লালে লাজ নয়

অনেক নারী মাসিক বা পিরিয়ড নিয়ে কথা বলতে লজ্জা পান। নীরবতার এই সংস্কৃতি ভাঙার ভাবনা থেকে ‘লাল’ উৎসবের আয়োজন করে যাত্রা বিরতি। রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত যাত্রা বিরতিতে ১৯ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি ৫ দিন ধরে চলে লাল উৎসব।

পিরিয়ড নিয়ে আলোচনা ছাড়াও উৎসবে ছিল চিত্র প্রদর্শনী, গান, কবিতা, নাচ, যোগব্যায়াম ও কর্মশালা। মাসিকের সময়ে কৃত্রিম নয়, বরং প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে প্রদর্শন করা হয়েছে অর্গানিক কাপ। এ ছাড়া প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে স্যানিটারি ন্যাপকিন, যা চাইলে বারবার পরিষ্কার করে অনেক দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা সম্ভব। এই ধরনের উপকরণ শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয়। বরং কৃত্রিম উপাদানের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়ায় পরিবেশের ক্ষতি হয়। প্রাকৃতিক ন্যাপকিনসহ অন্য উপকরণগুলো থেকে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না।

লাল উৎসবে প্রায় ৩২টি চিত্রকর্ম প্রদর্শন করা হয়েছে। উৎসব মাথায় রেখে চিত্রগুলোতেও লাল রং প্রাধান্য পেয়েছে। মাসিক ও নারীদের নিয়ে কাজ করছে এমন কিছু বেসরকারি সংস্থা অংশগ্রহণ করেছে লাল উৎসবে। সংস্থাগুলো হলো নারীপক্ষ, আস্থা ফাউন্ডেশন, কথা ফাউন্ডেশন, প্রজেক্ট কন্যা ও পরি অ্যাপ।

প্রাকৃতিক ন্যাপকিন, অরগানিক কাপ ও পিরিয়ডে ব্যবহৃত অন্য উপকরণ এখন থেকে পাওয়া যাবে যাত্রাবিরতিতে।

লাল উৎসবের প্রথম দিন গানে অংশ নিয়েছেন সুরিন এস কে অ্যান্ড ইউ এন ওয়াই। ২০ ফেব্রুয়ারি গানের মঞ্চ উন্মুক্ত ছিল উৎসবে আসা দর্শনার্থী ও অংশগ্রহণকারীদের জন্য। এ ছাড়া সভ্যতা, প্রিমা নাজিয়া আন্দালিব, সফি মণ্ডল ও আনুশেহ আনাদিল গান গেয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। উৎসবের শেষ দিনে গান পরিবেশন করেছেন ব্যান্ড দল ঘাস ফড়িং।