পায়ে পায়ে পাটের জুতা

রুচিশীল পাটের জুতা। মডেল: প্রিয়ম
রুচিশীল পাটের জুতা। মডেল: প্রিয়ম

রুচিশীল, নান্দনিক—পাটের পণ্যে এ দুটো শব্দ এখন যেন ভালো করেই ফুটে উঠছে। চাহিদা তো কমেনি, উল্টো বেড়েছে। পাটের ব্যবহার এখন বহুমুখী। আড়াই শর বেশি পণ্য তৈরি হয় আমাদের এই সোনালি আঁশ থেকে। এসবের মধ্যে আছে পাটের জুতা। স্টাইল ও ঐতিহ্য—দুটোই থাকায় পায়ে পায়ে পাটের জুতা দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কৃতজ্ঞতা:  জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার
কৃতজ্ঞতা: জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার

পাটের ব্যবহার বাড়াতে এবং এর প্রসারের জন্য বছরজুড়েই পাটপণ্যের প্রদর্শনী হয় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি)। পাটের নিজস্ব সৌন্দর্য ও চলতি ধারার ফ্যাশনের মিশেলে তৈরি জুতার জনপ্রিয়তা এখন অনেকটাই বেড়েছে। বিশেষ করে শীতে পাটের জুতা ব্যবহারে আরাম ও উষ্ণতা—দুটোই পাওয়া যায় বলে ক্রেতাদের চাহিদাও থাকে বেশি—জানালেন জেডিপিসির পরিচালক মঈনুল হক। 

শীতে আরাম দেবে পাটের মুখবন্ধ জুতা
শীতে আরাম দেবে পাটের মুখবন্ধ জুতা

জেডিপিসি ঘুরে দেখা গেল প্রায় ১৫টি নকশার জুতা রয়েছে। মেয়েদের জুতার মধ্যে রয়েছে হাই হিল, হাতে সেলাই ও ছাপা নকশার স্লিপার, পাম্প শু, ফিতা দেওয়া স্যান্ডেল, নাগরা। তবে শীতকালে পা আটকানো পাম্প শু ও নাগরার চাহিদা থাকে বেশি।

এ ছাড়া ছেলেদের জন্য কনভার্স জুতা, ফরমাল শু, চপ্পল, স্যান্ডেল ও স্নিকার দেখা গেছে। রঙের মধ্যে প্রাধান্য পেয়েছে লাল, গোলাপি, কালো, সাদা, আকাশি ও পাটের প্রাকৃতিক রং। রয়েছে ঘরে ব্যবহারের জন্য স্লিপার ও শিশুদের জুতা।

পরিবেশবান্ধব পাটের জুতাগুলো নকশা করেন আমাদের দেশীয় উদ্যোক্তারা। ক্রেতারা চাইলে ফরমাশও দিতে পারেন পছন্দের নকশা করা জুতার। জন্মগতভাবেই পাট উষ্ণ হওয়ায় শীতের সময়ে এই জুতার চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যায় বলে জানালেন জিডিপিসির এক বিক্রয়কর্মী। 

শীতে আরাম দেবে পাটের মুখবন্ধ জুতা
শীতে আরাম দেবে পাটের মুখবন্ধ জুতা

পাটের জুতার যত্ন

● ব্যবহারের পর হালকা রোদে শুকিয়ে রাখতে হবে। 

● পানি দিয়ে পরিষ্কার না করাই ভালো। তবে ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে রোদে শুকিয়ে নেওয়া যাবে। 

● পাটের জুতা বর্ষাকালে ব্যবহার না করে মূলত শীতকাল বা শুকনা মৌসুমে ব্যবহার করা উচিত। 

● বেশি ধুলা–ময়লায় গেলে অল্প পানি ও ব্রাশ ব্যবহার করলে জুতা অনেক দিন টিকবে। 

দামদর 
মেয়েদের জুতার দাম ১০০০ টাকার ভেতরে। ছেলেদের জুতা ৩০০ থেকে ১২০০ টাকার ভেতরে পাওয়া যাবে। শিশুদের জুতা ৪০০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া স্লিপারের দাম পড়বে ৮০ টাকা।