বর্ষসেরা আচার নওরীনের

বিজয়ীর হাতে বর্ষসেরা আচারের পুরস্কার তুলে দেওয়া হচ্ছে। ছবি: নকশা
বিজয়ীর হাতে বর্ষসেরা আচারের পুরস্কার তুলে দেওয়া হচ্ছে। ছবি: নকশা

সারা দেশ থেকে জমা পড়েছিল ৭ হাজার ৮৯২টি আচার। এসবের মধ্য ২০১৮ সালের ‘বর্ষসেরা আচার’ তৈরির পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকার নওরীন আহসান। ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয় তাঁর নাম। তার আগে ১৯তম প্রাণ জাতীয় আচার প্রতিযোগিতা-২০১৮–এর পুরস্কার দেওয়ার এই অনুষ্ঠানে শিল্পীদের দলীয় সংগীত আর নাচের পরিবেশনা ছড়িয়েছিল মুগ্ধতা। তবে মূল আকর্ষণ ছিল বিজয়ীদের ঘিরেই। বর্ষসেরা আচারের জন্য নওরীন পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন দুই লাখ টাকা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি। তিনি বলেন, ‘আচার আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। আমাদের নারীরা বহুকাল থেকে বাড়িতে আচার তৈরি করে আসছেন, যা আমাদের খাবারের অভিজ্ঞতাকে আনন্দময় করে তোলে। কিন্তু আচার তৈরি করা নারীরা সেটাকে বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে বিবেচনা করতেন না। নারীদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতাটি একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে।’

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘প্রাণ গ্রুপ সব সময় এ দেশের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। প্রাণের বিভিন্ন ধরনের পণ্য এখন বিশ্বের ১৪৯টি দেশে পাওয়া যাচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রাণ গ্রুপ। নারীদের কাজকে সম্মান জানাতেই আমরা এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করি।’

প্রতিবারের মতো এবারও বর্ষসেরা আচার বিজয়ীর পাশাপাশি টক, ঝাল, মিষ্টি ও অন্যান্য—এ চারটি বিভাগে ১২ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। টক বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানের পুরস্কার জেতেন যথাক্রমে চট্টগ্রামের নূরী মুসাইয়াদাহ, ঢাকার শাবানা ও নারায়ণগঞ্জের আফিয়া আজিজা। মিষ্টি বিভাগে প্রথম যশোরের সৈয়দা আসমা, দ্বিতীয় ঢাকার রাফেজা রশীদ ও তৃতীয় টাঙ্গাইলের ছালমা মালেক। ঝাল বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে বরিশালের আবিদা সুলতানা, ঢাকার শারমিন জামান ও খুলনার মর্জিনা খানম। অন্যান্য বিভাগে ঢাকার ফারজানা আফরিন প্রথম পুরস্কার, লায়লা ইয়াসমিন দ্বিতীয় পুরস্কার এবং খুলনার অপরুপা তৃতীয় পুরস্কার লাভ করেন।

প্রতিটি বিভাগের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার ছিল ৫০ হাজার টাকা, ওয়াশিং মেশিন ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন। এ ছাড়া ৩৫ জন পান শুভেচ্ছা পুরস্কার। গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোফাসসারা সুলতানার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি বিচারক প্যানেল প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের বিজয়ীদের নির্বাচন করেন।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন সুরের ধারার শিল্পীরা, সংগীতশিল্পী সালমাসহ অনেকে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (করপোরেট ফিন্যান্স) উজমা চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা ও চ্যানেল আইয়ের নির্বাহী পরিচালক ইসরারুল হক প্রমুখ। চ্যানেল আই ছিল এই প্রতিযোগিতার সহযোগী।