গাড়ি চালানোর সময়...

অনেকেই নিজের গাড়ি নিজেই চালান। আবার পেশাদার গাড়িচালক আছেন অনেকে। আজকাল উবার সার্ভিসে গাড়ি চালাতে শুরু করেছেন অনেক মানুষ। কিন্তু গাড়ি চালানোর সময় সঠিক দেহভঙ্গির অভাবে ও অসতর্কতায় অনেক সময় মেরুদণ্ড ও ঘাড়ে নানা সমস্যা দেখা দেয়। পেশাদার গাড়িচালকেরা, যাঁরা দীর্ঘ সময় গাড়ি চালান, তাঁরা এ ধরনের সমস্যায় পড়েন বেশি। অনেকের মেরুদণ্ডের সমস্যার জন্য বাধ্য হয়ে পেশা ছেড়ে দিতে হয় বা জীবিকার পথ বন্ধ হয়। তাই যাঁরা ড্রাইভিং সিটে বসছেন, তাঁদের জন্য রইল কিছু পরামর্শ।

■ সঠিকভাবে বসুন

বসার জায়গাটি মানানসই করে নিন। গাড়িতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কমান্ড সেন্টার যেখানে বসে আপনি ক্লান্তিহীন এবং আরামদায়ক অবস্থানে গাড়ি চালাতে পারেন। এ জন্য হেলান অংশটুকু কিছুটা পেছনে বাঁকিয়ে রাখুন, দুই পায়ের মধ্যে পর্যাপ্ত জায়গা ও সমন্বয় রাখুন।

গাড়ি চালানোর সময় সামনের দিকে উভয় কাঁধ, পিঠ ঝুঁকে রাখলে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা এবং সমস্যা তৈরি হতে পারে। সে জন্য কাঁধ এবং পিঠের নিচের অংশে বা কোমরে সাপোর্ট বা নরম বালিশ ব্যবহার করবেন। গাড়ির স্টিয়ারিং চালু রাখবেন, তার ওপর হাত বিশ্রাম অবস্থায় বেশিক্ষণ রাখা যাবে না।

■ মানিব্যাগের ওপর বসবেন না

পেছনের পকেটে মানিব্যাগ রেখে বসবেন না। এতে শরীরের নিম্নাংশে চাপ লেগে আপনার জন্য স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না–ও হতে পারে।

■ স্টিয়ারিং হুইল মানানসই করে নিন

আপনার উভয় কাঁধ, কনুই, কবজির অবস্থানের সঙ্গে স্টিয়ারিংয়ের ঘূর্ণন, গতি, দিক পরিবর্তন করে মানানসই করে নিন। অতিমাত্রায় একই অবস্থানে স্টিয়ারিং ব্যবহার করলে আপনার হাত ক্লান্ত হয়ে যেতে পারে, জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে। বুকের মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

■ গাড়ির আয়না ঠিক করে নিন

বাইরে দুই পাশের আয়না আপনার দৃষ্টিসীমার সঙ্গে এমনভাবে ঠিক করুন, যাতে পেছনে ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত আপনি দেখতে পারেন। ভেতরের আয়নার অবস্থানও সুবিধা অনুযায়ী মানানসই করে নিন। এমনভাবে করুন, যাতে ঘাড় বেশি না ঘুরিয়েই দেখতে পান।

■ দীর্ঘ ভ্রমণে বিরতি নিন

প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর বিশ্রাম নিন। এতে শরীরের মাংসপেশিগুলো আরাম পায়, রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়।

■ ভ্রমণ শেষে পুরোপুরি বিশ্রাম নিন

ভ্রমণ শেষে শরীরে কিছু স্ট্রেচিং ব্যায়াম করে নিন। এতে আপনার মাংসপেশি, লিগামেন্ট, টেন্ডনের জড়তা কেটে যাবে।

এস এম ফারহান বিন হোসেন, ক্লিনিক্যাল অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, সিআরপি, মিরপুর, ঢাকা

আগামীকাল পড়ুন: আবার ডেঙ্গু