সুস্থ সুন্দর ২০১৯

আরও একটা নতুন বছর। ২০১৯। নতুন সূর্য, নতুন আলো। নতুন আশা। নতুন বছর এলেই আমরা নতুন নতুন প্রতিজ্ঞা করি বা পুরোনো না মানা প্রতিজ্ঞাগুলোকে আবার নতুন করে পালন করার পণ করি ।এই যেমন এই বছর আমি রোজ হাঁটব, নিয়ম করে কিংবা রাত জাগব না। অথবা রাতের খাবার আগেভাগে খেয়ে নেব। তারপর? যেই কি সেই...। বছরটাও পুরোনো হতে থাকে, নিজের জীবনযাপনের প্রতিজ্ঞাও দুর্বল হতে থাকে। তবু নতুন বছরের শক্তি অনেক।

পোশাকের নকশা থেকে ঘরের সাজ, চুলের কাট থেকে চোখের সাজ—নতুন বছরে সবাই যোগ করতে চায় নতুন কিছু। দেয় আগাম বার্তা। বছরজুড়ে চলে সেই আগাম বার্তার বাস্তবায়ন। নিজের কথাই ধরুন, ভাবছেন একঘেয়ে লাগছে বসার ঘরের সজ্জা। পর্দাটা বদলে দেবেন নতুন বছরে। আসবাব কমিয়ে কুশন দেবেন ছড়িয়ে, আর ঘরের বইয়ের তাকটা নতুন করে বানাবেন। এই অল্প পরিবর্তনেই কিন্তু ঘরের চেহারা যাবে পাল্টে। অতিথিরা ঘরে ঢুকেই বলবে, বাহ্ ঘরটা দারুণ লাগছে! নতুনের এই তো মজা!

জানি সবচেয়ে কঠিন কাজ জীবন নকশা পাল্টে ফেলা। পোশাক, সাজ, অন্দরসজ্জা—এসব কিছু নতুন করে ভাবেন বিশেষজ্ঞরা। দেশে-বিদেশে। আপনার চাই তথ্য এবং তা অনুসরণ করা। কিন্তু নিজের জীবনের নকশা নিজেই পাল্টে ফেলতে হয়। এ বড় ধৈর্যের কাজ।

প্রথম আলোর নকশা কিংবা ইউটিউব খুললেই সালাদের রন্ধনপ্রণালি পাওয়া যাবে। কিন্তু রোজকার ভাত-রুটির বদলে সালাদ-সবজি খাওয়ার অভ্যাস করা চাট্টিখানি কথা নয়। ভোরবেলা ঘুম ভাঙার পর খালি পেটে পানি খাওয়া নাকি ভালো, আর ভরপেট খেয়ে উঠেই পানি না খাওয়াটা ভালো। জানি তো সবই। মানি কজনা?

তবে আধুনিক রূপবিশেষজ্ঞরা বলেন, সৌন্দর্য নাকি আসবে সুস্থতা থেকেই। খাবারের পুষ্টি, জীবনযাপনের নিয়ম, চর্চা, নিজের যত্ন আর ধারাবাহিকতার ধৈর্য, পণ না ভাঙা—সব মিলেই নাকি সুস্থ থাকা, সুন্দর থাকা।

নতুন বছরে নকশা তাই কামনা করে সব পাঠক সুস্থ থাকুক, সুন্দর থাকুক। ২০১৯ শুভ হোক।

বিভাগীয় সম্পাদক

নকশা