এক ছাদের নিচে নানা স্বাদ

নানা বয়সের মানুষের সমাগম ঘটে গুলশানের মতো ধানমন্ডির শেফ’স টেবিলেও। ছবি: অধুনা
নানা বয়সের মানুষের সমাগম ঘটে গুলশানের মতো ধানমন্ডির শেফ’স টেবিলেও। ছবি: অধুনা

এই মুহূর্তে ঢাকা শহরে অন্যতম জনপ্রিয় খাবারের জায়গার নাম জিজ্ঞাসা করা হলে শেফ’স টেবিলের নাম আসবে। ঢাকার জনপ্রিয় বিশেষায়িত বেশ কিছু রেস্তোরাঁর খাবারের স্বাদ একই ছাদের নিচে পাওয়া যায় গুলশান ও ধানমন্ডির শেফ’স টেবিলে। দেশি তেহারি থেকে শুরু করে শ্রীলঙ্কার খাবার, থাই, জাপানি, ইতালীয়—কী নেই এখানে। এটি ইউনিমার্টের একটি উদ্যোগ।

গত বছরের জুলাই মাসে গুলশানে প্রথম শেফ’স টেবিল তার যাত্রা শুরু করে। ভোজনরসিক ও খাদ্যপ্রেমিক মানুষের জন্য এটি আদর্শ জায়গা। গুলশানের শেফ’স টেবিলে ২৪টি রেস্তোরাঁ ও ৩টি খাবারের কার্ট আছে। আর ধানমন্ডিতে আছে ১২টি রেস্তোরাঁ ও ২টা কার্ট। গুলশানের শেফ’স টেবিলে গিয়ে আপনি যেমন থাই খাবারের জন্য পাবেন থাই এমারেল্ড। পুরোপুরি দেশি খাবারের স্বাদ পেতে চাইলে স্বাদ তেহারি ঘর আছে।

এ রকম আরও খাবারের রেস্তোরাঁ আছে  ধানমন্ডি শেফ’স টেবিলে
এ রকম আরও খাবারের রেস্তোরাঁ আছে ধানমন্ডি শেফ’স টেবিলে

দোস লোকোস রেস্তোরাঁতে পাবেন প্রকৃত (অথেনটিক) মেক্সিকান খাবারের স্বাদ। শেফ’স টেবিল কেন জনপ্রিয় জানেন, একজন ভোজনরসিক বলেছিলেন, এখানে সবকিছুই একসঙ্গে খাওয়া যায়। যানজটের এই শহরে পার্কিং নিয়ে ভাবতে হয় না। আবার একটু থাই, একটু মেক্সিকান বা ধরেন শুধু ডেজার্ট খেতে ইচ্ছে করল, এক জায়গায় সব পাবেন। সময় বাঁচে।

গুলশানের শেফ’স টেবিলে সো জুসিতে আপনাকে তাজা ফলের রস বানিয়ে দেবে। ভারতীয় খাবার খেতে চাইলে ‘তরকা’ নামের রেস্তোরাঁতে ঢুঁ মারতে পারেন। টেস্ট অব লঙ্কা আপনার জন্য শ্রীলঙ্কার খাবারের স্বাদ নিয়ে উপস্থিত সেখানে। আরেকটি বিষয় হলো, শেফরা কী বানাচ্ছেন আপনার জন্য, সেটি আপনি নিজের চোখে দেখতে পারবেন। এই স্বচ্ছতাটুকু রাখতে চেয়েছেন তাঁরা। যাতে আগত অতিথিরা আস্থা নিয়ে খাবার খেতে পারেন।

কখনো কেউ ভেবেছিল, জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ স্প্যাগেটি জ্যাজ ধানমন্ডিতে চলে আসবে। যাঁরা খেতে ভালোবাসেন, তাঁদের স্বপ্ন যেন সত্যি হয়েছে। স্প্যাগেটি জাজ, টারকিশ বাজার, অ্যাবস্যুলুট থাই, জাপানি খাবার নিয়ে কিওশি, অজো—সবই এখন আছে ধানমন্ডির শেফ’স টেবিলে। চীনা খাবারের রেস্তোরাঁ আই লাভ মাই হোম আছে এখানে। হাক্কা ঢাক্কা, দ্য ভোজ, আত–তিন রেস্তোরাঁ আছে গুলশানের শেফ’স টেবিলে। এটি সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

শেফ’স টেবিলে এক পরিবার বা কোনো দলের একেকজনের একেক খাবারের দিক টান থাকলেও সমস্যা নেই। যেটা যাঁর পছন্দ, সেটা বেছে নিলেই হলো।

এমন মজাদার ডেজার্টও মিলবে শেফ’স টেবিলে
এমন মজাদার ডেজার্টও মিলবে শেফ’স টেবিলে