বাজারের বাহারি ব্যাগ

বাজারের ব্যাগটিও হতে পারে নজরকাড়া। ছবি: নকশা
বাজারের ব্যাগটিও হতে পারে নজরকাড়া। ছবি: নকশা

কেনাকাটা সেরে বাড়ি ফেরার পথে হুট করে আসা ঝুম বৃষ্টিতে কাগজের বাজারের ব্যাগ ভিজে একশা। দরকারি জিনিসগুলো ‘টুপটাপ’ পড়তে লাগল ভিজে ছিঁড়ে যাওয়া ব্যাগের কোনা দিয়ে। সঙ্গে একটি মাত্র পার্স। কী আর করা। ছেঁড়া কাগজের ব্যাগে দরকারি জিনিসগুলো মুড়িয়ে আঁকড়ে ধরে বাড়ি ফিরতে হবে। অভিজ্ঞতাটা সুখকর নয় মোটেও। ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে কেনাকাটা করতে বেরোলে দেখতাম, বাসা থেকেই একটি বা দুটি ব্যাগ নিয়ে যেতে, যাতে দোকান থেকে দেওয়া জিনিসগুলো বা ছোট শপিং ব্যাগগুলো বড় ব্যাগে নিয়ে সহজেই বহন করা যায়। সকালে বাজারে যাওয়ার আগে আলাদা ব্যাগ নিয়ে যেতে দেখতাম বাবাকে।

কাঁচাবাজারের জন্য এখনো আলাদা ব্যাগ (যেমন চটের ব্যাগ) রাখার চল আছে কমবেশি সব বাড়িতেই। বাজারে যাওয়ার সময় হাতে বড় একটি ব্যাগ রাখা বুদ্ধিমানেরই কাজ। ব্যাগটা হতে পারে নকশা করা সুন্দর প্লাস্টিকের। অথবা চট বা জুটের। হাতে সুন্দর একটা বাজারের ব্যাগ থাকলে দেখতে তো ভালো লাগেই। পাশাপাশি সুবিধাও হয় বাজারের সময়।

বড় ব্যাগ চাই
প্রচলিত ব্যাগের বাইরে বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ বাজারের কাজে ব্যবহার করতে পারেন। ঠিক বাজারের ব্যাগ হিসেবে না কিনলেও যেকোনো ব্যাগকে বাজারের ব্যাগ হিসেবে ব্যবহার করতে তো দোষ নেই। আজকাল কাগজের শপিং ব্যাগের বদলে কাপড়ের ব্যাগ দেওয়া হয় অনেক দোকান থেকেই। এটি নিঃসন্দেহে পরিবেশবান্ধব। আবার ব্যাগ ভিজে ভেতরের জিনিসগুলো পড়ে যাওয়ার ভয়ও থাকে না। তবে কেনাকাটার ব্যাগ কাগজের হোক বা কাপড়ের, হোক ফলমূল কেনা বা বইখাতা—বড় একটা ব্যাগ সঙ্গে রাখতে পারেন। অনেক অসুবিধা থেকেই বেঁচে যাবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাগের চেইন খোলা বা বন্ধ রাখতে পারেন। আলাদাভাবে এ ধরনের বাজারের ব্যাগ বেছে নিলে একটা ব্যাগ আপনি দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে পারবেন।

উপকরণ-নকশায় বৈচিত্র্য

বড় ভ্যানিটি ব্যাগও কাজে লাগানো যায়। পুরোনো একটা ব্যাগ ফেলে দেওয়ার চেয়ে তা বাজার করার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে সুবিধাজনক উপকরণের নতুন একটা ব্যাগ কিনেও নিতে পারেন। প্যারাস্যুট কাপড় বা রেক্সিন–জাতীয় উপকরণের ব্যাগ বেছে নেওয়া যায়। কৃত্রিম লেদারের ব্যাগও কোনো কোনো ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যায়। রাজধানীর নিউমার্কেট ও চাঁদনী চক মার্কেটে ব্যাগের খোঁজ পেতে পারেন। এই এলাকায় হকারদের কাছেও বড় ব্যাগ পেতে পারেন।

ভেজার ভয় না থাকলে বেছে নিতে পারেন পাটের ব্যাগও। আড়ংয়ের স্ক্রিন প্রিন্ট, ফয়েল প্রিন্ট বা এমব্রয়ডারি করা পাটের ব্যাগগুলো দেখতেও বেশ। আকার-আকৃতিতেও আছে বৈচিত্র্য। কোনোটি একেবারে গোলাকার। কোনোটির বাইরে দড়ির চিকন বুননের কিংবা কাপড়ের বাড়তি স্তর। ডোরাকাটা নকশার ব্যাগও পাবেন। গোলাপ বা অন্য ধরনের ফুলেল নকশা করা ব্যাগ বেছে নিতে পারেন। কোনো ব্যাগের হাতল আবার বেতের তৈরি। বাজার করে বাড়িতে আসার পর ব্যাগটা পরিষ্কার করে নিন। ব্যাগের ভেতরটা পরিষ্কার রাখলে সেখান থেকে দুর্গন্ধ হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। এ ধরনের ব্যাগগুলো পাওয়া যাবে বিভিন্ন দোকানে। দাম ২০০ থেকে ৭০০ টাকার ভেতরে।