শীতেও সজীব ঠোঁট

ঠোঁটে শুষ্কতা এড়াতে যত্ন নিতে হবে। মডেল: মািশয়াত, ছবি: অধুনা
ঠোঁটে শুষ্কতা এড়াতে যত্ন নিতে হবে। মডেল: মািশয়াত, ছবি: অধুনা

ঠোঁটের ত্বক খুব নরম। অল্পতেই নাজুক হয়। সে কারণে যত্নও চাই বিশেষভাবে। অতিরিক্ত শুষ্কতায় ঠোঁটের ত্বক অনেক সময় বেশি ফাটে। শীতের শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়ার প্রভাব শুধু শরীরের ওপরই পড়ে না, ঠোঁটের ওপরও পড়ে। এ সময় নারী-পুরুষ সবারই ঠোঁট শুকনা থাকে এবং ঠোঁট ফাটতে দেখা যায়। অনেকের আবার শুধু শীতকালই নয়, সারা বছর ঠোঁট শুষ্ক থাকে ও ফাটে। এটা খুব বিরক্তিকর সমস্যা। ঠোঁট ফাটা দেখতে যেমন খারাপ লাগে, তেমনি ঠোঁট ফেটে যাওয়ার যন্ত্রণাও কম নয়। আগেভাগে একটু সচেতন হলে সহজেই ঠেকাতে পারবেন এই সমস্যা।

যা করবেন না
ঠোঁট সজীব রাখতে অভ্যাসবশত বারবার জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজাবেন না। এতে ঠোঁট আরও শুকিয়ে যায়। এর বদলে সঙ্গে একটা লিপ-বাম বা লিপ-জেল রাখুন এবং ঠোঁট শুকনো লাগলেই একটু মেখে নিন। হাত-মুখ ধোয়ার সময় বা দাঁত মাজার সময় কোনোভাবেই যাতে ঠোঁটে জোরে জোরে ঘষামাজা না লাগে তা খেয়াল রাখা দরকার। এ সময় নরম ঠোঁটে আঁচড় পড়লে তা ভোগাতে পারে। এ ছাড়া শীতকালে ম্যাট ধরনের লিপস্টিক ব্যবহার না করাই ভালো। কেননা, শীতে ম্যাট লিপস্টিকে ঠোঁট দুখানা আরও প্রাণহীন মনে হতে পারে। শীতে গ্লসি লিপস্টিকই ঠোঁট সজীব রাখবে এবং এতে আপনার সাজও প্রাণবন্ত লাগবে। আর বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।

করণীয়
ঠোঁটের শুষ্কতা ও ঠোঁট ফাটা মোকাবিলা করতে ঠোঁট দুটোতে গ্লিসারিন মেখে হালকা ম্যাসাজ করতে হবে। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং মৃতকোষগুলো উঠে যেতে সাহায্য করবে। অতিরিক্ত গ্লিসারিন ভেজা কটন উল দিয়ে মুছে ফেলবেন।
এবার দুই ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজার যেমন ভ্যাসলিন খুব গাঢ় করে মাখবেন এবং দুই ঠোঁটে আগাগোড়া খুব দ্রুত আলতো করে আঙুল বোলাবেন। ঠোঁটের কোণা থেকে মাঝ পর্যন্ত দ্রুত এটা করবেন। এতে ঠোঁট কোমল থাকবে এবং ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা দেবে না।

একটা কথা মনে রাখতে হবে, ঠোঁট কখনোই শুকনো রাখা যাবে না। ঠোঁট আবারও শুকিয়ে যাওয়ার আগেই গ্লিসারিন কিংবা ভ্যাসলিন মাখতে হবে। আর ঠোঁটের চামড়া কখনোই টেনে তুলবেন না।

শীতের মধ্যে বাইরে বেরোলে কিংবা রোদে বাইরে গেলে অবশ্যই ফাটা ঠোঁটে লিপ ব্যারিয়ার ক্রিম মেখে বেরোতে হবে। সূর্যরশ্মির কারণে ঠোঁট ফুলে যায়, ব্যথা হয় কিংবা ঠোঁটে জ্বালাপোড়া অবস্থার সৃষ্টি হয়। তাই ঠোঁট সুরক্ষায় যত্ন নিতে হবে।

ডা. মাসুদা খাতুন : সহযোগী অধ্যাপক, চর্ম ও যৌন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল