শীতে ঠোঁট ফাটা ঠেকাতে

শীতে নিয়মিত ঠোঁটের যত্ন নিন। নইলে ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি নেই। ছবি: প্রথম আলো
শীতে নিয়মিত ঠোঁটের যত্ন নিন। নইলে ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি নেই। ছবি: প্রথম আলো

ডিসেম্বর মানেই হি হি শীত। একই সঙ্গে ত্বকের শুষ্কতা। ঠোঁটের ত্বক বেশি কোমল হয়, তাই শীতের শুষ্কতায় শরীরের ত্বকের তুলনায় ঠোঁটের ত্বকের ক্ষতির পরিমাণও হয় বেশি। শীত মৌসুমে খুবই আদর-যত্নে রাখতে হয় ঠোঁট। ফাটা ঠোঁট দেখতে যেমন খারাপ লাগে, তেমনি যন্ত্রণাও কম নয়।

আগেভাগে একটু সচেতন হলে সহজেই ঠেকাতে পারবেন শীতে ঠোঁট ফেটে যাওয়ার এই সমস্যাকে। এনডিটিভি ও বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী, প্রাকৃতিকভাবে খুব সহজেই ঠোঁট ফাটার সমাধান করা সম্ভব। জেনে নিন কয়েকটি উপায়:

প্রচুর পানি পান করুন: প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। অনেক সময় ডিহাইড্রেশনের ফলে ‘ডার্ক লিপ্স’য়ের সমস্যা হতে পারে। তাই শরীর আর্দ্র রাখতে প্রচুর পানি পান করুন।

শীতের সবজি ও ফল: শীতকালে নানা সবজি ও ফল পাবেন। ঠোঁট ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফল ও সবজি খেতে হবে। এতে ঠোঁটে আর্দ্রতা থাকবে। এ সময় ভিটামিন ‘সি’যুক্ত ফল লেবু, জাম্বুরা, কমলা, বরই বেশি করে খান।

ঘৃতকুমারী: এটি একটি সহজলভ্য গাছ। আপনি নিজের বাড়ির বাগানের এই গাছ লাগিয়ে রাখতে পারেন। ঘৃতকুমারীর রস ঠোঁটে লাগিয়ে রাখলে শুষ্কতার হাত থেকে মুক্তি পাবেন।

ঘি: এক ফোঁটা ঘি ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। এটি শুষ্কতা কমিয়ে ঠোঁট নরম রাখতে সাহায্য করবে।

মধু: মধু ও গ্লিসারিনের পেস্ট বানিয়ে ঠোঁটে লাগান আর নরম ঠোঁট পান। প্রতিদিন ২০ মিনিট মধু বা দুধের সর লাগিয়ে রাখলেও কালচে ভাব কমবে।

গোলাপের পাপড়ি ও দুধ: টাটকা গোলাপের পাপড়ি নিয়ে কাঁচা দুধে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। তারপর সারা দিনে অন্তত তিনবার এটা ঠোঁটে লাগান। ঠোঁট হবে কোমল ও মসৃণ। গোলাপের পাপড়ি, দুধের সর বা মাখন ঠোঁটে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখলেও কালচে ভাব চলে যাবে।

চিনি: চিনি স্ক্র্যাবার হিসেবে কাজ করে এবং মৃত কোষ ঠোঁট থেকে তুলে ঠোঁটকে নরম করে তোলে।

চালের গুঁড়ো: ঠোঁটের দুই কোনা কালো হয়ে গেলে চালের গুঁড়ো পানিতে একটু ভিজিয়ে সেই অংশে ঘষুন। এটি স্ক্রাবের কাজ করবে।

যা করবেন না আর যা করবেন
ঠোঁটের সুরক্ষায় কী কী করবেন, তা জানার আগে জেনে নিন কী কী করা যাবে না। ঠোঁট সজীব রাখতে অভ্যাসবশত বারবার জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজাবেন না। এতে ঠোঁট আরও শুকিয়ে যায়। এর বদলে সঙ্গে একটা লিপবাম বা লিপজেল রাখুন এবং ঠোঁট শুকনো লাগলেই একটু মেখে নিন। আর হাত-মুখ ধোয়ার সময় বা দাঁত মাজার সময় কোনোভাবেই যাতে ঠোঁটে জোরে জোরে ঘষামাজা না লাগে, তা খেয়াল রাখা দরকার। এ সময় নরম ঠোঁটে আঁচড় পড়লে তা ভোগাতে পারে। এ ছাড়া শীতকালে ম্যাট ধরনের লিপস্টিক ব্যবহার না করাই ভালো। কেননা, শীতে ম্যাট লিপস্টিকে ঠোঁট দুখানা আরও প্রাণহীন মনে হতে পারে। শীতে গ্লসওয়ালা লিপস্টিকই ঠোঁট সজীব রাখবে এবং এতে আপনার সাজও প্রাণবন্ত লাগবে।