বাসন-কোসন থাকুক জীবাণুমুক্ত

তরল পরিষ্কারক দিয়ে সহজেই জীবাণুমুক্ত করা যায় থালা, বাটি ইত্যাদি। ছবি: অধুনা
তরল পরিষ্কারক দিয়ে সহজেই জীবাণুমুক্ত করা যায় থালা, বাটি ইত্যাদি। ছবি: অধুনা

পরিবারকে সুস্থ রাখতে থালা–বাসন পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত থাকা দরকার। খাবার শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে থালা–বাসন ধুয়ে ফেলা উচিত। থালা–বাসন রেখে দিলে তিন-চার ঘণ্টা পর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ শুরু হয়। ব্যাকটেরিয়া–সংক্রমিত পাত্রে খাবার রাখলে গন্ধ হয়ে যায় আর দুগ্ধ জাতীয় খাবার নষ্ট হয় দ্রুত, ফলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খাওয়ার আগে ও পরে থালা–বাসন পরিষ্কার করার জন্য অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ডিস ওয়াশ লিকুইড অনেকেই ব্যবহার করেন।

বাসন ধোয়ার তরল

প্রাণ–আরএফএল গ্রুপের সান বেসিক কেমিক্যাল লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং মোহাম্মদ মারুফুর রহমান জানান, টিনোসান–সমৃদ্ধ গ্লিটার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ডিস ওয়াশ লিকুইডের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট থালা–বাসনকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে দীর্ঘক্ষণ ধরে জীবাণুমুক্ত রাখে।

রামপুরার মহানগর প্রজেক্টের একটি সুপারশপে কথা হয় ব্যাংকার নুসরাত জাহানের সঙ্গে। ‘প্রয়োজনেই প্রতিদিন থালা–বাসনসহ বিভিন্ন বাসনকোসন ব্যবহার করা হয়। সেটা বেশির ভাগ সময় দিনে একাধিকবারও ব্যবহার হয়। আবার অনেক উপকরণ আছে, সেটা অনেক দিন পরপর ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। ব্যবহার করার আগে ও পরে থালা–বাসন পরিষ্কার করতে আমার ভরসা এই ধরনের তরল।’ সরল স্বীকারোক্তি নুসরাত জাহানের। শুধু নুসরাত জাহানই নন, রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, বাসনকোসন
পরিষ্কার করার জন্য সবার কাছেই প্রিয় গ্লিটার।

এখন সবাই স্বাস্থ্য সচেতন। পরিবারের সুস্থতার বিষয়ে কোনো ছাড় দিতে রাজি নন নারীরা। আগে থালা–বাসন পরিষ্কার করার জন্য চুলার ছাই ব্যবহার করা হতো। এতে বাসনকোসন ভালোভাবে পরিষ্কার হতো না। এর ফলে পেট খারাপসহ বিভিন্ন অসুখ হতো পরিবারের সদস্যদের। অসুখ–বিসুখ থেকে রক্ষা পেতে এবং থালা–বাসন সুন্দরভাবে পরিষ্কার করার জন্য ডিস ওয়াশ তরলের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রিন রোডের রোকেয়া ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের বিক্রয় ব্যবস্থাপক মো. মামুন মিয়া জানান, স্বাস্থ্যসচেতন নারীরা থালা–বাসন পরিষ্কার করতে এখন ব্যবহার করেন ডিস ওয়াশ লিকুইড।

এছাড়া বাজারে ভিম, ট্রিক্স, ওয়ান্ডার, স্বপ্নসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ডিস ওয়াশ লিকুইড পাওয়া যায়।

দরদাম

বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন গ্লিটার ২৫০ মিলিগ্রাম পাউচপ্যাক ও ৫০০ মিলিগ্রাম প্লাস্টিক বোতলে বাজারে বিপণন হচ্ছে, যার বাজারমূল্য
যথাক্রমে ৪৫ টাকা ও ৯৫ টাকা। এছাড়া ভিমের ২৫০ মিলিগ্রামের দাম ৪২ টাকা, ৫০০ মিলিগ্রামের প্লাস্টিক বোতলের দাম ৯৫ টাকা; ট্রিক্সের ২৫০ মিলিগ্রাম ৪৫ টাকা, ৫০০ মিলিগ্রামের প্লাস্টিক বোতন ৯৫ টাকা; ওয়ান্ডারের ২৫০ মিলিগ্রাম ৪৫ টাকা, ৫০০ মিলিগ্রাম ৯৫ টাকা, ৯০০ মিলিগ্রামের বড় বোতলের দাম ১৫০ টাকা ও স্বপ্নের ৫০০ মিলিগ্রামের প্লাস্টিক বোতলের দাম ৮৫ টাকা।

কোথায় পাবেন

সারা দেশের জেলা–উপজেলাসহ গ্রাম অঞ্চলের ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, রাজধানী ঢাকার স্বপ্ন, আগোরা, মীনা বাজারসহ ঢাকার শপিং সেন্টার ও বিভিন্ন পাড়া–মহল্লার দোকানে ডিস ওয়াশ লিকুইড পাওয়া যায়।

ব্যবহারবিধি

● ভেজা মাজুনিতে প্রয়োজনমতো তরল ঢেলে নিন।

● মাজুনিটি ঘষে ফেনা হলে ময়লা দাগ লাগা সব থালা–বাসন মেজে নিন।

● পানিতে ধুলেই জীবাণুমুক্ত চকচকে পরিষ্কার থালা–বাসান।

সতর্কতা:

● শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

● সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখুন।