শিশুকে রাখবে কোমল 'জাস্ট ফর বেবি'

শীতকাল বিদায় নিলেও এবার যেন শীত যাচ্ছে না। এর মধ্যে আবার আগাম বর্ষা, মাঝে মাঝে বসন্তের মাতাল হওয়া। সুযোগ বুঝে রোদটাও যেন তেজি হতে চাইছে। সব মিলে প্রকৃতি যেন মেতে উঠেছে হারজিত খেলায়। আবহাওয়ার পরিবর্তনে এই সময়ে ত্বকটাও যেন হয়ে পড়ছে কিছুটা শুষ্ক, রুক্ষ। শিশুদের ত্বক খুবই স্পর্শকাতর হওয়ায় এ সময়ে ত্বক জলীয় বাষ্প হারিয়ে শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে ওঠে। মাঝেমধ্যে নানাবিধ সমস্যাও দেখা দেয়। তাইতো আমাদের ছোট্ট সোনামণির এমন শুষ্ক ও রুক্ষ পরিবেশে ত্বকের জন্য চাই বিশেষ যত্ন।

শিশুর ত্বকের যত্নের বিষয়টিতে মা-বাবাসহ পরিবারের সবাইকে সচেতন থাকতে হয়। বিভিন্ন মৌসুমের আগে বাড়তি একটা প্রস্তুতিও নিতে হয়। বড়দের ত্বকের সঙ্গে শিশুর ত্বক মিলিয়ে ফেললে চলবে না। আসলে শীত বা গরম, যা-ই হোক না কেন, শিশুকে গোসল করানোর ক্ষেত্রে হালকা উষ্ণ বা কুসুম কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা উচিত। গোসলের জন্য ভালো মানের বেবি ওয়াশ ব্যবহার করা উচিত। ক্ষারযুক্ত সাবান শিশুর ত্বকে একেবারেই ব্যবহার করা উচিত নয়। তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সব ধরনের তেল শিশুদের জন্য উপযোগী নয়। শিশুকে নিয়মিত অলিভ অয়েল দিয়ে মালিশ করা ভালো। এ ছাড়া ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখতে লোশনের ব্যবহার জরুরি।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক খালেকুজ্জামান শিপন বলেন, শিশুর এক মাস বয়স থেকে বেবি ওয়াশ, বেবি অয়েল বা লোশনের ব্যবহার করা যায়। তবে শিশুর ত্বকের ধরন বুঝেই পণ্য ব্যবহার করা উচিত। অনেক শিশুর বংশগত অ্যালার্জি থাকে বা ত্বকে শুষ্কভাব প্রবল থাকে। এসব ক্ষেত্রে সব সময় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। ক্ষারযুক্ত সাবান বা পণ্য শিশুর ত্বকে ব্যবহার করা উচিত নয়। শিশুর নাজুক ত্বকের জন্য সব সময় ভালো মানের পণ্য ব্যবহার করা উচিত।

শিশুদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের কথা চিন্তা করেই ‘প্যারাসুট জাস্ট ফর বেবি’ ব্র্যান্ডের তিনটি পণ্য বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে ম্যারিকো বাংলাদেশ। প্রাকৃতিক জলপাই ও আমন্ডের ‘গুণসমৃদ্ধ’ জাস্ট ফর বেবি অয়েল, জাস্ট ফর বেবি লোশন এবং জাস্ট ফর বেবি ওয়াশ রয়েছে এই পণ্য তালিকায়।

প্রাকৃতিক জলপাই ও আমন্ডের গুণসমৃদ্ধ হওয়ায় ‘জাস্ট ফর বেবি অয়েল’ শিশুর ত্বকে খুব সহজেই মিশে যায়। প্রতিদিনকার মালিশের জন্য খুবই উপযোগী এই তেল। ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ এই তেল দিয়ে নিয়মিত মালিশ শিশুর হাড়ের গঠনকে মজবুত করে। এই তেল শিশুর ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রেখে একে নরম রাখে। ১০০ ভাগ নিরাপদ উপকরণ দিয়ে তৈরি। এতে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা নেই।

আমন্ড ও জলপাই তেলসমৃদ্ধ ‘প্যারাসুট জাস্ট ফর বেবি লোশন’ ২৪ ঘণ্টা শিশুর ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ধরে রেখে ত্বককে শুষ্ক ও রুক্ষ হওয়া থেকে বাঁচায়। ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ এই লোশন খুব সহজে ত্বকে মিশে গিয়ে প্রাকৃতিকভাবে শিশুর ত্বককে নরম রাখে। ১০০ ভাগ নিরাপদ উপকরণ দিয়ে তৈরি এই পণ্য ব্যবহারে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা নেই।

শিশুর চুল ও ত্বক পরিষ্কারে ‘প্যারাসুট জাস্ট ফর বেবি বডি অ্যান্ড হেয়ার ওয়াশ’ অত্যন্ত কার্যকর। এটি ব্যবহারে চমৎকার সুগন্ধ ছড়ায়। ‘নো টিয়ার্স ফর্মুলা’ থাকায় এটি ব্যবহারের সময় শিশুর চোখ জ্বলে না। এটি প্রাকৃতিকভাবে শিশুর ত্বককে পরিষ্কার করে, রাখে উজ্জ্বল। ১০০ ভাগ নিরাপদ উপকরণ দিয়ে তৈরি এই পণ্য ব্যবহারে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা নেই।

ছোট শিশুর ত্বক হয় নরম ও সংবেদনশীল। প্রত্যেক মা-বাবারই উচিত জন্মের পর থেকেই শিশুর ত্বকের যত্ন নেওয়া। অনেকে শিশুর ত্বকের যত্নে বড়দের পণ্যসামগ্রী ব্যবহার করেন, যা খুবই ভুল। বাজারে শুধু শিশুদের জন্য তৈরি অনেক পণ্য পাওয়া যায়। তবে সঠিক পণ্য বাছাইয়ে সতর্ক থাকতে হবে। শিশুদের ত্বক খুব পাতলা, নাজুক ও স্পর্শকাতর হয়। তাই শিশুর ত্বকে ব্যবহৃত পণ্যটি সুগন্ধি, অ্যালকোহল ও অন্যান্য কেমিক্যালবিহীন কি না, তা নিশ্চিত হয়ে নেওয়া উচিত। বাচ্চার ত্বক বুঝে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পণ্য ব্যবহার করতে হবে।