আলিঙ্গন কেন শিশুদের জন্য জরুরি

প্রতিদিন ২০ সেকেন্ডের আলিঙ্গন আপনার সন্তানের জন্য খুব দরকারি। আলিঙ্গন ইতিবাচক প্রভাব ফেলে সুস্বাস্থ্য আর আনন্দের পেছনে। শিশুদের করে তোলে আরও চৌকস। সবচেয়ে বড় কথা হলো, মা–বাবার সঙ্গে বন্ধন হয় আরও দৃঢ়। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাগুলো জেনে নিন এখানে।

চৌকস হওয়ার জন্য

শিশুদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য ইন্দ্রিয় উদ্দীপনা খুব দরকার। স্পর্শ, বিশেষ করে আলিঙ্গন শিশুদের মস্তিষ্ক ও সুস্থ শরীরের জন্য চমৎকার উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।

বেড়ে ওঠার জন্য

মা–বাবার নিয়মিত স্পর্শ না পেলে হাজারো পুষ্টি উপাদান বিফলে যায়। শিশুর শারীরিক বিকাশে দারুণ ভূমিকা রাখে অক্সিটোসিন। শিশুদের সঙ্গে আলিঙ্গন করলে ভালোবাসার হরমোন হিসেবে পরিচিত অক্সিটোসিনের নিঃসরণ হয়। এর ফলে শারীরিক বিকাশে ভূমিকা রাখে এমন আরও অনেক হরমোন সক্রিয় হয়ে ওঠে।

সুস্বাস্থ্যের জন্য

সুস্বাস্থ্যের জন্য আলিঙ্গন জরুরি। আগেই বলা হয়েছে, আলিঙ্গনের ফলে অক্সিটোসিনের নিঃসরণ হয়। এর ফলে শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হয়ে ওঠে শক্তিশালী। এ ছাড়া শিশুর শরীরে থাইরয়েড হরমোনের প্লাজমা লেভেলও কমিয়ে দেয়। এ কারণে শিশুর শরীরের ক্ষতস্থান সেরে ওঠে দ্রুত।

মানসিক সুস্থতার জন্য

শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও আলিঙ্গন খুব কাজে দেয়। এ কারণে দেখবেন, শিশু রেগে গেলে, জেদ করলে বা খুব কান্নাকাটি করলে মা আদর করে জড়িয়ে ধরলেই সব ঠান্ডা হয়ে যায়। অনেক মা–বাবা মনে করেন, শিশু যখন রেগেমেগে চিৎকার করে, তখন আলিঙ্গন করলে উল্টো আরও জেদ বাড়বে, আসলে তা ভুল।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক কাজী রুমানা হকের সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন মাহফুজ রহমান