সাইকেল-বৃত্তান্ত

ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় পাবেন এমন সাইকেল সারানোর দোকান
ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় পাবেন এমন সাইকেল সারানোর দোকান

বাইসাইকেল এখন অনেকেরই প্রিয় বাহন। বিশেষকরে তরুণ প্রজন্মের কাছে। পছন্দসই ও ভালো মানের বাইসাইকেল কিনতে যেতে পারেন পুরনো ঢাকার বংশালে। যেখানে ঢাকার সবচেয়ে বড় ও প্রধান সাইকেলের বাজার এখানে।দাম নির্ভর করবে ব্র্যান্ড, ফ্রেম সাইজ, সাইকেলে ব্যবহূত উপাদান এর বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন বিষয়ের ওপর। স্বাভাবিকভাবেই বয়স অনুযায়ী ফ্রেম সাইজের বিভিন্নতা দেখা যায়। ১০ বছর বা তার নিচে যাদের বয়স তাদের জন্য ১০ ইঞ্চি ফ্রেম, ১০ থেকে ১৫-১৬ বছর বয়সীদের সাধারণত ১৬-২০ ইঞ্চি এবং প্রাপ্তবয়স্কদের এর চেয়ে বড় ফ্রেমের সাইকেলের প্রয়োজন হয়। শেখার জন্য ও চালানোর সুবিধার্থে মাউন্টেন বাইকগুলোই তরুণদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়।
সাইকেলের বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানালেন গোল্ডেন হুইল বিডির উপদেষ্টা রাজ্জাক হিজবুল। দেশি ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে মেঘনা গ্রুপের স্টিল ফ্রেমের বাইকগুলো পাওয়া যাবে ৭-১১ হাজার টাকার ভেতর, অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেমের সাইকেলের দাম ১২ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। মেঘনা গ্রুপের ভ্যালোস, টেলাস, ডায়মন্ডব্যাক, কোর, র‌্যালি ইত্যাদি দেশি ব্র্যান্ডের সাইকেল বেশ জনপ্রিয় তরুণদের মধ্যে। পাবেন ১৩ থেকে ৩০ হাজার টাকায়।
লায়ন, লায়ন অপটিমাস, গোল্ডেন হুইল প্রভৃতি কোম্পানি সাইকেল আমদানি করে থাকে। বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আপল্যান্ডের দাম ২০-৬০ হাজার টাকা, ট্রেকের দাম ৩০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকার মতো আর মেরিডার দাম ১৮ থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে। এ ছাড়াও রকমেশিন, গোস্ট, ফরম্যাট প্রভৃতি বিদেশি ব্র্যান্ডের সাইকেলও বাজারে পাওয়া যায়। উন্নতমানের ফ্রক, দামি সাসপেনশন, শিফটার, গিয়ার কমবেশি হওয়া, ভালো মানের টায়ার, গতি ও ওজনের ভিন্নতার কারণে সাইকেলের দাম ওঠানামা করে থাকে। বংশালের বেশ কিছু দোকানের ধানমন্ডি তেজগাঁওসহ বিভিন্ন স্থানে শাখা রয়েছে।
সাইকেলের সঙ্গে এসব দোকানে কিনতে পাওয়া যাবে সাইকেল সাজানোর নানা সামগ্রীও। ফ্যাশনেবল হেলমেট, বাহারি হ্যান্ড গ্লাভস, স্ট্যান্ড, বেল, ফ্রন্ট লাইট, বটলকেস, মিটার, সুবিধামতো সিট কভার ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কিংবা শখের অনুষঙ্গ পাওয়া যাবে বংশালের অধিকাংশ সাইকেলের দোকানেই।

সাইকেল সারাতে
সাধারণত সাইকেল কেনার সময় সংশ্লিষ্ট দোকান বা কোম্পানি থেকে ছয় মাস বা এক বছরের ওয়ারেন্টি দেওয়া হয়। তবে যেখান থেকে সাইকেল কেনা হয়, ওয়ারেন্টি ছাড়াও অন্য যেকোনো সময় সাইকেলে কোনো সমস্যা হলে সে দোকানে সাইকেল সারানোর ব্যবস্থা রাখা হয়। সাইকেল সারানোর জন্য প্রধান দোকানগুলোও বংশালেই পাওয়া যাবে। বংশালের নাজমুল সাইকেল স্টোর নিয়মিত সাইকেলের বিভিন্ন সমস্যা ঠিক করে থাকে। তবে গাউসুল আযম মার্কেটের দোতলায় ‘সাইকেল হাব বিডি’, বিডি সাইক্লিস্টনিয়ন্ত্রিত গ্রিন রোডের ‘ক্যাফে সাইক্লিস্ট’, উত্তরায় ‘সাইকেল জোন’ ইত্যাদি দোকানে সাইকেলের বিভিন্ন সমস্যা সারানোর পাশাপাশি সাজানোর সামগ্রীও কিনতে পাওয়া যায়। মিরপুর, ধানমন্ডি এসব জায়গায়ও সাইকেল সারানোর কিছু ছোটবড় দোকান আছে। গিয়ার টিউনিং, টায়ার চেঞ্জ, ব্রেক-সম্পর্কিত জটিলতা, কোনো নির্দিষ্ট পার্ট অকেজো হওয়া সাধারণত এই সমস্যাগুলোতেই সাইক্লিস্টরা বেশির ভাগ সারাইখানার শরণাপন্ন হয়ে থাকেন।