দেশি নকশার পোশাকের প্রচারণা জরুরি

প্রথম আলো কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ডিজাইনাররা। ছবি: খালেদ সরকার
প্রথম আলো কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ডিজাইনাররা। ছবি: খালেদ সরকার

দেশের ডিজাইনারদের তৈরি পোশাকের চাহিদা সারা বিশ্বে। দেশি পোশাকের ইতিহাসের সঙ্গেও মিশে আছে ডিজাইনারদের ঐতিহ্য। তাই দেশি তাঁত আর সৃজনশীল নকশাকে বাঁচিয়ে রাখতে দেশের ফ্যাশনশিল্প নিয়ে সরকারের ভাবা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশের ফ্যাশন ডিজাইনারদের সংগঠন ফ্যাশন ডিজাইনারস কাউন্সিল অব বাংলাদেশের (এফডিসিবি) নেতারা। আজ রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এমন কথা উঠে আসে।

এফডিসিবির প্রতিনিধিরা জানান, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে দেশের ফ্যাশনশিল্পের মাধ্যমে আয়ের একটা বড় সুযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে আরও বেশি ক্রেতা আকৃষ্ট করতে তরুণদের উপযোগী নকশার দেশি পোশাক তৈরির ব্যাপারেও নজর দিতে হবে। ডিজাইনারদের পোশাক অনলাইনের মাধ্যমে যাতে কেনা যায়, সে ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়ার কথা হয়।

ডিজাইনারদের তৈরি পোশাক সারা বিশ্বেই সমাদৃত। এ দেশেও সেটা সম্ভব, দরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ। দেশের ফ্যাশন ডিজাইনারদের কাজ তুলে ধরতে এফডিসিবি ও প্রথম আলো একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলেও সভায় আলোচনা হয়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন এফডিসিবির সভাপতি মাহিন খান, সহসভাপতি এমদাদ হক, সাধারণ সম্পাদক শৈবাল সাহা, কোষাধ্যক্ষ চন্দনা দেওয়ান, নির্বাহী সদস্য কুহু প্লামন্দোন, লিপি খন্দকার ও ফারাহ আনজুম বারী, সদস্য রিফাত রেজা, মুমু মারিয়া, ফাইজা আহমেদ, আফসানা ফেরদৌসী, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, উপফিচার সম্পাদক পল্লব মোহাইমেন, ডিজিটাল ব্যবসায় ব্যবস্থাপক জাবেদ সুলতান, সহসম্পাদক রয়া মুনতাসীর, তৌহিদা শিরোপা, হাসান ইমাম এবং প্রডিউসার অনলাইন ভিডিও জার্নালিজম সারা ফ্যায়রুজ যাইমা।

দেশের ফ্যাশন ডিজাইনারদের নিয়ে ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এফডিসিবি। কয়েক বছর ধরে সিল্ক, টাঙ্গাইল তাঁতের শাড়ি, খাদি নিয়ে ফ্যাশন শো ও প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে সংগঠনটি। আগামী ২৩ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ফ্যাশন উইকের আয়োজন করছে এফডিসিবি। এ আয়োজনে দেশের খ্যাতনামা ডিজাইনারদের পাশাপাশি বিদেশি ডিজাইনাররাও অংশ নেবেন।

সভায় জানানো হয়, ২০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রথম আলোর মঙ্গলবারের ক্রোড়পত্র নকশা দেশি পোশাক ও দেশি ডিজাইনারদের নিয়ে প্রতিবেদন করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই ধারা আরও জোরালো হবে।