গণশৌচাগার ব্যবহারে আপনি কতটা সচেতন

ভ্রমণে বের হলে অনেক সময়ই গণশৌচাগার (পাবলিক টয়লেট) ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল, ফিলিং স্টেশন, মহাসড়কের রেস্টুরেন্ট কিংবা বড় শহরের বিভিন্ন স্থানে পাবলিক টয়লেট থাকে। এ ছাড়া অফিস-আদালতে, স্কুল-কলেজে, মসজিদ-মাদ্রাসায়, হাসপাতালে, হোটেল-রেস্তোরাঁয়ও অনেককে টয়লেট ব্যবহার করতে হয়। এসব টয়লেট স্বাস্থ্যসম্মত না হলে মলমূত্রবাহিত রোগ, যেমন টাইফয়েড, কলেরা, ডায়রিয়া, আমাশয়, হেপাটাইটিস এ, কৃমি ইত্যাদি হতে পারে। টয়লেটের প্যান, কমোডে বসার স্থান, পানির কল, টয়লেট শাওয়ার, বদনা, দরজার লক বা ছিটকিনি, টয়লেটের মেঝে ও দেয়াল—সব জায়গায়ই এসব রোগের জীবাণু থাকতে পারে। এমনকি হতে পারে নানা ধরনের চর্মরোগও। কারণ, একই জায়গায় বহু মানুষের ত্বকের স্পর্শ লাগে। সুতরাং পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকা জরুরি:

• খালি পায়ে টয়লেটে যাবেন না। অবশ্যই জুতা পায়ে দিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করুন।

• টয়লেটের দরজা খুলতে বা বন্ধ করতে, পানির কল খুলতে বা বন্ধ করতে, বদনা ব্যবহার বা টয়লেট ফ্ল্যাশ ধরতে টিস্যু পেপার ব্যবহার করতে পারেন।

• টয়লেটে মলমূত্র ত্যাগের আগে অবশ্যই ফ্ল্যাশ টেনে বা পানি ঢেলে পরিষ্কার করে নিন।

• কমোডে বসার জায়গায় টিস্যু পেপার বিছিয়ে নিতে পারেন। তাতে সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পরে টিস্যুটি ফেলে দিন।

• টয়লেট ব্যবহারের পর আবার ফ্ল্যাশ টেনে বা পানি ঢেলে পরিষ্কার করুন।

• টয়লেটের মুখ বা ড্রেন বন্ধ হয়, এমন জিনিস, যেমন কাগজ, কাপড় ইত্যাদি টয়লেটে ফেলবেন না।

• মলমূত্র ত্যাগের পর ময়লা হাতে দরজার হাতল বা ছিটকিনি, কিংবা পানির কল ও বদনা ধরবেন না।

• টয়লেট ব্যবহারের পর অবশ্যই সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন। সাবান পাওয়া না গেলে যতক্ষণ পর্যন্ত হাত ধোয়া না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত ওই হাতে কোনো কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এমনকি নাক, মুখ বা চোখেও হাত লাগাবেন না।

• ভ্রমণ বা দূরের যাত্রার সময় হাতব্যাগে পাতলা কাগজের মতো সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে পারেন। পথে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে ফেলুন।

কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ, কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ

 আগামীকাল পড়ুন: প্রতিদিনের কাজে শিশু-কিশোরদের সঠিক দেহভঙ্গি

প্রশ্ন-ত্তর

প্রশ্ন: বয়স ২০ বছর। আমার কান দিয়ে পানির মতো কিছু একটা বের হচ্ছে, যা দেখতে অনেকটা পুঁজের মতো। আমি কী করতে পারি?

উত্তর: সম্ভবত আপনার কানে সংক্রমণ হয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিক ও কানের ড্রপ ব্যবহার করলে সেরে যাবে। সঠিক চিকিৎসার জন্য একজন নাক কান গলা বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন।

ডা. আফম হেলালউদ্দিন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

প্রশ্ন: আমার ছেলের বয়স ১৩ বছর। মাঝেমধ্যে তার মাথাব্যথা হয়। এ বিষয়ে কী করণীয়?

উত্তর: এ বয়সে মাথাব্যথার অনেক কারণের মধ্যে চোখের সমস্যা এবং সাইনোসাইটিস অন্যতম। রোগনির্ণয়ে বিস্তারিত ইতিহাস এবং শারীরিক পরীক্ষার প্রয়োজন। আপনি প্রথমে একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

ডা. রাশেদুল হাসান, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ