চুল তাজা ফুলে ফলে

ফুলে–ফলে চুল থাকবে সুন্দর। মডেল: কৃত্তিকা, ছবি: কবির হোসেন
ফুলে–ফলে চুল থাকবে সুন্দর। মডেল: কৃত্তিকা, ছবি: কবির হোসেন

চুলের নিয়মিত সমস্যাগুলো থেকে রেহাই দেয় বাড়তি যত্ন। চুলের বাড়তি যত্নে আয়ুর্বেদিক উপায় এখন পর্যন্ত প্রশংসিত। এ ক্ষেত্রে ফল-ফুল বেশ কার্যকর। সুঘ্রাণ আর স্বাদের পাশাপাশি নানা ধরনের ফুল ও ফল চুলকে করতে পারে প্রাণবন্ত আর মজবুত। 

এখন চুলের যত্নে ফুল বলতে জবা আর বেলি সহজলভ্য। ফলের মধ্যে আমলকী, হরীতকী, বহেড়া, শিকাকাই, রিঠা ও লেবু চুলের জন্য খুব উপকারী। কীভাবে ঘরে বসে চুলের যত্নে এগুলো ব্যবহার করতে পারবেন, তার কিছু টোটকা দিলেন হারমনি স্পার রূপ বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা। 

ফুল

জবার তেল চুলের গোড়া মজবুত করতে ও চুল কালো করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। জবা ফুল বেটে সরাসরি চুলে লাগাতে পারেন। তেলও তৈরি করতে পারেন। তেল তৈরি করতে জবা ফুলের রস অথবা বাটা জবা ফুল, নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। 

বেলি ফুলে যে অ্যাসেনশিয়াল তেল থাকে, সেটা চুলের জন্য খুব ভালো। জবার মতো একইভাবে বেলি ফুলের পেস্ট ও নারকেল তেল জ্বাল দিয়ে নিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগিয়ে নিতে পারেন। 

ফল

নারকেল তেলের সঙ্গে আমলকী পেস্ট মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। গোড়া মজবুত ও কালো চুল পেতে ব্যবহার আবশ্যক। 

চুলে সরাসরি হরীতকী অথবা শিকাকাই পেস্ট ব্যবহার করা যাবে। দুটো ফলই চুলকে মজবুত ও কালো করতে সাহায্য করে। 

চুলকে মসৃণ করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন বহেড়া পেস্ট। 

সারা রাত পানিতে রিঠা ভিজিয়ে রেখে সেই পানি দিয়ে চুল ধুলে চুল হবে পরিষ্কার। শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার উভয়ের কাজ করে দেবে এই এক ফল। 

লেবুর কথা তো অনস্বীকার্য! নারকেল তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। ফলাফল—ঝরঝরে মসৃণ চুল। 

প্যাকগুলো চুলে লাগানোর পর শুকিয়ে গেলে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাবেন। এই প্যাকগুলো তৈরিতে ঝামেলাও নেই। অন্তত সাপ্তাহিক ছুটির দিনটাকে চুলের যত্নে কাজে তো লাগানোই যায়।