বার্জার এক্সপেরিয়েন্স জোন

রঙের বাজারে এক জায়গায় সব সেবা বা ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করেছে বার্জার পেইন্টস। রং বিক্রির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের ডিজাইন–সংক্রান্ত পরামর্শ এবং রংমিস্ত্রি (পেইন্টার) সরবরাহ করছে। এ জন্য বার্জার পেইন্টস ঢাকায় 

চালু করেছে ‘এক্সপ্রেস পেইন্টিং সার্ভিস’।

এতে রয়েছে ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) এক্সপেরিয়েন্স জোন। যেখানে গ্রাহকেরা ভিআর যন্ত্রের মাধ্যমে দেখতে পারছেন কোন ধরনের দেয়ালে কী রং আদর্শ। ৪ জুলাই গুলশান ২ নম্বরের বার্জার পেইন্টসের এক্সপেরিয়েন্স জোন সাংবাদিকদের দেখানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রজেক্ট, প্রোলিংকস ও ডেকোর প্রধান মো. হাসানুজ্জামান, ডেকোর ব্যবস্থাপক জি এম হাসানসহ অনেকে। 

হাসানুজ্জামান বলেন, বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি হাতের মুঠোয় থাকায় আসছে নানা পরিবর্তন। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে মানুষের ঘরের দেয়ালে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই বার্জার পেইন্ট নতুন নতুন সেবা চালু করছে। বার্জার পেইন্ট প্রতিবছর কমপক্ষে ১২টি নতুন নকশা বাজারে আনছে। মানুষের রুচি, চাহিদা ও আধুনিকতা মাথায় রেখে এসব ডিজাইন দেশের যেকোনো দিবসকে কেন্দ্র করে বাজারে ছাড়া হচ্ছে। তিনি জানান, গ্রাহকেরা যাতে সরেজমিন ডিজাইন ও রং পছন্দ করতে পারেন, সে জন্য ঢাকায় বার্জার পেইন্টের চারটি এক্সপেরিয়েন্স জোন রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের জন্য ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করেছি। এর ফলে গ্রাহকেরা আমাদের কাছ থেকে পরামর্শসেবা নিতে পারছেন। পাশাপাশি আমাদের দক্ষ পেইন্টারকে দিয়ে রং করিয়ে নিতে পারছেন। চলতি বছরের পাঁচ মাসে (জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত) আমরা ২ লাখ ৯০ হাজার স্কয়ার ফুটের কাজ করেছি।’ 

হাসানুজ্জামান আরও বলেন, দেশব্যাপী বার্জার পেইন্টের এক্সপেরিয়েন্স জোনের আওতায় সেবা বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৫টি এক্সপেরিয়েন্স জোন স্থাপন করা হবে।