অন্দরে বড়দিন

খাবার টেবিলেও বড়দিেনর আবহ
খাবার টেবিলেও বড়দিেনর আবহ

বড়দিন উৎসবের আবহ নিয়েই আসে। সেই ছোঁয়া যদি অন্দরে না থাকে, তাহলে কি চলে! তাই ঘরদোর এদিনে সাজিয়ে–গুছিয়ে রাখা চাই। হোক সেটা মূল ফটক, হোক বাড়ির উঠান, বারান্দা বা ঘরের একটি কোনা। ঠিকঠাক সাজাতে পারলে পুরো বাড়িতে ফিরে আসবে বড়দিনের আবহ।

‘একটা সময় আমাদের দেশের পাঁচ তারকা হোটেলগুলোতেই বড়দিনের সাজসজ্জা চোখে পড়ত। কিন্তু বেশ কিছু বছর ধরে বদলেছে এই ধারা। অনেকেই এখন বিশেষভাবে ঘরবাড়ি সাজিয়ে তোলেন বড়দিনে। ছোট দোকান বা বাড়িঘরগুলো ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে সাজানোর চেষ্টা দেখা যায়।’ জানালেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার গুলশান নাসরিন চৌধুরী।

তিনি পরামর্শ দিলেন বড়দিনের আবহে ঘর সাজানো বিষয়ে—

ঘরের এক কোণে সাজাতে পারেন ক্রিসমাস ট্রি। ছবি: নকশা
ঘরের এক কোণে সাজাতে পারেন ক্রিসমাস ট্রি। ছবি: নকশা


ঘরের ভেতরেও দেয়ালে মরিচবাতি দিয়ে সাজাতে পারেন। ক্রিসমাস ট্রি ঘরে রাখলে সেই গাছের পাশে সান্তার থলে ঝুলিয়ে রেখে দিতে পারেন। রঙিন মোজার ভেতরে আগে থেকেই বাচ্চাদের জন্য নানা রকম উপহার ঢুকিয়ে রাখুন। উপহারে পুতুল হিসেবে সান্তাক্লজও থাকতে পারে। এ ছাড়া থলেতে উপহার না রেখে তা রাখতে পারেন গাছের নিচে স্তূপ করে। ঘর সাজাতে পারেন বিভিন্ন রকমের মোম দিয়ে। একইভাবে বল, তারা, মরিচবাতি ইত্যাদি দিয়ে গাছ সাজানো যাবে। মোজার ভেতরে থাকতে পারে চকলেট, কাগজের ছোট্ট ও খালি বাক্স, যা সোনালি ও রুপালি কাগজ দিয়ে মোড়ানো থাকবে ছোট্ট ছোট্ট ল্যাম্প ইত্যাদি।

তুলার বল বা চকচকে কাগজের বল বানিয়ে সুতা দিয়ে ক্রিসমাস গাছে বা এক কোনার দেয়াল থেকে ঝুলিয়ে দিতে পারেন। চাইলে ক্রিসমাসগাছের নিচেও সাজিয়ে রাখতে পারেন। শীতের দেশের তুষারপাতের আবহ পাওয়া যাবে। ভেতরে থাকুক লাল-সাদা রঙের ছোঁয়া। পর্দার কাপড়, খাবার টেবিলের রানার ও ম্যাট, সোফার কুশন, মেঝের শতরঞ্জি এসবে রাখুন লাল ও সাদা রঙের প্রাধান্য। ম্যাট, পর্দা বা কুশনে কুশির কাজ থাকলেও ভালো লাগবে। পর্দার কাপড় টিস্যু, নেট, জর্জেট এসবের হলে ভালো লাগবে। খাবার টেবিলে সিরামিকের বাটিতে সাজিয়ে রাখতে পারেন নানা রকম চকলেট আর বিস্কুট। রঙিণ কাচের বোতল, ফুলের রিং দিয়ে সাজাতে পারেন আশপাশ।