কোথায় রাখব ব্যাগখানি?

স্যুটকেস হয়ে উঠতে পারে ঘর সাজানোর উপকরণও। কৃতজ্ঞতা: জাকিয়া ঊর্মি
স্যুটকেস হয়ে উঠতে পারে ঘর সাজানোর উপকরণও। কৃতজ্ঞতা: জাকিয়া ঊর্মি

লম্বায় ২০ থেকে ৩০ ইঞ্চি। চোখে পড়ার মতোই উচ্চতা। যাঁদের বাড়িতে স্টোর রুম আছে, তাঁরা বেঁচে যান। কাজ শেষে এক কোনায় রেখে দেন। বিপাকে পড়তে হয় স্বল্প পরিসরের বাড়ির বাসিন্দাদের। ভ্রমণের ব্যাগগুলোর সমস্যা, সুবিধা এখানেই। বেশি জিনিস নেওয়া যাবে, এমন আকারের ব্যাগ তো কেনা হয়ে যায়। কিন্তু বাড়ি ফিরে গুছিয়ে রাখার সময় মনমতো কোনো জায়গা পাওয়া যায় না। ফলাফল, ঘরের কোনো এক কোনাতেই হয়তো গুছিয়ে রাখতে হয়। এ সমস্যার সহজ সমাধান দিতেই এই প্রতিবেদন। রইল কিছু সহজ পরামর্শ।

এ প্রসঙ্গে র‌্যাডিয়েন্ট ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনের প্রধান ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার গুলসান নাসরীন চৌধুরী বলেন, আগেকার দিনে ভ্রমণের সময় ব্যবহৃত ট্রাংক বাক্স হিসেবে বাড়িতে ব্যবহার করা যেত। এখনকার ট্রাভেল ব্যাগ সেভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। এখনকার ব্যাগগুলোর উপকরণ, নির্মাণকাঠামো ও গঠন পুরোপুরি অন্য রকম। তাই সরাসরি এই ব্যাগগুলোকে আসবাব হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব নয়। সাধারণত সিলিং কেবিনেট অর্থাৎ ছাদের কাছাকাছি যে কেবিনেটগুলো থাকে, সেখানেই রাখা হয় কম ব্যবহৃত এসব জিনিস। আবার দেয়ালের কেবিনেটের সবচেয়ে ওপরের অংশেও রাখা যায় এগুলো। বড় ট্রাভেল ব্যাগের ভেতর মাঝারি ব্যাগ, আবার তার ভেতরে ছোট ব্যাগ রাখা যায়। এভাবে বিভিন্ন মাপের ব্যাগ একটির ভেতর আরেকটি রাখলে জায়গা বাঁচবে। আবার বড় ট্রাভেল ব্যাগের ভেতর কম্বল-লেপ-কাঁথাজাতীয় জিনিসও গুছিয়ে রাখতে পারেন। 

ঘরের একটি কোনায়

বড় একটা শক্ত কার্টনের মধ্যে ট্রাভেল ব্যাগগুলো রাখতে পারেন। ভালোভাবে মুড়িয়ে নিয়ে ঘরের এক কোণে রাখা যায়। এর ওপর নকশিকাঁথা বা কুশিকাঁটার নকশা করা কাপড় বিছিয়ে দিতে পারেন। এই কাপড়টি টেবিলক্লথের মতো ঢেকে দেবে বাক্সটিকে। প্রিন্টের কাপড়ও দেওয়া যায়, যদি তা ঘরের বাকি সবকিছুর সঙ্গে মানানসই হয়। এরপর এর ওপর ইচ্ছেমতো রাখুন ফুলদানি বা ঘর সাজানোর যেকোনো সামগ্রী।

ডিজাইনার জাকিয়া ঊর্মিকে প্রায়ই যেতে হয় এখানে-সেখানে। তিনি বলেন, নিজের ট্রাভেল ব্যাগগুলো কাজের টেবিলের নিচে কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে দেন তিনি। ব্যাগের ভেতর রাখেন কম প্রয়োজনীয় জিনিস। এতে জায়গা বাঁচে, আবার ঢেকে রাখার ফলে তেমন ময়লাও হয় না ব্যাগগুলো। ঘুরতে যাওয়ার সময় ব্যবহার্যসামগ্রী ট্রাভেল ব্যাগে ঢুকিয়ে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো যেখান থেকে নিয়েছিলেন, ব্যাগে

থাকা জিনিসগুলো রেখে যান ওই জায়গাতে। 

লিভিং রুমে অন্যভাবে

লিভিং রুমের এক কোণে রাখার জন্য কাঠের একটি বাক্স তৈরি করিয়ে নিতে পারেন। ঘরের অন্য সামগ্রীর সঙ্গে মিল রেখে এর নকশা বেছে নিন। বাক্সটিতে রিকশা প্রিন্ট করাতে পারেন, আবার পর্দার রঙের সঙ্গে মিল রেখে যেকোনো রং বাছাই করেও নিতে পারেন। এর ওপর টেলিভিশন রাখতে পারেন, রাখতে পারেন কাঠের ফুলদানি, কিংবা ঘর সাজানোর অন্য সামগ্রী। ভ্রমণের ব্যাগগুলোকে এই কাঠের বাক্সের মধ্যই বন্দী করে রাখুন।