কফির চুমুকে

কফিপ্রেমীরা আয়েশ করে কফি পান করতে পারেন। ছবি: প্র অধুনা
কফিপ্রেমীরা আয়েশ করে কফি পান করতে পারেন। ছবি: প্র অধুনা

কফি কাপে একা ঠোঁট ছোঁয়ানোর দিন কিংবা অফুরন্ত আড্ডায় কফি? আর সঙ্গে যদি থাকে প্রিয় বইটি, তবে তো কথাই নেই।
নর্থ এন্ড কফি রোস্টারসের ধানমন্ডি শাখায় রয়েছে এমনই সুব্যবস্থা। ২০১১ সালে চালু হওয়া এই কফিশপের ঢাকায় আটটি শাখা আছে। তবে বইয়ের দোকান ও কফিশপের মেলবন্ধন কেবল ধানমন্ডি শাখায়। এখানে আছে বইয়ের দোকান বুক ওয়ার্মের শাখা।

এক ক্লান্ত বিকেলে গেলাম ধানমন্ডির নর্থ এন্ডে কফি রোস্টারসে। ঢুকতেই নাকে এসে লাগল কফি বিনের সুগন্ধ। কফিপ্রেমীদের জন্য এ ঘ্রাণ বেশ সুখকর। সাদাকালোর সংমিশ্রণে সাজানো ছিমছাম ক্যাফে নর্থ এন্ড। সেলফিপ্রেমীদের জন্যও উপযুক্ত। বিকেলে বাইরে দেখতে পাবেন সবুজ প্রকৃতি। চোখের আরাম দেয়। যাঁরা বাচ্চা নিয়ে যেতে চান, তাঁদের ও শিশুদের কথা ভেবে করা হয়েছে কিডস কর্নার। শুধু তাই নয়, শিশুদের জন্য কিডস মিলও পাবেন।

ঢুকেই সরাসরি কাউন্টারে। অর্ডার দেওয়ার সময় টাকা দিতে হয় (পে-ফার্স্ট)। মেন্যুতে কফির ১৭ রকম প্রকারভেদ দেখে দোটানাই হলো। ঠান্ডা না গরম, ভ্যানিলা নাকি চকলেট! কফির পাশাপাশি স্যান্ডউইচ, ব্রাউনি, বেগেলসহ রয়েছে আরও নানা পদ। কেউ কেউ সকালে এখানে নাশতা খাওয়ার মধ্য দিয়ে দিন শুরু করেন।

চলছে কফি তৈরি
চলছে কফি তৈরি

আগে মকা ফ্রেডোর কথাই শুনেছি বেশি। নিয়ে নিলাম সেটি। আলাদাভাবে যোগ করে দিতে বললাম হ্যাজেলনাট ফ্লেভারও।

চাইলে যে কেউই এভাবে যুক্ত করতে পারেন নিজের পছন্দের উপকরণ। তবে সেক্ষেত্রে গুনতে হবে বাড়তি দাম। সঙ্গে নর্থ এন্ডের বহুল আলোচিত চকলেট ব্রাউনি নিতেও ভুললাম না। কফির দাম পড়ল ৪০০ টাকা আর ব্রাউনি ৮০ টাকা। সঙ্গে যোগ হলো ১৫ শতাংশ ভ্যাট।

বিল চুকিয়ে টেবিলে এসে বসার মিনিট দুয়েকের মধ্যেই চলে এল কফি আর ব্রাউনি। প্রথম চুমুকেই মনে হলো, বাহ! এত গড়পড়তা মোকার তুলনায় একটু বেশিই ভালো যেন। তবে ব্রাউনির স্বাদে মিষ্টি একটু বেশিই লাগল। ওয়েটারদের হাসিমুখে খাবার পরিবেশন আর আতিথেয়তার কথা অবশ্যই আলাদা করে বলতেই হয়। রয়েছে ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবস্থাও। এখানে কফি খেতে খেতে যে কেউ নিজেদের ইচ্ছেমতো সময় কাটাতে পারবেন। নেই কোনো তাড়া।