মন ফুরফুরে রাখতে

মন ভালো রাখতে নেতিবাচক চিন্তা বাদ দিতে হবে
মন ভালো রাখতে নেতিবাচক চিন্তা বাদ দিতে হবে

কিছুই ভালো লাগছে না! এমন তো মাঝে মাঝেই হয়। কী করলে ভালো লাগবে, সেটা হয়তো বুঝতে পারছেন না। প্রতিদিনের অভ্যাস থেকে নেতিবাচক কিছু বিষয় বাদ দিলে সেটা করা সম্ভব। নেতিবাচক কিছু আচরণ ও আবেগ পরিহারে উৎফুল্ল মন তৈরি করা যায়।

উৎফুল্ল ও সুখি হতে যেসব আবেগ ও অভ্যাস বাদ দিতে পারেন—

১. নেতিবাচক চিন্তা বাদ দিতে হবে। আত্মবিশ্বাসী হলে মন ভালো থাকবে। কর্মস্থলে নিজেকে নিয়ে অনিরাপদ কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ কিছু চিন্তা করলে তা আপনার শরীর আর মনের ওপর ভর করে বসবে। এতে আপনি আরও বেশি হতাশ ও নিরুৎসাহী হয়ে যাবেন।

২. ক্রমাগত আত্মগ্লানিতে ভুগবেন না। এ ধরনের অভ্যাসে অমনোযোগী হয়ে উঠবেন। এতে আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা কমে যাবে।

৩. অতৃপ্তিতে ভুগবেন না। এ ধরনের অভ্যাস একবার আপনার ওপর ভর করলে বাদ দেওয়া অনেক কষ্টের। কোনো লক্ষ্য অর্জনের জন্য অতৃপ্তি সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শক্তি জোগায়। কিন্তু কারণ ছাড়া সবকিছুতে অতৃপ্তি, ‘আমার কিছু নেই’, ‘আমার কিছু হবে না’—এমন ভাবনা মনে হতাশা তৈরি করে। সব সময় ভাববেন, ‘আমি পারব। আমাকে দিয়েই হবে।’ ইতিবাচক ভাবলে মনে সাহস আসবে।

৪. ক্ষতিকর আসক্তি তৈরি করবেন না। নিজের কাজে দেয় না, এমন কোনো অভ্যাসে আসক্ত হয়ে পড়লে মন অমনোযোগী হয়ে যায়।

৫. রেগে গেলে হারিয়ে যাবেন! রাগলে হেরে যায় মানুষ, এমনটা সব সময় শুনি। কিন্তু রাগলে আসলে আমরা হারিয়েই যাই। যারা অল্পতেই রেগে যান, তাঁদের সঙ্গে কেউ আড্ডা দেয় না, গল্প করে না; তাঁরা আসলে এভাবেই অন্যদের জীবন থেকে হারিয়ে যান।

৬. পরশ্রীকাতরতা এড়িয়ে চলুন। অন্যকে হিংসা করলে মনে শান্তি আসবে না। সবচেয়ে বড় কথা, অন্যকে হিংসা করলে নিজেকে নীচু ভাবা শুরু করবেন। অন্যের সাফল্যকে হিংসা করলে নিজেকেই ছোট করা হয়।

৭. অহেতুক ভয় পাবেন না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আমরা অনেক কিছুর ভয় কল্পনা করি। একটা কাগজে ভয় আর ঝুঁকিগুলো লিখে ফেলুন, তারপর দেখুন কোনটি বাস্তবায়ন করলে ইতিবাচক ফলাফল পাবেন।

৮. লজ্জার ভয় করবেন না। নতুন কোনো কাজ করার সময় অন্যরা কী বলবে, সে লজ্জায় আমরা অনেক কিছু করতে চাই না। বিব্রত হওয়ার ভয়ে আসলে নিজের লক্ষ্যকে ছোঁয়া যায় না। যারা আপনাকে লজ্জা দেয়, তাদের সঙ্গ পরিহার করুন।

গ্রন্থনা: তৌহিদা শিরোপা

সূত্র: ব্রাইটসাইড