন্নয়নে সময় দিন। কীভাবে প্রতিদিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। প্রতিদিন নিজেকে ১ ভাগ করে ছাপিয়ে গেলে ছয় মাস পরেই নিজের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

শিখুন: প্রতিদিন নিজের শেখার পরিবেশে রাখুন। চারপাশ থেকে শিখুন। নিজের ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করুন। নিজেকে কখনই ছোট ভাববেন না। ছোট-বড় সবার কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করুন। পুরোনোকে নতুন করে শেখার মাধ্যমে নিজেকে ইতিবাচক কাজে ব্যস্ত রাখুন।