চকচকে চামচ

চামচের উপাদান বুঝে ধুতে হবে। ছবি: নকশা
চামচের উপাদান বুঝে ধুতে হবে। ছবি: নকশা

খাবার তৈরি থেকে পরিবেশন। চামচের ভূমিকা এখানে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেলার কাজের জিনিস চামচ। স্টেইনলেস স্টিল, রুপা, কাঠ, কাঁসা, তামা, পিতল, মেলামাইন বা প্লাস্টিকসহ নানা ধরনের উপকরণে তৈরি করা হচ্ছে চামচগুলো। প্রতিদিন ব্যবহার করা হয় বলে পরিষ্কারের বিষয়টিও চলে আসে। দামি, নকশা তোলা যে চামচগুলো প্রতিদিন ব্যবহার করা হয়, সমস্যা আছে সেগুলো নিয়েও। ময়লা জমে যায় খাঁজে খাঁজে। একটু যত্ন নিলেই চকচকে থাকবে চামচ।
প্রতিদিনের রান্না বা খাবার পরিবেশনের জন্য নকশা ছাড়া যে চামচগুলো ব্যবহার করা হয় তেল, হলুদ, মসলা, খাবার লেগে ময়লা হয়ে যাচ্ছে। কাজ শেষে এগুলো বাসন ধোয়ার তরল বা বার সাবান–জাতীয় পরিষ্কারক দিয়ে ধুয়ে নিলেই চকচকে হয়ে যায়। আবার যে চামচগুলোয় নকশা কাটা বা খাঁজ রয়েছে, সেসব খাঁজ বা নকশার ফাঁকে একবার ময়লা ঢুকে গেলেই হলো। সাধারণ নিয়মে আর পরিষ্কার হতে চায় না। সে ক্ষেত্রে সাবান–পানিতে ব্রাশ ডুবিয়ে ধীরে ধীরে পরিষ্কার করতে হবে নকশার ফাঁকফোকরের ময়লা। প্রতিদিন না হোক, কিছুদিন পরপরই পরিষ্কার করলে ঝকঝকে থাকবে। নয়তো ময়লা আপন মনে কালচে দাগ ফেলে দেবে। স্টেইনলেস স্টিল, মেলামাইন বা কাঠের চামচ সাবান–জলে নরম মাজুনি দিয়ে হালকা ঘষে নিলেই ময়লা, তেল-ঝোলসহ চর্বির দাগ চলে যাবে।

রুপার চামচ পরিষ্কার করা বিষয়ে ‘রূপাঘরের’ মালিক সুজল কর্মকার বলেন, বাড়িঘরে ব্যবহৃত রুপার চামচ প্রথমে রিঠাজলে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর ব্রাশ দিয়ে আলতো ঘষে দাগ–ময়লা তুলে ফেলতে হবে। নিয়মিত পরিষ্কার করলেই এসব জিনিসপত্র নতুনের মতো থাকবে। খুব ময়লা বা কালো দাগ হয়ে গেলে রুপার দোকানে দিলে পরিষ্কার করে দেবে। এ ছাড়া সাবান–জল তো আছেই, এতেও ভালো পরিষ্কার হবে।
টাঙ্গাইলের নিবারণ কর্মকার আজীবন বানিয়েছেন কাঁসা, তামা ও পিতলের থালা, বাসন, কলসি, জগ, চামচ ইত্যাদি। তিনি বলেন, এগুলো আজকাল আর প্রতিদিন ব্যবহার হয় না। অব্যবহারেরও তৈজসপত্রে একরকম কালচে দাগ পড়ে। যাঁরা প্রতিদিন চামচ, হাতা ব্যবহার করেন, তাঁরা ব্যবহার শেষে নিয়ম করে শুধু ছাই দিয়ে ঘষে নিলেই পরিষ্কার থাকবে। ছাইয়ের সঙ্গে সামান্য সাবানের গুঁড়া মিশিয়ে নারকেলের ছোবড়া দিয়ে মেজে নিলেই উজ্জ্বল দেখাবে।
দীর্ঘদিন অব্যবহারের কারণে কালচে দাগ পড়ে গেলে তেঁতুলগোলা জল দিয়ে মাজুনির সাহায্যে মেজে পরিষ্কার করে নেওয়া যায়। একই নিয়মে যদি কিছুদিন পরপর তামা, কাঁসা, পিতলের চামচ বা অন্যান্য জিনিস পরিষ্কার করা যায়, তবে সেগুলো নতুনের মতোই থাকবে। বছরে এক বা দুবার দোকানে দিয়েও পরিষ্কার করিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া আজকাল এসব জিনিস পরিষ্কার করার পরিষ্কারক হাতের কাছের দোকানেই কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলোও ব্যবহার করা যেতে পারে।