নান্দনিক লাইট শেড

নানা রকমের বাহারি লাইট শেড বাজারে পাওয়া যায়। ছবি: অধুনা
নানা রকমের বাহারি লাইট শেড বাজারে পাওয়া যায়। ছবি: অধুনা

আধুনিক বাড়ি ও অফিসে আজকাল নানান রকম লাইট শেডের ব্যবহার দেখা যায়। ঘরের সঙ্গে মিলিয়ে লাইট শেড বেছে নিন। খাবার টেবিল বা রান্নাঘরে লাইট শেডের ব্যবহার বেশি। ঢাকার গুলশান ২ নম্বরের লাইটস হাউসের বিক্রয় ব্যবস্থাপক মো. তৌহিদ হোসেন জানান, লাইট শেড ঘরের আলোর চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। সাধারণ বাতিও নান্দনিক দেখায়। ঘরের আয়তনের ওপর লাইট শেড বাছাই করুন। ঘরের আয়তন একটু কম হলে ছোট আকারে লাইট শেড ব্যবহার করতে পারেন। আকারে একটু বড় হলে সাজাতে পারেন যেকোনো আকারের লাইট শেড দিয়ে। ঘরের রঙের ওপর ভিত্তি করে লাইট শেড ব্যবহার করুন।

ছবি: অধুনা
ছবি: অধুনা

লাইটিং ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপক চপল চৌধুরী বলেন, কাচের ওপর বিভিন্ন নকশা করা লাইট শেড; কাপড়, পাট ও কাঠের ফ্রেম দিয়েও লাইট শেড তৈরি করা হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের কাচের তৈরি লাইট শেডই বেশি পছন্দ বলে জানান তিনি।
খুব বেশি জাঁকজমকপূর্ণ নয়, বরং খুবই সাদামাটা ডিজাইনের লাইট শেড ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অন্দরসজ্জায় লাইট শেড এমনভাবে ব্যবহার করা উচিত, যাতে আলো ও এর আনুষঙ্গিক বিষয়গুলোর উৎস চোখে না পড়ে, যা আপনার চোখের জন্য আরামদায়ক।
শোয়ার ঘরের কোনায় একটু কম আলোয় লাইট শেড ব্যবহারের ফলে আলো-ছায়ার খেলা চোখে পড়ে, যা ক্লান্ত দেহকে সামান্য হলেও আরাম দেবে।

ছবি: অধুনা
ছবি: অধুনা

কোথায় পাবেন
রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে মিলবে লাইট শেড। লাইট স্টোরসহ নিউমার্কেট, গুলশান ১ ও ২ নম্বর, পুরান ঢাকার নবাবপুর, বনানী, রামপুরা, মালিবাগ, উত্তরা, মিরপুর ও মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন দোকানে পাবেন লাইট শেড। আপনার চাহিদা, রুচি ও সামর্থ্য অনুযায়ী অর্ডার দিয়ে বানিয়ে নেওয়ার সুযোগও আছে কোনো কোনো দোকানে।

দরদাম
বিভিন্ন ডিজাইনের লাইট শেডের ওপর ভিত্তি করে এর দাম নির্ধারণ করা হয়। লাইট শেডের দাম ৫০০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।