পূজায় আপ্যায়নে

শর্মিলা বসুঠাকুর। ছবি: নকশা
শর্মিলা বসুঠাকুর। ছবি: নকশা
>

পূজার সময় অতিথি বাড়িতে আসবে, তাদের আপ্যায়নও করতে হবে। সেই আপ্যায়ন হতে পারে একটু ভিন্ন স্বাদের। তেমনই কিছু পদের রেসিপি দিয়েছেন কলকাতাভিত্তিক সাময়িকী সানন্দার সাবেক সম্পাদক শর্মিলা বসুঠাকুর। তিনি একজন রন্ধনশিল্পী এবং রান্নার বইয়ের লেখকও।

মটরশাক দিয়ে কই মাছ
মটরশাক দিয়ে কই মাছ


মটরশাক দিয়ে কই মাছ

উপকরণ
বড় কই মাছ ৮টি, হলুদগুঁড়া ১ চা–চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা–চামচ, পেঁয়াজকুচি ৩ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৪-৫টি, তেজপাতা ২টি, শুকনা মরিচ ২টি, পাঁচফোড়ন ১ চা–চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, তেল পরিমাণমতো ও মটরশাক ছোট ১ আঁটি।

প্রণালি
মাছ কেটে লবণ ও হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিন। শাকের নরম ডগা বেছে নিন। পাত্রে তেল দিন। শুকনা মরিচ, তেজপাতা, পাঁচফোড়ন দিন। বেশ সুগন্ধ বেরোলে পেঁয়াজ দিন। নাড়তে থাকুন। সামান্য পানিতে গুলে হলুদ ও মরিচগুঁড়া দিন। কম আঁচে মসলা কষে শাক দিন। নাড়াচাড়া করে পানি দিন। নুন ও চিনি দিন। ফুটে উঠলে মাছ ছাড়ুন। গা মাখা ঝোল থাকতে কাঁচা লঙ্কা দিয়ে নামিয়ে নিন।

ছানা বেগুন
ছানা বেগুন


ছানা বেগুন

উপকরণ

বেগুন ১টি, ছানা ১০০ গ্রাম, টমেটোকুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচকুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, আটা সামান্য, তেল ভাজার জন্য।

প্রণালি

বেগুন গোল গোল করে কেটে মাঝের শাঁস ছুরি দিয়ে হালকা হাতে বের করে কুচিয়ে নিন। পাত্রে তেল ও পেঁয়াজ দিন। বেশ রং ধরলে বেগুনকুচি, টমেটোকুচি, লবণ ও চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। পুর তৈরি হয়ে এলে ধনেপাতাকুচি আর কাঁচা মরিচকুচি দিয়ে নামিয়ে নিন। এবার গোল করে কাটা বেগুনের মাঝখানে এই পুর ভরে সামান্য আটা ছড়িয়ে কম তেলে ভাজুন।

বিবিখানা
বিবিখানা


বিবিখানা

উপকরণ

নারকেল ১টি (কোরা), পাটালি গুড় ৩০০ গ্রাম , সেদ্ধ চালের গুঁড়া ২০০ গ্রাম, আতপ চালের গুঁড়া ১০০ গ্রাম ও দুধ ১৫০ মিলিলিটার।

প্রণালি
নারকেল কোরা, গুড়, চালের গুঁড়া ও দুধ একসঙ্গে ভালো করে মেখে নিন। এরপর বেকিং পাত্রে ঢেলে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২০ মিনিট বেক করুন। গুড়ের রস দিয়ে পরিবেশন করুন।

সর গোলমরিচে মাটন কারি
সর গোলমরিচে মাটন কারি


সর গোলমরিচে মাটন কারি

উপকরণ

খাসির মাংস ৫০০ গ্রাম, ছোট পেঁয়াজ ১৫টি, গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা–চামচ, তেজপাতা ১টি, গোটা গরমমসলা বেশ কিছুটা, চিনি ১ চা–চামচ, দুধের সর ৩ টেবিল চামচ, ঘি ৩ টেবিল চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি
দুধের সর, লবণ ও গোলমরিচগুঁড়া দিয়ে মাংস মেখে রাখুন। পাত্রে ঘি দিন। তেজপাতা ও গরমমসলা ফোড়ন দিন। গোটা পেঁয়াজ দিন। রং ধরলে মাংস দিন। বেশ ভাজা ভাজা করুন বেশি আঁচে। এরপর সামান্য গরম জল, চিনি দিয়ে কম আঁচে ঢেকে দিন। দরকার হলে প্রেশার কুকারে রান্না করুন। ওপরে সর সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

মোহন পোলাও
মোহন পোলাও


মোহন পোলাও

উপকরণ
বাসমতী চাল ৫০০ গ্রাম, ঘি ৫ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ৩ টেবিল চামচ, আমন্ড বাদামকুচি ৪ টেবিল চামচ, কিশমিশ ৪ টেবিল চামচ, মিছরি ২৫০ গ্রাম, গরমমসলা বেশ কিছুটা, তেজপাতা ২টি, জল চালের দ্বিগুণ পরিমাণ, জাফরান সামান্য, দুধ ৪ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো ও গন্ধলেবুর রস ৩ টেবিল চামচ।

প্রণালি
দেড় কাপ জলে মিছরি, গোটা গরমমসলা, বেশ কিছুটা কিশমিশ দিয়ে ফোটান। গরম জলে ভেজানো জাফরান সামান্য দিন। এই কিশমিশের শিরা আলাদা রাখুন। চাল ধুয়ে শুকিয়ে নিন। পাত্রে ঘি দিন। তেজপাতা, গরমমসলার ফোড়ন দিন। পেঁয়াজকুচি দিন। লালচে রং ধরলে চাল দিন। ভালো করে নাড়াচাড়া করুন। লবণ, বাদাম, কিশমিশ, দুধ দিয়ে ভালো করে মেশান। কম আঁচে রান্না করুন। জল, কিশমিশের শিরা দিয়ে ঢেকে দিন। জল শুকিয়ে ভাত ঝরঝরে হলে বাকি কিশমিশ, গন্ধলেবুর রস দিয়ে নামিয়ে নিন।