ঈদের আগে

ঈদুল আজহায় কাজ কম নয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে পুরো কাজটা সম্পন্ন করা এক বিশাল দায়িত্ব। ছোট ভুলের কারণে জীবাণুর সংক্রমণও হতে পারে। প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো রাখুন হাতের নাগালে। কাজ করার সময় ঝামেলা কমে যাবে অনেকটাই। 

ঢাকার গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসমিয়া জান্নাত বলেন, এই মৌসুমে বৃষ্টির পানি ও রাস্তার নর্দমা উপচে পড়া পানি মিলে ভয়াবহ সংক্রমণের এক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। জীবাণুনাশকের সাহায্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখা স্থানে কোরবানির সব কাজ করা উচিত। কাজের জায়গায় আলাদাভাবে পলিথিন বা মোটা প্লাস্টিকের শিট বিছিয়ে নেওয়া অনেকটাই আবশ্যক।

পরিচ্ছন্নতা চাই
কোরবানির মাংস ঘরে এনে প্যাকেট করার পরই যে কেবল মেঝে পরিষ্কার করতে হবে, তা নয়; বরং কোরবানির আগের দিন এবং কোরবানির দিনও কোরবানির আগে ঘরের মেঝে ডিটারজেন্ট, জীবাণুনাশক পদার্থ এবং গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে রাখতে হবে। সুয়ারেজের পানি উপচানো এই শহরের বাসিন্দারা রোজই ঘরে ফেরেন ময়লা পানি মাড়িয়ে। তাই ঘরের মেঝে শুধু কোরবানি উপলক্ষে নয়, বরং স্বাভাবিকভাবেই সপ্তাহে ২-৩ দিন জীবাণুনাশক দ্রবণ দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত।

খেয়াল রাখুন
কোরবানির মাংস ভাগ-বাঁটোয়ারা ও গুছিয়ে তোলার কাজটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করতে হবে। জায়গাগুলো জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। বাড়ির বাইরের জায়গাগুলো পরিষ্কারের ক্ষেত্রে ব্লিচিং পাউডারও ব্যবহার করতে পারেন। ১-২ দিনের জন্য ব্লিচিং পাউডার দিয়ে রাখা ভালো। অনেক সময় গাড়ির গ্যারেজে কোরবানি করা হয়, কিন্তু রক্ত গড়িয়ে যায় রাস্তায়। কোনোভাবেই কোনো স্থান অপরিষ্কার অবস্থায় ফেলে রাখা যাবে না। অপরিচ্ছন্ন স্থান মাছি ও জীবাণুদের প্রকোপ বাড়ায়। বাড়ির বাইরের জায়গাগুলোর পরিচ্ছন্নতায় সিটি করপোরেশনের সহায়তা নিতে পারেন।

কোনো কোনো ফ্রিজ থেকে পরিষ্কার পানি বা রক্তমিশ্রিত পানি উপচে আসতে পারে। পানিনিষ্কাশনের চেম্বারে পানি জমতে পারে। যেকোনো জমাট পানি নিষ্কাশন করে ফেলতে হবে দ্রুত। কোনো অবস্থাতেই পানি জমে থাকতে দেওয়া যাবে না। জমাটবাঁধা পানিতে মশা জন্ম নিতে পারে, যে মশা ডেঙ্গু জ্বরের মতো মারাত্মক রোগও ছড়ায়। এমনকি কোরবানির পর গ্রামের বাড়ি বা অন্য কোথাও বেড়াতে গেলেও বিষয়টি ভুলে গেলে চলবে না। কারণ, এটি শুধু নিজের পরিবারের জন্যই নয়, বরং তা এলাকা ও দেশের মানুষের প্রতি দায়িত্বও বটে।