স্মার্ট পোশাকের দুনিয়া

ফ্যাশন শোতে ছিল দেশি–বিদেশি ডিজাইনারের পোশাক
ফ্যাশন শোতে ছিল দেশি–বিদেশি ডিজাইনারের পোশাক

পোশাকজুড়েই সোলার বা সৌরবিদ্যুতের প্যানেল। সেই পোশাক পরলে সহজেই পকেটে থাকা নিজের মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়া যাবে কিংবা রাতে সাইক্লিংয়ের জন্য মাথার হেলমেটের ছোট্ট বাতিটি জ্বলানো যাবে।

জগিংয়ের সময় শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। সেই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আছে স্মার্ট টি-শার্ট। পোশাকটি নিজে নিজেই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে। আবার শরীরের সুগার ও হৃৎস্পন্দন মাপার জন্য বর্তমানের স্মার্টঘড়ির বদলে চলে আসছে বিশেষ টি-শার্ট। সেটি নিজেই শরীরের সুগার ও হৃৎস্পন্দন পরিমাপ করে তথ্য দেবে।

ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ফ্যাশনোলজি সামিটে ২ মে রাতে এমন সব তাক লাগানো স্মার্ট পোশাক দেখা গেল ফ্যাশন শোতে। দেশি-বিদেশি ডিজাইনারের পোশাক পরে মডেলরা হাঁটেন ফ্যাশনমঞ্চে।

দ্বিতীয়বারের মতো ফ্যাশনোলজি সামিটের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ। দিনব্যাপী এই সম্মেলনে পাঁচটি অধিবেশন হয়। ১৫টি দেশের ৪১ জন বিশেষজ্ঞ আলোচক অংশ নেন এসব অধিবেশনে। তাঁরা স্মার্ট পোশাকের ভবিষ্যৎ বাজারের নানা বিষয়ে কথা বলেন।

সৌরবিদ্যুতের প্যানেলের ব্যবহার দেখা যায় পোশাকে
সৌরবিদ্যুতের প্যানেলের ব্যবহার দেখা যায় পোশাকে

আলোচকেরা বলেন, স্মার্ট দুনিয়ার পোশাক-আশাক স্মার্ট হতে শুরু করেছে। নামীদামি ব্র্যান্ডগুলো স্মার্ট পোশাক তৈরিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। অনেকটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে থাকলেও স্মার্ট পোশাকের বৈশ্বিক বাজার বর্তমানে আড়াই থেকে তিন হাজার কোটি মার্কিন ডলারের। ২০২৫ সালে এই বাজারের পরিসর বেড়ে ১৩ হাজার কোটি ডলার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে পোশাক রপ্তানিতে টিকে থাকতে হলে স্মার্ট পোশাক তৈরি ছাড়া কোনো বিকল্প পথ নেই।

বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আধুনিক বিশ্বের পোশাক সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি আমাদের দেশের পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের প্রস্তুত করার জন্যই আমরা দুই বছর ধরে ফ্যাশনোলজি সামিট করছি। আমাদের উদ্যোগের কারণে অনেকেই স্মার্ট পোশাক তৈরিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।’

গতবারের ফ্যাশনোলজি সামিটে স্মার্ট পোশাকের ফ্যাশন শো বিদেশ থেকে ভাড়া করা পোশাকে করা হয়েছিল। তবে এবার চট্টগ্রামের ডেনিম এক্সপার্ট নামের পোশাক কারখানায় দুই মাসের চেষ্টায় ফ্যাশন শোর অর্ধেক পোশাক তৈরি করা হয়েছে।

কারখানাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘চেষ্টা করলে সব করা যায়। আমরাও যে অন্যদের থেকে পিছিয়ে নেই, সেটি আমরা করে দেখিয়েছি।’

ফ্যাশনোলজি সামিটের পাশাপাশি একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো। দুই দিনের এই প্রদর্শনীতে দেশ-বিদেশের ৬৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। প্রতিষ্ঠানগুলো ডেনিম কাপড়, পোশাক, সরঞ্জাম ইত্যাদি প্রদর্শন করেছে।