ফুরফুরে পোশাকে

আরামদায়ক যেমন হতে হবে, তেমনি এ সময়ে পোশাকের রংটাও যেন হালকা হয়। মডেল: রোশান, পোশাক: ব্যাঙ, স্থান: প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল, ছবি: কবির হোসেন
আরামদায়ক যেমন হতে হবে, তেমনি এ সময়ে পোশাকের রংটাও যেন হালকা হয়। মডেল: রোশান, পোশাক: ব্যাঙ, স্থান: প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল, ছবি: কবির হোসেন
>বর্ষাকাল। তবে রোদের তেজ কম নয়। এ সময় আরামের কথাই ভাবতে হয় সবার আগে। ছেলেরা শার্ট, টি–শার্ট যা–ই পরেন, সেটা হাল ফ্যাশনের আর ফুরফুরে হওয়াই ভালো। রংটাও এমন বেছে নিতে হবে, যাতে চোখে আরাম লাগে।

আঁটসাঁট পোশাক পরে ১০টা–৫টা অফিস। এর বাইরেও তো জীবন আছে। সন্ধ্যায় ঘোরাঘুরি বা ছুটির দিনের আড্ডা তো ক্যাজুয়াল পোশাকেই জমবে। 

পঞ্জিকার হিসাবে বর্ষাকাল চলছে। তবে রোজ বৃষ্টির দেখা নেই। বরং গুমোট গরম। বাইরে গেলেই হাঁসফাঁস লাগে। ছেলেদের পোশাক নির্বাচনে তাই দরকার খানিকটা চিন্তাভাবনা। এ সময় ফুরফুরে পোশাকেই লাগবে আরাম। 

পাতলা কাপড়ের এমন শার্টও এ সময়ে পরা যাবে। পোশাক: ইজি
পাতলা কাপড়ের এমন শার্টও এ সময়ে পরা যাবে। পোশাক: ইজি

টি-শার্ট, পোলো বা পাতলা শার্ট—যেটাই পরেন, সেখানে রং হওয়া চাই এমন যেটি চোখে আরাম দেবে। ডিজাইনারদের ভাষায় ‘লাইট কালার’। এতে প্রশান্তি মিলবে আবার সময়ের সঙ্গেও থাকতে পারবেন। 

ফ্যাশন হাউস ইজির পরিচালক তৌহিদ চৌধুরীর পরামর্শ, ‘অধিকাংশ তরুণই এখন পোলো বা টি-শার্ট পরতে ভালোবাসেন। তাই ভাবনা ছাড়াই এ সময়ে বেশি বেশি টি-শার্ট পরতে পারেন। গরমের দিনে গাঢ় বা কালচে রং এড়িয়ে চোখে আরাম লাগে এমন রং বেছে নিতে হবে।’

চলচ্চিত্র অভিনেতা রোশানও ভালোবাসেন টি-শার্ট পরতে। বললেন, ‘ক্যাজুয়াল থাকতেই বেশি পছন্দ করি। তাই ডেনিম প্যান্টের সঙ্গে টি-শার্ট থাকে আমার পছন্দের তালিকার শীর্ষে। একরঙা টি-শার্ট পরি বেশি। শার্ট পরলেও গরমের কথা মাথায় রেখে সুতির পাতলা কাপড় বেছে নিতে চেষ্টা করি।’ 

বাজারে যা আছে

বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস ঘুরেও দেখা গেল, ছেলেদের অধিকাংশ শার্ট এখন সুতি কাপড়ের। শার্টের ক্ষেত্রে একরঙার চেয়ে ছাপা নকশা বেশি চলছে। জমিনজুড়ে ছাপা যেমন আছে, কিছু কিছু ছাপা আছে শুধু পকেট বা হাতার ব্যান্ডে। শার্টের বাটনপ্লেটেও চিকন লম্বাটে করে ছাপ চোখে পড়ে। জেন্টল পার্কের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘শার্টে তো ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) প্রিন্টও করা হচ্ছে এখন। আর গরমের কারণে যতটা সম্ভব নরম কাপড় দিয়ে শার্ট তৈরি করা হচ্ছে। টি-শার্টে হচ্ছে নানা রকম ওয়াশ।’

বাঙ্গি রঙের পোলো শার্ট সঙ্গে জিন্‌স, দেখাবে সতেজ। পোশাক: ব্যাঙ
বাঙ্গি রঙের পোলো শার্ট সঙ্গে জিন্‌স, দেখাবে সতেজ। পোশাক: ব্যাঙ

একটা কাপড় যখন কোনো ধরনের প্রক্রিয়াকরণ ছাড়াই শার্ট বা টি-শার্টে ব্যবহার করা হয়, তখন সেটা অনেক সময় অমসৃণ ও মোটা থাকে। তাই কাপড় ওয়াশ করে সেটাকে নরম করা হয়। টি-শার্টের কাপড় আরামদায়ক করতে আজকাল একাধিক ওয়াশ করা হচ্ছে। 

কুল ডাই করা টি-শার্ট বেশ কয়েক বছর ধরে জনপ্রিয়। কিছু ফ্যাশন হাউসে এখনো দেখা মিলছে কুল ডাই করা টি-শার্ট। গোল গলার টি-শার্টের সামনের দিকে নানা রকম লেখা ও ছবি আছে। বিশেষ করে তরুণেরা এ ধরনের টি-শার্ট বেশি পরছেন বলে জানালেন দোকানিরা। তবে টি-শার্টের সামনের দিকে বড় কোনো ছবির ছাপ থাকলে সেটার কারণে পর্যাপ্ত বাতাস শরীরে লাগবে না। ফলে ঘেমে যেতে পারেন। তাই টি-শার্ট কেনার ক্ষেত্রে কম জায়গাজুড়ে নকশা দেখে নিতে পারেন। 

রঙের ক্ষেত্রে লেবুরঙা, আকাশি, হালকা গোলাপি, লালচে, সাদা, চাঁপা সাদা, হলুদ, শেওলা ইত্যাদি বেশি ভালো এ সময়। 

মন্দ লাগবে এমন উজ্জ্বল রঙও
মন্দ লাগবে এমন উজ্জ্বল রঙও

যেখানে যেমন দাম

নিউমার্কেট, বঙ্গবাজার, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের মতো দোকানে শার্ট কিনতে গেলে দাম পড়বে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকার মতো। আর টি-শার্ট পাবেন ২০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। পোলো শার্টের দাম এখানে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। 

তবে ফ্যাশন হাউসে শার্টের দাম পড়বে ১ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায়। সেখানে পোলো বা টি-শার্ট কিনতে পারবেন ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। পুমা বা অ্যাডিডাসের মতো আন্তর্জাতিক নানা ব্র্যান্ডের টি-শার্ট পাওয়া যায় ঢাকায়। সেসব টি-শার্ট কিনতে চাইলে কমপক্ষে ২ হাজার টাকা লাগবে।