বরের রঙিলা পাগড়ি

পাগড়ি বরের সাজে রাজকীয় একটা আবহ এনে দেয়। পাগড়ি ও শেরওয়ানি: এমদাদ হক, মডেল: ইমরান, ছবি: সুমন ইউসুফ
পাগড়ি বরের সাজে রাজকীয় একটা আবহ এনে দেয়। পাগড়ি ও শেরওয়ানি: এমদাদ হক, মডেল: ইমরান, ছবি: সুমন ইউসুফ

বিয়েতে পাগড়ি বরের অলংকারের মতো। এই পাগড়ি পরার ঐতিহ্য প্রাচীন। তবে পাগড়ি পরার নকশা এবং রঙে এখন ব্যাপক বৈচিত্র্য এসেছে। উজ্জ্বল রঙা পাগড়ি পরার চল এখন। কেনা পাগড়ির বদলে হাতে বাঁধা পাগড়িতে বিয়ের সাজে আসে ভিন্নতা। বরের সাজে নতুনত্ব আনতে ভারতের রাজস্থান, বেলুচ, হায়দরাবাদ কিংবা মোগল ঘরানার পাগড়ি এখন বেশি জনপ্রিয়।

ফ্যাশন ডিজাইনার এমদাদ হক নকশার এই প্রতিবেদনের ফটোশুটের জন্য পাগড়ি বাঁধতে বাঁধতে জানালেন, হাতে বাঁধা পাগড়িতে বরকে বেশি রাজসিক লাগে। সোনালি, তামাটে, লালের মতো উজ্জ্বল রং কিংবা ঘিয়ে রঙের পাগড়িতে বর বেশি জমকালো হয়ে ওঠেন। পাগড়ি বাঁধতে কম–বেশি সাত গজ কাপড় ব্যবহার করলে বাঁধন ভালো হয়।

মোগল

জামদানি কিংবা মসলিন কাপড়ে বাঁধা হয় মোগলাই পাগড়ি। এই পাগড়ির একটি অংশ কাঁধ বেয়ে নিচে নেমে যায়। মাথায় পেখম থাকে না। এই পাগড়ির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, কাপড় না পেঁচিয়ে পরিপাটি করে ভাঁজ ভাঁজ করে পাগড়ি বাঁধা হয়। পাগড়ি পরার পর নেমে আসা কাপড় কাঁধে ফেলে রাখলে মোগল আমেজ আসবে।

রাজস্থানি

রাজস্থানি বিয়ের পাগড়িতে এক রঙের প্রাধান্য বেশি। সবুজ, কমলা, লাল রঙের কাপড় দিয়ে বাঁধা হয় পাগড়ি। রাজস্থানি পাগড়িতেও পেখম থাকে। তবে এই পেখম হবে ছোট করে। রাজস্থানি পাগড়ির বিশেষ বৈশিষ্ট্য পাগড়ি থেকে এক প্রস্থ বাড়তি কাপড় কাঁধ বেয়ে নিচে নেমে যায়।

বেলুচ

বেলুচিস্তানের ঐতিহ্যবাহী পাগড়ির নাম বেলুচ। এই পাগড়ি সাধারণত একরঙা হয়। যেকোনো কাপড় দিয়েই তৈরি করা যায়। বেলুচ পাগড়ির প্রধান বৈশিষ্ট্য কাপড়ের পেখম থাকে মাথায়। পাগড়ি বাঁধার সুবিধার জন্য প্রথমে পেখম বানিয়ে নিলে দ্রুত বেঁধে ফেলা যায়।

হায়দরাবাদি

হায়দরাবাদি পাগড়ি অতি উজ্জ্বল রঙের হয়। দুটি ভিন্ন রঙের কাপড় একসঙ্গে পেঁচিয়ে বাঁধা হয় পাগড়ি। অন্য পাগড়ি পাশ থেকে বাঁধা শুরু হলেও হায়দরাবাদি পাগড়ি বাঁধা শুরু করতে হয় মধ্য থেকে। এই পাগড়ি সাধারণত মসলিন, সিল্ক, হাফ সিল্ক কিংবা সুতি কাপড়ের হয়। হায়দরাবাদি পাগড়িতে গয়নার ব্যবহারও থাকে বেশি।