সহজ ৪ অভ্যাস রোগ থেকে দূরে রাখবে

রোগ হয়ে গেলে তার চিকিৎসা করার চেয়ে রোগ যেন না হয়, সে চেষ্টা করাই ভালো। অর্থাৎ রোগ নিরাময়ের চেয়ে রোগ প্রতিরোধই শ্রেয়। কিছু সাধারণ স্বাস্থ্যকর অভ্যাস অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। শৈশব থেকেই এ অভ্যাসগুলোর চর্চা শেখাতে পারলে সমাজ অনেকটাই রোগমুক্ত হবে।

১. হাত ধোয়ার অভ্যাস, নখ ছোট রাখা

কোনো কিছু খাওয়ার আগে অবশ্যই হাত সাবান–পানি দিয়ে ১৫–২০ সেকেন্ড সময় ধরে ভালো করে ধুয়ে নিন। এ ছাড়া টয়লেট ব্যবহারের পরে, যেকোনো ময়লা বস্তু স্পর্শ করার পর, না-ধোয়া ফলমূল, শাকসবজি ধরার পরে, হাত দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে হাঁচি দেওয়ার পরে বা হাত দিয়ে নাক পরিষ্কার করার পরে হাত ধুয়ে নিন। হাত না ধুয়ে কখনোই কোনো কিছু মুখে দেবেন না। এমনকি নাকে ও চোখেও লাগাবেন না। হাতের নখ ছোট রাখুন। হাতের নখ ছোট রাখা ও নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস টাইফয়েড, আমাশয়, কলেরা, ডায়রিয়া, হেপাটাইটিস-এ, কৃমিরোগ, চোখ ওঠা ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

২. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

খাবার খান সময়মতো। কোনো বেলার খাবারই একেবারে বাদ দেবেন না। বিশেষ করে সকালের নাশতা। খাবার হতে হবে সুষম। খাবারে থাকতে হবে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ক্যালরি, খাদ্য-আঁশ, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। শাকসবজি গ্রহণ করুন পর্যাপ্ত। তেলের পরিমাণ ও ধরন হতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত। সুষম খাদ্যাভ্যাস ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কিছু কিছু ক্যানসার ও স্থূলতা প্রতিরোধে সহায়ক। মাছি বসা খাবার, বাসি খাবার, অনেকক্ষণ বাইরে রেখে দেওয়া খোলা খাবার বা অপরিষ্কার হাতে পরিবেশন করা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। খাওয়ার পরে, বিশেষ করে রাতে, দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস করুন।

৩. নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম

হাঁটা, দৌড়ানো, জগিং করা, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো ইত্যাদি শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের উদাহরণ। প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন যেকোনো ব্যায়াম করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে তা ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, কিছু কিছু ক্যানসার ইত্যাদি প্রতিরোধে সহায়ক হবে।

৪. পরিচ্ছন্নতা বোধ

নিয়মিত গোসল করুন। পরিচ্ছন্ন জামাকাপড় পরবেন। অন্যের ব্যবহার করা ব্যক্তিগত জিনিস যেমন রুমাল, তোয়ালে, চিরুনি, টুথব্রাশ, টুপি, জামাকাপড় ইত্যাদি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। যেখানে–সেখানে কফ–থুতু ফেলবেন না কখনো। রাস্তাঘাটে তো নয়ই। যেখানে–সেখানে ময়লা–আবর্জনাও ফেলবেন না। সাধারণত এসব নাগরিক অভ্যাস থেকেই বেশির ভাগ রোগ ছড়ায়।

আগামীকাল পড়ুন: পায়ের রগে টান

প্রশ্ন-ত্তর

প্রশ্ন: আমার মেয়ের বয়স ১৫ বছর। সে অতিরিক্ত পরিমাণে লেবু ও টকজাতীয় খাবার খায়। এতে কি তার শরীরের কোনো অসুবিধা হতে পারে?

উত্তর: টকজাতীয় ফলমূলে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। তাই তা খাওয়া ভালো। তবে এগুলো অম্লজাতীয়, তাই অ্যাসিডিটি হতে পারে। খালি পেটে বেশি না খাওয়াই ভালো। অ্যাসিডিটির সমস্যা না হলে খেতে বাধা নেই। আখতারুন নাহার, পুষ্টিবিদ