মুজলি নাকি কর্নফ্লেক্স

>

মুজলি এবং কর্নফ্লেক্স দুটোই সকালের নাশতার উপকরণ হিসেবে খাওয়া হয়। উন্নত দেশে অনেক জনপ্রিয় হলেও এখন বাংলাদেশেও অনেকে নাশতায় খান। অ্যাপোলো হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী জানাচ্ছেন মুজলি ও কর্নফ্লেক্সের পুষ্টিগুণ।

মুজলি

ওজন কমানোর বিষয় থাকলে সকালের নাশতায় মুজলিই খেতে পারেন। কারণ, মুজলি ওটসকে ভেজে তৈরি করা হয়। তাই এতে প্রাকৃতিক উপকরণগুলো খুবই ভালো মানে থাকে। এ উপকরণটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। সকালের নাশতায় প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, ম্যাগনেশিয়াম সবকিছুই পেতে চাই। এ ক্ষেত্রে মুজলির সঙ্গে একটু দুধ যুক্ত করলে পরিপূর্ণ পুষ্টি পাওয়া যায়। এর মধ্যে কর্নফ্লেক্স থেকে তিন–চার গুণ বেশি আঁশ পাওয়া যায়।

এর মধ্যে বেশি আঁশ থাকার কারণে এটি খেলে হৃদ্​যন্ত্র ভালো থাকে এবং প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। সকালের নাশতাটা ভালো হলে সারা দিনের খাবারের মধ্যে একটা নিয়ন্ত্রণ থাকে। ভালোভাবে ওজন কমানো যায়। সপ্তাহের এক বা দুই দিন বাদে বাকি দিনগুলো মুজলি খেতে পারেন। বয়স্ক রোগীদের এটি না খাওয়াই উচিত। আর যাদের কিডনি সমস্যা আছে তাদেরও মুজলি না খাওয়া ভালো।

কর্নফ্লেক্স

কর্নফ্লেক্স পুরোপুরি শর্করাজাতীয় খাবার। অনেক সময় কর্নফ্লেক্সে রং ও চিনির ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফলে মোটা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কর্নফ্লেক্স কীভাবে তৈরি করছেন সেটার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। ওটসের তৈরি কর্নফ্লেক্স শরীরের জন্য সবচেয়ে ভালো। কিছু কর্নফ্লেক্স আছে, খেতে সুস্বাদু করার জন্য বিভিন্ন উপকরণ বা রং ব্যবহার করা হয়। যা এর নিজস্ব খাদ্যগুণ নষ্ট করে দেয়। কেউ যদি কর্নফ্লেক্স খেতে চান তাহলে সপ্তাহে এক–দুই দিন খেতে পারেন। সব বয়সী মানুষ কর্নফ্লেক্স খেতে পারবেন। যাঁদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য মুজলির তুলনায় কর্নফ্লেক্সটা ভালো। কারণ, কর্নফ্লেক্সটা কিছু সময় ভিজিয়ে রাখতে হয়। ফলে এটি নরম হয়ে যায়। তাই যাঁদের দাঁতের বা হজমে সমস্যা রয়েছে তাঁরা কর্নফ্লেক্স খেতে পারেন।