যন্ত্রে ভাত রান্না এবং...

বাড়িতে রান্নার কাজ প্রতিদিনই করতে হয়। ঝটপট ও ঝামেলা ছাড়া এই কাজ করার জন্য বাজারে পাওয়া যায় নানা রকম যন্ত্র। সরঞ্জামের শুরু আছে, শেষ নেই। রাইস কুকার এই তালিকার বেশ ওপরের দিকেই রয়েছে। ভাত তো রান্না করাই যায়, চাইলে সবজি রান্না, ভর্তা, খাবার গরম করা ইত্যাদি নানা কাজে লাগতে পারে রাইস কুকার।

একের মধ্যে অনেক

ভাত, মাছ, সবজি, খিচুড়ি, পোলাও, বিরিয়ানি, তেহারিসহ নানা খাবার রাইস কুকারে রান্না করা যায়। রান্না করার জন্য পরিমাণমতো উপকরণ দিয়ে সুইচ টিপলেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাবার তৈরি হয়ে যায়। রাইস কুকারের রান্নায় ঝামেলা নেই। স্বয়ংক্রিয়ভাবে রান্নার পাশাপাশি খাবার গরমও থাকে এতে। একই সঙ্গে খাবারে ভাপ দেওয়ার কাজটাও করা যায় এ যন্ত্রে।

দরদাম

বাংলাদেশি বহুজাতিক (মাল্টিন্যাশনাল) ব্র্যান্ড ওয়ালটনের রয়েছে ২৬টি মডেলের বৈদ্যুতিক রাইস কুকার। ১ থেকে ২ দশমিক ৮ লিটারের এসব রাইস কুকারের দাম ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে নতুন এসেছে দেশে তৈরি ছয়টি মডেলের রাইস কুকার। এগুলোর দাম ২ হাজার ২০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা। এই রাইস কুকারে তিন মাসের বদলে দেওয়ার (রিপ্লেসমেন্ট) ওয়ারেন্টিসহ এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা মিলবে।

এ ছাড়া ওয়ালটনের রয়েছে মাইক্রোকম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত দুটি মডেলের অত্যাধুনিক রাইস কুকার। এলইডি পর্দা রয়েছে এতে। এই রাইস কুকারে রয়েছে মাল্টিকুকিং মুড। এতে ভাত, পরিজ, পিৎজা, কেক, দইসহ ৯ ধরনের ডিফল্ট কুকিং ফাংশন রয়েছে। মুরগি, গরু ও খাসির মাংস, সামুদ্রিক মাছ, সব ধরনের সবজিসহ সাত রকম খাবার রান্না করা যাবে। এই দুই মডেলের রাইস কুকারের দাম ৭ হাজার ও ৭ হাজার ৫০০ টাকা।

দেশি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি মালয়েশীয় ও চীনা ব্র্যান্ডের রাইস কুকার রয়েছে বাজারে। এগুলোর মধ্যে নোভা, বস, কনিয়ন অন্যতম। দাম ১ হাজার ৯৫ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া বাজারে ট্রান্সটেক, ফিলিপস, এলজি, ভিশন, প্যানাসনিক, বাটারফ্লাই প্রভৃতি পরিচিত ব্র্যান্ডের রাইস কুকারও রয়েছে।

কোথায় পাবেন

ওয়ালটন রাইস কুকার পাওয়া যাবে যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশকের দোকানে। এ ছাড়া অন্য ব্র্যান্ডের রাইস কুকার পাওয়া যায় প্রাণের আরএফএলের রিটেইল চেইন শপ আরএফএল বেস্ট বাই, ঢাকার নিউমার্কেট, স্টেডিয়াম মার্কেট, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, রামপুরাসহ আগোরা, স্বপ্নের মতো সুপারশপে। পরিচিত ব্র্যান্ডের রাইস কুকারগুলো তাদের নিজস্ব দোকানে পেয়ে যাবেন।

রাইস কুকারের যত্নআত্তি

■ রান্না করার পর পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

■ ধোয়ার পর ভালোভাবে মুছে ফেলুন।

■ খোলামেলা আলো-বাতাস আছে, এমন জায়গায় রাইস কুকার রাখতে হয়।

■ রান্না করার পর বিদ্যুতের সুইচটি বন্ধ করে রাখুন।

■ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রান্না করা উচিত। রান্না করার সময় তাড়াতাড়ি রান্না সম্পন্ন হওয়ার জন্য বেশি তাপমাত্রা ব্যবহার করা ঠিক নয়।

■ রান্না করার মধ্যে বিদ্যুৎ চলে গেলে সুইচ বন্ধ করে রাখুন। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর রান্না অসম্পূর্ণ থাকা অবস্থায় ঢাকনা খুলবেন না।