শীতেও গরম ঘর

শহর, গ্রাম—সবখানেই শীত জাঁকিয়ে বসেছে। ঘুমানোর সময় শীত থেকে বাঁচার জন্য লেপ-কম্বল সম্বল হলেও অন্য সময় ঘরে বসে স্বাভাবিক কাজকর্ম করা শীতের সময় কঠিন। বিশেষ করে শিশু ও প্রবীণদের জন্য এই শীত সহ্য করা কষ্টকর। প্রচণ্ড শীত মোকাবিলায় ব্যবহার করতে পারেন রুম হিটার। ইলেকট্রিক এই যন্ত্র ব্যবহারে পাওয়া যাবে উষ্ণতা।

রকমফের
বাজারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রুম হিটার আছে। বড়, মাঝারি ও ছোট—এই তিন আকারের রুম হিটার রয়েছে। সব রুম হিটারেই আছে ফ্যানের বাড়তি সুবিধা। বিভিন্ন দামের রয়েছে। সাধারণত ১ হাজার ওয়াট থেকে সর্বোচ্চ আড়াই হাজার ওয়াট পর্যন্ত রুম হিটার রয়েছে। ক্রেতারা চাইলে পছন্দ ও বাজেট অনুযায়ী রুম হিটার কিনতে পারেন।
ওয়ালটনের মিরপুর শোরুমের বিক্রয় ব্যবস্থাপক আ. রহিম জানান, ওয়ালটন রুম হিটারে রয়েছে সেফটি লক। যদি কারও হাত থেকে পড়ে যায়, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। আবার একটানা চার ঘণ্টা চলার পর অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে এটি। ১ হাজার ওয়াটের রুম হিটার ১ ঘণ্টা চালালে বিল উঠবে মাত্র ১ ইউনিট।

বাজারে আরও যত
বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রুম হিটার পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে মিয়াকো, নোভা, নোভেনা, কমেট ও ডিলঙ্গি ব্র্যান্ডের রুম হিটারগুলোই চলছে বেশি। রাজধানীর স্টেডিয়াম মার্কেটের শামীম ইলেকট্রনিকসের স্বত্বাধিকারী মো. শামীম হোসেন জানান, চায়না ব্র্যান্ডের বিভিন্ন রুম হিটারের চাহিদা বেশি। এ ছাড়া সনি, নিউ সনিক, রোওয়া, সিঙ্গার ও সাচি ব্র্যান্ডের রুম হিটারও রয়েছে। প্রতিটির সঙ্গে থাকে ১ থেকে ২ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা। বাজারে থাকা রুম হিটারের সুবিধা হচ্ছে প্রতিটির সঙ্গে ফ্যান থাকে, যা গরম কালেও ব্যবহার করা যায়। ফলে এটি সচল থাকবে, যার ফলে হিটার নষ্ট হবে না।

দরদাম
বর্তমানে রুম হিটারের দাম ১ হাজার থেকে শুরু করে প্রায় ১২ হাজার টাকা।

কোথায় পাবেন
ইলেকট্রিক শোরুমগুলোতে রুম হিটার পাওয়া যাবে। তা ছাড়া নিউমার্কেটেও শীতে এই যন্ত্র পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে ঢুঁ মারতে পারেন ফার্মগেট, ধানমন্ডি, মিরপুরের ইলেকট্রিক মার্কেটগুলোতে।