ছোট পাত্রে মাছের যত্ন

ছোট্ট কাচের জারে দুটি রঙিন মাছের জলজ সংসার। এতে নেই বাড়তি জিনিসপত্রের আধিক্য। কেউ কেউ হয়তো জারের তলানিতে কিছু নুড়িপাথর বিছিয়ে দেয়, কেউ হয়তো সেই পাথরে রোপণ করে গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। সব মিলিয়ে দুটি মাছের এমন নিরিবিলি ভুবন রচনায় আন্তরিক যত্নের প্রয়োজন। এমনটাই জানালেন ঢাকার কাঁটাবন এলাকার অ্যাকুইরিয়ামের মাছ বিক্রেতারা। খেয়াল রাখুন এই বিষয়গুলো—

* প্রথমেই মাছ বাছাই করুন নিরীহ দেখে। এদের মধ্যে সবার আগে আসবে গোল্ডফিশের নাম। তারপর আছে গাপ্পি, অ্যানজেল, রেইনবো, পার্ল গৌরামি, প্লাটিস, নিওন টেট্রা ইত্যাদি মাছ। ছোট জারে ফাইটার ফিশ বা বড় আকারের কোনো মাছ না রাখাই ভালো। ফাইটার এক জারে একটা রাখতে পারেন।

* যে পাত্রে বা প্লাস্টিকের ব্যাগে মাছ নিয়ে আসবেন, সেটার পানিটুকু নতুন পাত্রেও রাখুন। না হলে নতুন তাপমাত্রার পানিতে মাছগুলো অস্বস্তিতে পড়ে যাবে, মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

* প্রতিদিন মাছদের খাবার দিতে হবে নির্দিষ্ট একটি সময়ে। সকালে দেওয়াই ভালো। বেশি খাবার মাছের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মাছগুলো গাপুশগুপুশ করে খেলেও এই লোভ আপনাকেই সামলাতে হবে। দিনে ৮–১০টি দানা দুটি মাছের জন্য যথেষ্ট।

* পানিতে গুল্মজাতীয় গাছ রাখার আগে জেনে নিন, আপনার মাছগুলো পাতা খায় কি না। যেমন গোল্ডফিশ গাছের পাতা খেয়ে ফেলে। ফলে গোল্ডফিশের সঙ্গে গাছ রাখার মানে নেই। আবার প্লাটিস বা গাপ্পির মতো মাছগুলো পাতা খায় না।

* জারের পানি ঘোলা হলেই পরিষ্কার করুন। পরিষ্কারের সময়ও জারের পুরোনো পানি কিছুটা রেখে দিন। শীতের দিনে পানি বদলানোর সময় আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

* ছোট জারে অক্সিজেন দেওয়ার অবকাশ থাকে না, তাই সময়–সুযোগ পেলে পরিষ্কার হাতে অথবা কাঠি দিয়ে পানি নেড়েচেড়ে দিতে পারেন। এর ফলে মাছগুলো ভালোভাবে অক্সিজেন পাবে।