পায়ের সুস্থতায় ৫ পরামর্শ

পায়ের যত্ন মানে শুধুই সৌন্দর্যচর্চা বা পেডিকিউর নয়, পায়ের সুস্থতার জন্য আরও নানা বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন। নিয়মিত পা পরিষ্কার করা, প্রয়োজনে পায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। পায়ের পাতার কোনো অংশ শক্ত ও খসখসে হয়ে গেলে তা ঘষে নরম রাখা পায়ের সুস্থতার জন্য বাঞ্ছনীয়। আবার জুতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও পায়ের সুস্থতার কথা মাথায় রাখতে হবে।

পায়ের পরিচ্ছন্নতা

পা ধোয়ার সময় পায়ের আঙুলের ফাঁকে ভালোভাবে সাবান ও পানি পৌঁছাতে হবে। পা ধোয়ার পর পুরো পা, পায়ের তলা ও আঙুলের ফাঁকগুলো ভালোভাবে মুছে ফেলুন। পা ভেজা ও আর্দ্র থাকলে ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। ভেজা পায়ে কখনো মোজা পরবেন না। প্রতিদিন একই জুতা ব্যবহার না করে নিয়মিত ব্যবহারের জন্য দুটি জুতা রাখতে পারেন। এক দিন একটি পরলেন, তো পরদিন কাজে বেরোলেন অন্যটি পরে।

 জুতো বাছাই

একেবারে সমান ও নিচু (ফ্ল্যাট) স্যান্ডেল পরা উচিত নয়। আবার দুই ইঞ্চির চেয়ে বেশি উচ্চতার জুতা পরাও ঠিক নয়। পেনসিল হিল বা চোখা হিলের জুতা পরবেন না। জুতার সামনের দিকটা খুব সরু হলে তা ব্যবহার না করাই ভালো; আঁটসাঁট জুতা পরাও ঠিক নয়। এসব জুতা ব্যবহারের ফলে পায়ের হাড়ের স্বাভাবিক বিন্যাস পর্যন্ত বিঘ্নিত হতে পারে। জুতো এমন হবে যেন ভেতরে পায়ের আঙুলগুলো কোনো ভাঁজ ছাড়াই এঁটে যায়। বিকেলে জুতো কেনা ভালো কেননা দিনের শেষে পায়ের মাপ সবচেয়ে বেশি থাকে।

নখ কাটা

পায়ের নখ কেটে ছোট করে রাখুন। খুব গভীরভাবে নখ কাটলে নখ বসে যেতে পারে, আবার নখ বড় থাকলেও তা থেকে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দুই ধারে কোনা বেশি কাটবেন না।

 কর্ণ বা শক্ত চামড়া

অনেক সময় পায়ে কড়া পড়ে, কোনো জায়গায় ত্বক মোটা হয়ে যায়। কখনো ফোসকা পড়ে। এগুলো কখনোই বাড়িতে কিছু দিয়ে চিকিৎসার চেষ্টা করবেন না। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

পা ফাটা

শুষ্কতার কারণে পা ফেটে যায়, এই ফাটা অংশ দিয়ে সংক্রমণ ঘটে। অনেক সময় রক্ত বেরিয়ে যায়। তাই পা ফাটা রোধে পা ভালো করে স্কারবার দিয়ে পরিষ্কার করে পেট্রোলিয়াম জেলি বা ময়েশ্চারাইজার লাগান।