অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে ওঠেন?

ডিপিএলডি বা ডিফিউজ প্যারেনকাউমাল লাঙ ডিজিজ একটি জটিল রোগ, যাতে ফুসফুসের কার্যকারিতা ধীরে ধীরে বিনষ্ট হয়ে যায়। এই রোগের প্রধান দুটি লক্ষণ হলো শুকনো কাশি ও অল্প পরিশ্রমেই শ্বাসকষ্ট বা হাঁপিয়ে ওঠা। এই কাশি কোনো অ্যান্টিবায়োটিক বা ওষুধে সারতে চায় না। শ্বাসকষ্ট ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং একসময় স্থায়ী রূপ নেয়, তখন পরিশ্রম ছাড়াও কষ্ট হতে থাকে। এর সঙ্গে বাতব্যথার সমস্যাও থাকতে পারে।

ফুসফুসে সিলিকা কণার দূষণ (সিলিকোসিস), কিছু দীর্ঘমেয়াদি রোগ (যেমন-রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস, সারকোয়ডোসিস), দেরিতে ধরা পড়া বা জটিল যক্ষ্মাসহ আরও নানা অজানা কারণে ডিপিএলডি হতে পারে।

ডিপিএলডি সাধারণ পরীক্ষা-নিরীক্ষায় না–ও ধরা পড়তে পারে। বুকের এক্স-রের সঙ্গে বিশেষ ধরনের সিটি স্ক্যান বা এইচআরসিটি করতে হয়। এ ছাড়া স্পাইরোমেট্রি, ডিফিউশন ক্যাপাসিটি নির্ধারণ, প্রয়োজনে ব্রংকোস্কপি এমনকি ফুসফুস বায়োপসিও করা দরকার হতে পারে।

ডিপিএলডির চিকিৎসা তার পেছনের কারণের ওপর নির্ভর করে। যেমন সারকোয়ডোসিসের মতো রোগে চিকিৎসায় বেশ সুফল পাওয়া যায়, আবার কোনো কোনোটিতে তেমন কোনো কার্যকর চিকিৎসা নেই। চেস্ট ফিজিওথেরাপি, উপসর্গ কমানোর ওষুধই ভরসা। তবে নানা ধরনের আধুনিক চিকিৎসা নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। হয়তো অচিরেই কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি দেখা যাবে।

ডিপিএলডির চিকিৎসার চেয়ে তাই প্রতিরোধই উত্তম। যক্ষ্মা নির্ণয় ও চিকিৎসায় অবহেলা করা যাবে না মোটেও। তিন সপ্তাহের অধিক সময় কাশি বা জ্বর, ওজন কমতে থাকলে অবশ্যই সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা নিন। যক্ষ্মার চিকিৎসা সঠিক ডোজ ও মেয়াদে সম্পূর্ণ করুন। যাঁরা কারখানায় কাজ করেন, তাঁদের ফুসফুস দূষণ থেকে বাঁচার জন্য বিশেষ সুরক্ষা দরকার। বাতব্যথা থাকলে সময় থাকতে সুচিকিৎসা নিন। কেননা, পরবর্তী সময়ে এর জটিলতা থেকে ফুসফুসে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আগামীকালপড়ুন: কাশি কমাতে ব্যায়াম

প্রশ্ন-ত্তর

প্রশ্ন: আমার বয়স ২০ বছর। শরীর দিন দিন ভেঙে যাচ্ছে। আমার করণীয় কী?

উত্তর: স্বাস্থ্য খারাপ হওয়া বা ওজন কমার কারণ কী, তা বের করতে হবে। ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের সমস্যা, দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণ, যক্ষ্মা, হজমের সমস্যা ইত্যাদি কারণে এমন হতে পারে। কারণটির চিকিৎসা করলে নিশ্চয় সমাধান হবে।

ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন