রোজ রোজ

শেভের জন্য ভালো ব্র্যান্ডের প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে। মডেল: সৌরভ, কৃতজ্ঞতা: অ্যাডোনিস।
শেভের জন্য ভালো ব্র্যান্ডের প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে। মডেল: সৌরভ, কৃতজ্ঞতা: অ্যাডোনিস।

ছেলেদের শেভ করার প্রচলন কবে থেকে শুরু হয়েছে, সেটা জানার সুযোগ নেই। পারসোনা অ্যাডামসের ধানমন্ডি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ খানও বলতে পারলেন না। ছেলেদের এই পারলারের দায়িত্বে তিনি পার করেছেন এক দশক। বললেন, পুরুষেরা কবে থেকে নিয়মিত শেভ করেন, এটার সঠিক তথ্য পাওয়া কঠিন। তবে দিন দিন ছেলেদের শেভ করার ধরন এবং দাড়ি রাখার স্টাইল বদলেছে। শেভ করার জন্য এসেছে নানা ধরনের প্রসাধনী। তবে যেহেতু ত্বকের ব্যাপার, তাই সেসব ব্যবহারে সাবধান হতে হবে। এমনটাই বললেন, মাসুম বিল্লাহ খান।

জানালেন, একটা সময় নিয়মিত শেভ করার মানুষ খুব কম ছিল। এখন করপোরেট চাকরিজীবীর পরিমাণ বেড়েছে। এ কারণে প্রতিদিন শেভ করেন এমন মানুষ কম না। করপোরেটের চাকরিজীবীরা প্রতিদিন শেভ করলেও তরুণদের মধ্যে এই প্রবণতা কমে এসেছে। খোঁচা খোঁচা দাড়িতেই তাঁরা মানিয়ে যাচ্ছেন বেশ।

তবে নিয়মিত বা অনিয়মিত যখনই শেভ করা হোক না কেন, কয়েকটি বিষয়ে সতর্কতা খুব জরুরি। কারণ, মুখমণ্ডলের ত্বক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই ত্বকের বিষয়ে কিশোরেরা অতটা গুরুত্ব দেন না। কারণ, তাঁরা লুকিয়ে একা একাই শেভ করা শিখে ফেলে গালে দাড়ির আগমন ঘটলেই। ত্বকের গুরুত্বের ব্যাপারে চিন্তা করেন না। সমস্যা হয়, একটু পরিণত হয়ে গেলে। অল্প দিনেই দাড়ি শক্ত হয়ে যায়। তাই লুকিয়ে শেভ না করে ভালো কোনো সেলুনে গিয়ে প্রথম শেভটা করা উচিত। মাসুম বিল্লাহ তথ্য দিলেন, এখন অবশ্য কিশোরদের বেলায় এমনটা ঘটনা কমে এসেছে। কারণ, এখন বাবা-মা সচেতন হয়েছেন। তাঁরা সন্তানকে নিয়ে সেলুনে আসেন। অনেক কিশোর এখন স্টাইল করে দাড়ি রেখে দেন।

তবে দাড়ি রেখে দিলেও সেটার নিয়মিত যত্ন করতে হয়। আবার কাটলেও ভালো মানের সেলুনে গিয়ে কেটে আসা উচিত। তবে বাড়িতেও শেভ করতে পারেন। কিন্তু সে জন্য থাকতে হয় সতর্ক।

সেলুনে শেভ করলে
১. চেষ্টা করা উচিত ভালো মানের কোনো সেলুনে গিয়ে শেভ করা।
২. পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়া উচিত।
৩. শেভ শুরু করার আগে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে স্যাভলন বা অ্যান্টি–সেফটিক জেল দিয়ে কিছুক্ষণ মালিশ করা জরুরি। এতে দাড়ির গোড়া নরম হয়ে যায়। তবে পানিটা যেন বেশি গরম না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
৪. এক ব্লেড একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না। ভালো মানের ব্লেড হতে হবে।
৫. শেভের সময় আসল ব্র্যান্ডের ফোম বা জেল ব্যবহারের দিকে খেয়াল করতে হবে।
৬. একেকজনের দাড়ির ধরন একেক রকম। কারও সোজা, কারও কারও বাঁকা, কারও গোলাকার। তাই যেদিকে দাড়ি আছে, সেদিকে ব্লেড দিয়ে দাড়ি টানুন। উল্টো টানা যাবে না। এতে করে ত্বকে র​্যাশ উঠতে পারে বা ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি দাড়ির গোড়া মোটা হয়ে যেতে পারে।

বাসায় করলে
১. যদি ওয়ানটাইম রেজার ব্যবহার করেন অবশ্যই সতর্ক হবেন। ভালো মানের বা ভালো ব্র্যান্ডের রেজার যেন হয়।
২. একইভাবে এক ব্লেড যেন একাধিকবার ব্যবহার না করা হয়। না হলে কোনো কারণে কেটে গেলে সেটা ইনফেকশন হতে পারে।
৩. ভালো ব্র্যান্ডের আফটার শেভ লোশন ব্যবহার করা উচিত।
৪. একইভাবে ট্রিম করার সময় খেয়াল রাখতে হবে চুল ও দাড়ি কাটার ট্রিমার আলাদা। তাই একটা দিয়ে যেন আরেকটার কাজ না চালানো হয়। এতে করে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫. ট্রিম করার সময় দাড়িতে অনেক সময় টান লাগে, ট্রিমার আটকে যায়। এটা যেন না হয়, খেয়াল রাখুন সেদিকে।
৬. একটা ট্রিমার একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার না করাই ভালো।

লাখ টাকার আফটার শেভ
প্রিয় পুরুষকে উপহার হিসেবে দিতে আফটার শেভ লোশনের কথা একবার হলেও নাকি ভাবেন বুদ্ধিমান প্রেমিকারা। সম্ভবত এ কারণেই আফটার শেভের দামের সঙ্গে মনজুড়ানো সৌরভ আর ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে যাওয়ার গুণের সঙ্গে বোতলের নকশাও জড়িত এখন। তাই বিশ্বের সেরা ও দামি আফটার শেভ ব্র্যান্ড ক্লিভ ক্রিশ্চিয়ান বোতলের নকশায় এনেছে অভিজাত আবহ। শ্যানেল পাঁচের মতোই এর সর্বসেরা আফটার শেভের নামেও জুটেছে নম্বর, নাম ক্লিভ ক্রিশ্চিয়ান নম্বর ওয়ান। একটি বোতলের দাম ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৫ টাকা মাত্র। দ্বিতীয়তে থাকা অ্যাম্বার টপকাপির দাম ৫১ হাজার ১৬০ টাকা, তালিকার দু–তিন নম্বরের দামের ওঠানামা এর আশপাশেই।
সূত্র: সাকসেস স্টোরি