যক্ষ্মা কখন সন্দেহ করবেন

যক্ষ্মা এখনো বড় একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। যক্ষ্মা যে কারোরই হতে পারে। যক্ষ্মারোগীর কাছাকাছি থাকেন, এমন ব্যক্তি, যেমন পরিবারের সদস্য, চিকিৎসক, নার্স বা সেবা-শুশ্রূষাকারীর আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। ধূমপান, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, মাদকাসক্তি, বার্ধক্য, অপুষ্টি ইত্যাদি যক্ষ্মার ঝুঁকি বাড়ায়। যাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম, যেমন এইডস রোগী, দীর্ঘ মেয়াদে স্টেরয়েড বা ইমিউনোথেরাপি ওষুধসেবীরাও যক্ষ্মার ঝুঁকিতে আছেন।

শতকরা ৮৫ ভাগ যক্ষ্মা ফুসফুসে হয়ে থাকে। ফুসফুসের আবরণী, লসিকাগ্রন্থি, মস্তিষ্ক ও এর আবরণী, অন্ত্র, হাড় বা ত্বকেও হতে পারে যক্ষ্মা।

যক্ষ্মার জীবাণু চারদিকেই আছে

চারপাশের পরিবেশে, বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে যক্ষ্মার জীবাণু। শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে ছড়ায় বলে আমরা যক্ষ্মার জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকি। অনেক সময় জীবাণু সুপ্ত অবস্থায় থাকে, এর উপসর্গ বোঝা যায় না এবং রোগ ছড়ায় না। কোনো একসময় পরে সুপ্ত যক্ষ্মা সক্রিয় যক্ষ্মায় রূপ নিতে পারে।

কখন সন্দেহ করবেন

তিন সপ্তাহের অধিক সময় ধরে কাশি (শুকনো/ কফযুক্ত), কাশির সঙ্গে রক্ত, বুকে ব্যথা, ওজন হ্রাস, অবসাদ, অরুচি, সন্ধ্যায় হালকা কাঁপুনি দিয়ে জ্বর (৯৯-১০১ ডিগ্রি), রাতে ঘাম হলে অবশ্যই যক্ষ্মা সন্দেহ করে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা উচিত। লসিকাগ্রন্থির স্ফীতি, মলত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন, পেটব্যথা, বুকে বা পেটে পানি জমা, খিঁচুনি বা অজ্ঞান হয়ে পড়া ইত্যাদিও যক্ষ্মার ভিন্ন উপসর্গ।

যক্ষ্মা হলে রক্ষা আছে

চিকিৎসায় যক্ষ্মা সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়। দুই ধরনের চিকিৎসা আছে। এক, ছয় মাস ধরে ওষুধ খাওয়া। দুই, আট–নয় মাস ধরে ওষুধ খাওয়া। যক্ষ্মা প্রতিরোধে জন্মের পরপর প্রত্যেক শিশুকে বিসিজি টিকা দেওয়া হয়। হাঁচি, কাশি ও কফের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। তাই রাস্তাঘাটে হাঁচি-কাশির বেগ এলে মুখে রুমাল চাপা দেওয়া উচিত। যত্রতত্র কফ ফেলা উচিত নয়।

 আগামীকাল পড়ুন: মেনোপজ ও পুষ্টি

প্রশ্ন-ত্তর

প্রশ্ন: আমি ছাত্র। তিন বছর ধরে মাথার ডান দিকে প্রচণ্ড ব্যথা, সঙ্গে চোখ ও ঘাড় ব্যথাও করে। ডান দিকে চাপ বোধ করি। স্মৃতিশক্তিও কমে যাচ্ছে। করণীয় কী?

উত্তর: বর্ণনা শুনে মাইগ্রেনের ব্যথাই মনে হচ্ছে। আবার মানসিক চাপ থাকলে টেনশন হেডেক হতে পারে। মাইগ্রেনের আধুনিক চিকিৎসা আছে এবং জীবনাচরণে কিছু পরিবর্তন আনতে হয়। মানসিক চাপ নেবেন না। প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ