মেহেদির নকশায়

হাত ভরে নকশা করার চল এখন। মডেল: সোনম, সাজ ও মেহেদির নকশা: কিউবেলা, ছবি: নকশা
হাত ভরে নকশা করার চল এখন। মডেল: সোনম, সাজ ও মেহেদির নকশা: কিউবেলা, ছবি: নকশা


চাঁদরাতে মেহেদি পরার চল এখনো আগের মতোই। যদিও আগের মতো এবাড়ি–ওবাড়ি ঘুরে মেহেদি পাতা তুলে পাটায় পিষে মেহেদি পরার চল নেই। বরং আজকাল মেহেদি পরায় এসেছে নানা রকম সুবিধা। ফলে নকশাও হচ্ছে বৈচিত্র্যময়।

দুই হাতের কনুই পর্যন্ত আলপনাসহ নানা থিমের নকশা দেখা যায়। ‘টিউব মেহেদিতে হাতের নকশা হয় অত্যন্ত সূক্ষ্ম। মন যেমন চায় তেমনি করেই পরা যায়।’ বলছিলেন বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি পারলারের স্বত্বাধিকারী শারমিন কচি।
শারমিন কচি জানালেন, এ বছর মেহেদি পরার চলে তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। তবে আগের নকশাগুলোই একটু ভিন্নভাবে হাতে ফুটিয়ে তোলা হবে। হাতে, বাহুতে, হাতের উল্টো পিঠে মেহেদি আঁকা হবে জ্যামিতিক বা আলপনার মতো নান্দনিক নকশায়।
ঈদের মৌসুমে বিয়ের অনুষ্ঠানও দেখা যায় অনেক। এ ক্ষেত্রে নতুন বউ বা বিয়ের কনেদের দুহাত ভরা জমকালো নকশার মেহেদি দেখা যাবে। কিশোরীদের হাতে সূক্ষ্ম অথচ সরল নকশা বেশি ভালো দেখাবে। মেহেদি পরার আগে পরে মানতে হয় কিছু নিয়মকানুন তাতে করে হাতে মেহেদির রং হয় পাকা। মেহেদির গাঢ় রঙে হাতের নকশা দেখতে ভালো লাগে। কীভাবে হাতের রং গাঢ় পাকা হবে জেনে নিন সেই নিয়মও।

মেহেদি পরার আগে
*মেহেদি পরার আগে ব্লিচ করা যাবে না, এতে রং গাঢ় হবে না।
*লোশন বা তেলজাতীয় কিছু লাগানো যাবে না।
*মেহেদি পরার আগে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ভালো করে শুকিয়ে নিয়ে তবেই মেহেদি পরতে হবে।
*ওয়াক্সিং করা যাবে না। কারণ ত্বক অতিরিক্ত মসৃণ হয়ে গেলে ঠিকমতো রং বসবে না।


মেহেদি পরার পরে
*মেহেদি পরার পর শুকিয়ে ঝরে গেলে হাত সাবান দিয়ে ধোয়া যাবে না।
*লেবু ও চিনির একটি মিশ্রণ তৈরি করে হাতে লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেললে রং পাকা হবে, বাড়বে স্থায়িত্বও।
*মেহেদির রং পাকা করতে হলে তাড়াহুড়ো করে তুলে ফেলা যাবে না বা ড্রায়ার দিয়ে শুকিয়ে ফেলা যাবে না। বেশি সময় হাতে রাখলে রং গাঢ় হবে।