আমি কি ইতিবাচক না নেতিবাচক?

এই আমি ইতিবাচক
এই আমি ইতিবাচক

মানুষভেদে ব্যক্তিত্ব একেক রকম হয়, একেক রঙের হয়। হাজার ব্যক্তিত্বকে দুটি সাধারণ মাপকাঠিতে ইতিবাচক ও নেতিবাচকভাবে ভাগ করা যায়। ইতিবাচক ব্যক্তিত্ব বিকাশ করলে আমরা প্রতিদিনই নিজেকে উজ্জীবিত করতে পারি, অন্যকে অনুপ্রাণিত করতে পারি। আবার নেতিবাচক ব্যক্তিত্বকে প্রয়োজন দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে ইতিবাচক হিসেবে গড়ে তোলা। আমরা সাধারণত পেশাজীবনে কতটা ইতিবাচক বা নেতিবাচকতা নির্ধারণের জন্য মাইন্ডটুলস নামে যুক্তরাজ্যের একটি ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণকেন্দ্র অনলাইন মূল্যায়ন (অ্যাসেসমেন্ট) করে থাকে। আপনি নিচের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে জেনে নিতে পারেন আপনার যোগাযোগ দক্ষতার জোর।

আমি কী নেতিবাচক? ছবি: অধুনা
আমি কী নেতিবাচক? ছবি: অধুনা

নির্দেশনা
আপনি নিজেকে নিয়ে কী ভাবছেন, বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেমন আচরণ করেন কিংবা আচরণের মুখোমুখি হলে কেমন অনুভব করেন তার ওপর নির্ভর করে প্রশ্নগুলো তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি প্রশ্নের পাঁচটি করে বিকল্প উত্তর আছে। অনলাইন মূল্যায়নে ১.৬৪, ২.৬৮ কিংবা ৪.৬৭ হিসেবে গণনা করা হয়, পাঠকের হিসাবে সুবিধার জন্য ১ থেকে ৫ ক্রমিকে নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

আপনি যেকোনো একটি উত্তরে টিক চিহ্ন দিয়ে সবশেষে প্রশ্নমান অনুসারে নম্বর যোগ করে নিন। উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনি আপনাকে নিয়ে যা ভাবছেন, তার ওপর ভিত্তি করে উত্তর দিন।

উত্তরের মানগুলো খেয়াল রাখুন
কখনোই না = ১
কখনো কখনো = ২
মাঝেমধ্যে = ৩
প্রায়ই = ৪
নিয়মিত = ৫
মোট নম্বর: ....

কত পেলেন আর কী করবেন?
১৫-৩১, যার অর্থ হচ্ছে আপনার মাথার ওপর সব সময়ই আকাশভাঙা দুশ্চিন্তা থাকে। আপনি সব সময়ই অন্যদের ভুল ধরা কিংবা নেতিবাচক দিকটিই বেশি খেয়াল করেন। অনেক ক্ষেত্রেই আপনি হাল ছেড়ে দেন। নেতিবাচক এই অবস্থা কাটাতে নিজের দিকে খেয়াল করা শুরু করুন। ইতিবাচক মানুষের সঙ্গে নিজের সমস্যাগুলো আলোচনা করুন। নিয়মিত ইতিবাচক বিভিন্ন অভ্যাস যেমন বই পড়া, ব্যায়াম করা, হাসি ইত্যাদির মাধ্যমে আপনি সমস্যা কাটাতে পারেন।
৩২-৫০, আপনি মোটামুটি বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কখনো ইতিবাচক আবার কখনো নেতিবাচক আচরণ করেন। নেতিবাচক চিন্তা যে কারণে আপনার মাথায় উঁকি দেয় তা যৌক্তিক কারণ দিয়ে বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে আপনি আরও ইতিবাচক হতে পারেন।
৫১-৭০, আপনি ইতিবাচক মানুষ হিসেবে নিঃসন্দেহে দারুণ ও অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণার। আপনি দলগত বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে অন্যদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখুন।

নির্দেশনা

কখনই না

কখনো কখনো

মাঝে মধ্যে

প্রায়ই

নিয়মিত

যখন আমার বস কিংবা কোনো গ্রাহক আমার সঙ্গে কথা বলেন, তখন আমি ধরেই নিই কোনো সমস্যা কিংবা নেতিবাচক মতামত জানানো হবে।

যখন আমি কোনো কঠিন পরিস্থিতি কিংবা সমস্যার মুখোমুখি হই, তখন আমার কাছে সব নেতিবাচক মনে হয়।

কোনো বাধার মুখোমুখি হলে আমি বাধা-বিপত্তি অনেক দিন থাকবে বলে বিশ্বাস করি। যেমন: কর্মক্ষেত্রে বস কোনো রিপোর্ট দেখার পরে যদি বলেন, ‘রিপোর্টটি ভালো হয়নি’, তাহলে আমি মনে করি বস কাজটি ঘৃণা করেছেন। আমি কোনো কাজই পারি না।

কোনো দলের সঙ্গে কাজ করার সময় সমস্যা দেখলে আমি সমস্যা কাটিয়ে সমাধানের দিকে মনোযোগ দিই বেশি।

কোনো কাজে আমি পারদর্শী হলেও কাজটি যখন আমাকে করতে দেওয়া হয় না, তখন আমি নিজেকে দোষ দিই। নিজের যোগ্যতা নিয়ে নিজের কাছেই প্রশ্ন করি।

আমার পছন্দ না কিংবা ভালো লাগছে না এমন কোনো ঘটনা ঘটলে আমি সবাইকে দোষারোপ শুরু করি।

আমি কোনো কাজে ভালো করলে কাজটি ভালো পারি তা না ভেবে নিজেকে প্রতিভাবান ভাবতে শুরু করি।

আমি যখন কোনো কাজে স্বীকৃতি বা প্রশংসা পাই, তখন নিজেকে ভাগ্যবান ভাবি।

আমি কোনো দারুণ আইডিয়া বা কাজ করলে নিজের সৃজনশীলতায় মুগ্ধ হয়ে যাই।

কোনো কাজে ভুল হলে আমি নিজেকে দোষারোপের চেয়ে কাজের ভুল অনুসন্ধানের চেষ্টা করি।

কোনো সাফল্য পেলে নিজেকে অন্যদের চেয়ে সেরা ভাবতে শুরু করি?

দলীয় নেতা হিসেবে কোনো কাজে সাফল্য এলে আমি দলের সদস্যদের পরিশ্রমের চেয়ে নিজের নেতৃত্বগুণের প্রশংসা করি বেশি।

কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে তা সফল হলে আমি নিজেকে কাজে অভিজ্ঞ হওয়ার চেয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বেশ পারদর্শী বলে ভাবি।

যখন ব্যক্তিগত কোনো লক্ষ্যে আমি সাফল্য পাই, আমি নিজেকে অভিনন্দন জানিয়ে নিজের দক্ষতা বিকাশে মনোযোগ দিই।