ত্বকে আমচর্চা

ত্বকের যত্নেও গুণবান আম। মডেল: সারাকা, সাজ: হারমনি স্পা, ছবি: নকশা
ত্বকের যত্নেও গুণবান আম। মডেল: সারাকা, সাজ: হারমনি স্পা, ছবি: নকশা

ঘরে ঘরে এখন আমের জয়জয়কার। এই ফল খেতে ভালোবাসে না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়াও ভার। পাকা আমের মধুর রস যাদের ভালো লাগে না, তাদেরও মেনে নিতে হবে যে আম গুণী একটা ফল। মোট ২০ ধরনের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ যে ফলে আছে, তা গুণী না হয়ে যায় কোথায়! তাই আম শুধু খেয়েই নয়, ত্বকের যত্নেও ব্যবহার করা যায়। এমন তথ্য দিলেন হারমনি স্পার কর্ণধার ও আয়ুর্বেদিক রূপ বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা।

পাকা আমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি, কে, বি৬ ইত্যাদি রয়েছে। ত্বকের জন্য এটি খুব উপকারী। আম তো ঘরে আছেই। কয়েকটা প্যাক বানিয়ে ত্বকের যত্ন শুরু করে দিতে পারেন। রাহিমা সুলতানা বাতলে দিলেন কীভাবে এই প্যাকগুলো তৈরি করতে হয়। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন পাকা আমের প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক থাকবে সতেজ ও উজ্জ্বল। বজায় থাকবে সঠিক আর্দ্রতা।

.
.

২ টেবিল চামচ আমের মণ্ড, ১ চা-চামচ দুধ ও আধা চা-চামচ মধু নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এই প্যাক ত্বকের যত্নে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। ত্বকের আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়।

  পাকা আমের খোসাও কিন্তু বেশ উপকারী। রোদে শুকিয়ে ১ টেবিল চামচ টক দইয়ের সঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বক সুস্থ করতে চাইলে এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

 লাল আটার সঙ্গে আমের মণ্ড মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিতে পারেন। এই প্যাক ব্রণের গভীরে ঢুকতে পারে। ব্রণ শুকিয়ে নতুন টিস্যু তৈরি করতে সাহায্য করে।

  বলিরেখা কিংবা ত্বকের পোড়া ভাব দূর করতে পাকা আমের ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। ঘরে বসেই তৈরি করতে পারবেন এই ক্রিম। প্রথমে ৪ টেবিল চামচ আমের মণ্ড নিয়ে ছেঁকে নেবেন। এর সঙ্গে পরে ২ টেবিল চামচ গোলাপজল, ১ চা-চামচ গ্লিসারিন, ২টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও ব্লেন্ড করা অ্যালোভেরার মণ্ড মিশিয়ে নিন। বাজার থেকে কেনা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার না করে তাজা অ্যালোভেরা ব্যবহার করাই উত্তম। সঙ্গে আরও মেশাতে পারেন কাঁচা হলুদের পেস্ট অথবা গুঁড়া। তবে হলুদে যদি কারও অ্যালার্জি থাকে তাহলে তা না মেশালেও হবে। সবকিছু একসঙ্গে ব্লেন্ডারে মিশিয়ে নিলে ক্রিম প্রস্তুত হয়ে যাবে। কাচের বয়ামে ভরে এই ক্রিম ফ্রিজে রেখে দিতে পারবেন অন্তত সাত দিন পর্যন্ত। ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিটের মতো রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন।