প্রয়োজনে ওয়াশিং মেশিন

কাপড় ধোয়ার মতো ভারী কাজের সহজ সমাধান হতে পারে ওয়াশিং মেশিন। ছবি: অধুনা
কাপড় ধোয়ার মতো ভারী কাজের সহজ সমাধান হতে পারে ওয়াশিং মেশিন। ছবি: অধুনা

ব্যস্ত নগরে সকাল থেকে রাত অবধি সবাই কর্মমুখর। কাজের প্রয়োজনে নিজেকে পরিপাটি করে রাখতে হয়। প্রতিদিনই নিজেকে সুন্দরভাবে বাইরে বের হতে হয়। অফিসে যেতে হয় পরিপাটি করে। সবার কাছে বা অফিসে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পোশাকের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। কিন্তু পোশাক তো প্রতিদিন পরিষ্কার করার সুযোগ হয় না সবার। তাই নিজের পোশাক পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখতে ভরসার নাম ওয়াশিং মেশিন।

ভরসার নাম ওয়াশিং মেশিন

ব্যাংকার মিথিলা রহমানকে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অফিস করতে হয়। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন পরিপাটি পোশাক পরে বাইরে বের হতে হয় এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হয়। এ জন্য চাই পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন পোশাক। তাই আমার ভরসার নাম ওয়াশিং মেশিন।’ শুধু মিথিলা রহমানেই নয়, নাগরিক এই শহরের অনেকেই নিজেকে আরও বেশি স্মার্ট ও আধুনিক রাখতে ওয়াশিং মেশিনের ওপর ভরসা রাখেন। বর্তমানে দেশের মানুষের কাছে আস্তে আস্তে ওয়াশিং মেশিন আস্থার জায়গা করে নিচ্ছে। আধুনিক জীবনে পরিপাটি থাকাটা জরুরি। সে জন্য পরনের কাপড় হওয়া চাই পরিষ্কার ও পরিপাটি। ঝামেলাবিহীন ঝটপট কাপড় ধোয়া ও শুকানোর জন্য চাহিদা বাড়ছে ওয়াশিং মেশিনের। ওয়াশিং মেশিন আপনার জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে।

দরদাম

বাংলাদেশের বাজারে সিঙ্গার আকর্ষণীয় ডিজাইন ও উন্নত মানের ওয়াশিং মেশিন নিয়ে এসেছে। বাজারে সিঙ্গারের তিন ধরনের ওয়াশিং রয়েছে। এগুলো হলো অটোমেটিক, সেমি অটোমেটিক ও ম্যানুয়াল। বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে সব ওয়াশিং মেশিন আবার দুই ধরনের—টপ লোডিং ও ফ্রন্ট লোডিং। বাজারে সিঙ্গারের বেশ কয়েকটি মডেলের ওয়াশিং মেশিন রয়েছে। সিঙ্গার ৬ কেজি সেমি অটো ওয়াশিং মেশিন বাজারে সাধ্যের মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ মূল্যে ওয়াশিং মেশিনটি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ৬ হাজার ৯৯৯ টাকায়। ওয়াশিং মেশিনটির মোটরের ওয়ারেন্টি ৫ বছর, তবে পুরো মেশিনটির ওয়ারেন্টি ১ বছর। ওয়াশিং মেশিনটিতে থাকছে ৬.৫ কেজি অটো টপ লোড। আরও রয়েছে টেম্পারড গ্লাস এবং অ্যালুমিনিয়াম মোটর। এই ক্যাটাগরির ওয়াশিং মেশিনটির মূল্য ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৯০০ টাকা। এক বছরের ওয়ারেন্টির পাশাপাশি মেশিনটির মোটরের ওয়ারেন্টি রয়েছে ৫ বছর। ৮ কেজি ওয়াশিং মেশিনটি সহজেই ব্যবহার করা যায়, যা একই সঙ্গে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। ৫ বছরের মোটর ওয়ারেন্টি ও এক বছরের পূর্ণ ওয়ারেন্টিসহ পণ্যটির মূল্য ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৪৯০ টাকা। সিঙ্গারের ১১ কেজি ওয়াশিং মেশিনে রয়েছে অ্যাফোর্ডেবল ডাবল টাব। ওয়াশিং মেশিনটির মূল্য রাখা হয়েছে ১৩ হাজার ৯৯০ টাকা। পণ্যটির মোটরের ওয়ারেন্টি ১ বছরের, সেই সঙ্গে এতে রয়েছে ১ বছরের পূর্ণ ওয়ারেন্টি।

এ ছাড়া ট্রান্সটেক, স্যামসাং, ওয়ার্লপুল, প্যানাসনিক, এলজি, সনি-র‌্যাংগস, ভিশন, ওয়ালটনসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ওয়াশিং মেশিন পাওয়া যায়। এই ওয়াশিং মেশিন টেকসই ও মজবুত। রয়েছে ৬ মাস থেকে ৩৬ মাসের কিস্তিসুবিধা। ওয়াশিং মেশিন বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়। ৫ থেকে ৩০ কেজির ওয়াশিং মেশিনের দাম ২৫ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকার মধ্যে।

ওয়াশিং মেশিন ব্যবহারের সুবিধা

অটোমেটিক মেশিন কাপড় ধোয়ার সময় প্রয়োজন অনুযায়ী পানি নিজেই নিয়ে নেয়। ধোয়া শেষে পানি ঝরিয়ে কাপড় শুকিয়ে দেয়। সেমি অটোমেটিক মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় ব্যবহারকারীকে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি দিতে হয়। এই মেশিনও কাপড় ধোয়ার পর পানি ঝরিয়ে শুকিয়ে দেয়। অটোমেটিক মেশিনে কাপড় ধোয়া সহজ। কাপড় দিয়ে স্টার্ট বাটনটি চাপলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাপড়ের পরিমাণ অনুযায়ী পানি নিয়ে ধোয়ার কাজ শুরু করে। কাপড় শুকিয়েও যায়। কাজ শেষ হলে যন্ত্রটি থেমে যায়। অন্যদিকে সেমি অটোমেটিক ও ম্যানুয়াল ওয়াশিং মেশিন ব্যবহারকারীকে নির্দিষ্ট বাটন চেপে নির্দেশনা দিতে হয়।

কোথায় পাবেন

ট্রান্সকম ইলেকট্রনিকস লিমিটেড, ওয়ালটন, স্যামসাং, সিঙ্গার, প্যানাসনিক, এলজি, সনি–র‍্যাংগ্‌স ও শার্পের শোরুমে এ পণ্য পাওয়া যায়। এ ছাড়া নিউমার্কেট, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা সিটি, মৌচাক মার্কেট, রামপুরা, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, পুরান ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটে ওয়াশিং মেশিন পাওয়া যায়।

সতর্কতা

• দেওয়া উচিত নয়। এতে মেশিনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।

• নিয়মিত ওয়াশিং মেশিন পরিষ্কার করা উচিত।

• মেশিনের গন্ধ হলে পানিতে ২ কাপ লেবুর রস বা ভিনেগার মিশিয়ে মেশিন পরিষ্কার করুন।

• মেশিনের সঙ্গে পানির পাইপের সংযোগ যেখানে, সেই জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

• ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করার পর বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে রাখুন।

• মেশিন সমতল জায়গায় রাখুন। কাপড় কাচার সময় নড়বে না।