মোজায় পায়ের ওম

ছবি : নকশা
ছবি : নকশা

তীব্রতা তেমন বাড়েনি এখনো, তবুও শীত চলে এসেছে। শীতে নিশ্চয়ই এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন নিজেকে মুড়িয়ে রাখার? কানটুপি, সোয়েটার, শাল, দস্তানা আরও যা লাগে সেসব কিনে ফেলার মোক্ষম সময় এটা। এগুলোর সঙ্গে বাদ যাচ্ছে না পায়ের মোজাজোড়াও।

বছর বছর একই ধরনের মোজা পায়ে শীত কাটিয়ে দেওয়ার অভ্যাসে ত্যক্ত-বিরক্ত হতে হয় না এখন আর। বাজারে নানা ধরনের, নানা নকশার মোজা পাওয়া যায়। মনের মতো মোজাজোড়া বাজারে খুঁজতে একটু কষ্ট করতে হয় বৈকি। তবে এই সমস্যা উত্তরণের উপায়ও আছে এখন। অনলাইনভিত্তিক দোকানেও পেয়ে যাবেন নানা নকশার পা মোজা।

মোজার নকশাতেও এসেছে বৈচিত্র্য
মোজার নকশাতেও এসেছে বৈচিত্র্য

মোজার চলতি ধারা
একটা সময় শুধু নানা রঙের মোজা পাওয়া যেত। এখন সেই রঙের সঙ্গে যোগ হয়েছে ঢং। অর্থাৎ, নকশা। এসেছে আকৃতির ভিন্নতা। দৈর্ঘ্যের বেশ-কম মূলত এখনকার মোজার মূল আকর্ষণ। এরপর হচ্ছে নকশা। ফুলেল বা জ্যামিতিক নকশা কিংবা অন্য কিছু ফুটে উঠছে চলতি ফ্যাশনের মোজায়। গুণগত মান নিশ্চয়ই ক্রেতারা যাচাই করে নেবেন।

ব্যালেরিনা মোজা দেখা যাচ্ছে ফ্যাশনের চলতি ধারায়। মডেল: কেয়া, ছবি: নকশা
ব্যালেরিনা মোজা দেখা যাচ্ছে ফ্যাশনের চলতি ধারায়। মডেল: কেয়া, ছবি: নকশা

যাঁর যেমন পছন্দ
শীতের জন্য গৃহিণী শায়লা রহমান পছন্দ করেন লম্বা মোজা। হাঁটুর নিচ পর্যন্ত লম্বা মোজা পরে থাকলে পায়ের শীত দমন করা যায় বলে তাঁর ভাষ্য। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিশাত তাসনিমের ভালো লাগে খাটো মোজা, যেটাকে ব্যবসায়ীরা ডাকেন ব্যালেরিনা মোজা।

তরুণীদের কাছে ব্যালিরিনা মোজার চাহিদা বেশি। নিশাত বলেন, ‘আমার বন্ধুরাও এটা পছন্দ করে।’ খায়রুল হাসানের অফিসে যেতে সারা বছরই পায়ে মোজা পরতে হয়। তিনিও পছন্দ করেন পায়ের গোড়ালি অবধি খাটো মোজা। নকশার ব্যাপারে সবাই সচেতন। ঘরে, বেড়াতে যাওয়ার আর দপ্তরে ব্যবহারের মোজায় পার্থক্য থাকা চাই।

মিলবে যেখানে

রাজধানীর বদরুদ্দোজা মার্কেটের বেশ কয়েকটি দোকানে পাওয়া যাবে ভিন্ন ভিন্ন নকশা ও আকৃতির মোজা। কাপড়েও পাবেন ভিন্নতা। ভিনদেশি মোজা পাবেন অনলাইনে। ফেসবুকে সকস ইন্স. বাংলাদেশ পেইজে বা সকস ইউজার অব বাংলাদেশ গ্রুপে গিয়ে নানা রংঢঙের মোজা ফরমাশ করতে পারবেন।