আপনার রাশি

কাওসার আহমেদ চৌধুরী
কাওসার আহমেদ চৌধুরী

আপনি নিজেই আপনার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন শতকরা ৯০ থেকে ৯৬ ভাগ। বাকিটা আমরা ফেট বা নিয়তি বলতে পারি। ভাগ্য অনেক সময় অনির্দিষ্ট কারণে আপনা থেকেও গতিপথ বদলাতে পারে। এখানে রাশিচক্রে আমি ‘নিউমারলজি’ বা ‘সংখ্যা-জ্যোতিষ’ পদ্ধতি প্রয়োগ করেছি।

মেষ ২১ মার্চ-২০ এপ্রিল। ভর # ৬
জার্মানির অ্যাডলফ হিটলার ছিলেন ইতিহাসের এক কুখ্যাত গণহত্যাকারী। তাঁকে বলা হতো ইউরোপের ‘পাগলা কুকুর’। জার্মানিকে তিনি উন্নতির শিখরে নিয়ে গিয়ে আবার তার ধ্বংসের কারণ সৃষ্টি করেন। অথচ অবাক কাণ্ড, অল্প বয়সে তিনি ছবি আঁকতেন এবং সংগীতের পূজারি ছিলেন। আমার ছেলের দ্বিতীয় ভায়রা জাতিতে জার্মান। মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশে আসে। একেবারেই অহিংস এক তরুণ। হিটলারের নাম সহ্য করতে পারে না। অধুনালুপ্ত নাৎসি পার্টির অনেকে সমালোচনা করেন। আমি কিন্তু ছোটবেলায় না বুঝেই হিটলারের ভক্ত হয়ে উঠেছিলাম। তাঁকে খুব বীর ভাবতাম। প্রিয় মেষ, মানুষের প্রকৃত পরিচয় জানতে চেষ্টা করুন এবং সেইভাবে তাঁর সঙ্গে চলুন।

বৃষ ২১ এপ্রিল-২১ মে। ভর # ১
সিলেট শহরে আমাদের বাড়িটা ছিল যেন একটি বাগানবাড়ি। বিশাল প্লটের দুই প্রান্তে দুটি পুকুর, অসংখ্য গাছগাছালি আর ছিল আমার বাবার হাতে লাগানো নানান জাতের ফুলের গাছ। আমি যে রুমটায় থাকতাম, তার বাইরের দিকের দেয়ালে ছিল একটি অপরাজিতার লতা। অপরাজিতা ফুলগুলো আমাকে যেন সম্মোহিত করে ফেলত। তখন থেকেই ওই ফুলগুলোই আমার সবচেয়ে প্রিয় ফুল। দীর্ঘ যুগ অপরাজিতা আমি দেখিনি। টিভি সাংবাদিক প্রভাষ আমিন ফেসবুকে নিয়মিতভাবে ফুল প্রদর্শন করেন। তাঁকে বলেছিলাম, অপরাজিতা দেখাতে পারেন? তিনি দেখালেন। সেই সঙ্গে দেখালেন একটা সাদা অপরাজিতা। আমি তো অবাক! এই সুযোগে প্রভাষ আমিনকে পুনর্বার একটা ধন্যবাদ জানাই। প্রিয় বৃষ, ফুল মানুষের মনকে অপার্থিব আনন্দে ভরে দেয়। উপহার হিসেবে ফুলের কোনো তুলনা হয় না। সুযোগমতো ফুলের চাষ করুন, মানুষকে ফুল উপহার দিন। চলতি সপ্তাহের ৮০ ভাগ আপনার ভালো কাটবে।

মিথুন ২২ মে-২১ জুন। ভর # ৬
বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ একটি আধুনিক গান হচ্ছে শাফাত খৈয়ামের লেখা এবং আমার বন্ধু মোহাম্মদ শাহনেওয়াজের সুর করা: জীবনানন্দ হয়ে/ সংসারে আজও আছি। গানটি সবাই জানেন, গেয়েছেন আমাদের এক মহান শিল্পী নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী। এই গানকে সেরা গান কেন বললাম, তা গানটি শুনলেই আপনি বুঝবেন। আহা, কী কথা, কী সুর আর কী গাওয়া! প্রিয় মিথুন, এ সপ্তাহে আপনার জন্য গানটি শোনার অনুরোধ রাখলাম। আপনার মনে কোনো বেদনা থাকলে তা চলে যাবে।

কর্কট ২২ জুন-২২ জুলাই। ভর # ২
দীর্ঘ যুগ আগে কলকাতার প্রয়াত কণ্ঠশিল্পী সুধীর লাল চক্রবর্তী গেয়েছিলেন: মধুর আমার মায়ের হাসি/ চাঁদের মুখে ঝরে/ মাকে মনে পড়ে আমার/ মাকে মনে পড়ে। ছোটবেলায় গানটি শুনতাম আমার মেজ বোনের কণ্ঠে। অসম্ভব দরদ দিয়ে তিনি গান। প্রিয় কর্কট, চলতি সপ্তাহে আপনার অনেক অতীত স্মৃতি মনে পড়বে।

সিংহ ২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট। ভর # ১
চলতি সপ্তাহে হাতের কোনো কাজ অবহেলায় ফেলে রাখবেন না। রাখলে পস্তাতে হবে। কাজকর্মে এ সপ্তাহে আপনার ৬০ ভাগ সাফল্য আসবে। তবে মানুষের ভালোবাসা পাবেন সংখ্যায় ১০০ ভাগ।

কন্যা ২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর। ভর # ২
কন্যা নারী-পুরুষের সৌভাগ্য এখন তুঙ্গে। তবে চলতি সপ্তাহে তাদের একটু মনঃকষ্টের কারণ ঘটতে পারে। ওটাকে অবজ্ঞা করতে বলি।

তুলা ২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর। ভর # ২
তুলার মানবতাবোধ তাঁকে খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে যায়। চলতি সপ্তাহে তুলা কমপক্ষে একটি কাজ করবেন, যা দ্বারা তিনি তাঁর জনপ্রিয়তা বহুগুণ বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

বৃশ্চিক ২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর। ভর # ২
অনেকেই আছে, যারা অন্যের লেখা, সংগীত ইত্যাদিকে অবলীলায় নিজের নামে চালিয়ে দেয়। লেখা চুরির একটা সুন্দর বাংলা আছে—কুম্ভীলক। এটা একটা মানসিক রোগ। এদের লাজলজ্জা বলে কিছু থাকে না। ধরা পড়তে পারে জেনেও তারা কাজটা করে। প্রিয় বৃশ্চিক, এ ধরনের চোরকে চিনতে পারলেই ধরিয়ে দিন। এটাই আপনার এ সপ্তাহের কাজ।

ধনু ২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর। ভর # ৯
আমার যেকোনো সাক্ষাৎকারে প্রায় আমি একটা কথা বলি: আমি সারা জীবন এক স্টেশনের টিকিট কেটে অন্য স্টেশনে নেমে গেছি। প্রিয় ধনু, আপনি কিন্তু এ রকম করবেন না। লক্ষ্য ঠিক রাখবেন। তা না হলে আপনার জীবনটা আমার মতোই ছ্যাড়াবেড়া হয়ে যাবে। মনে থাকবে তো?

মকর ২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি। ভর # ৩
বেশির ভাগ মকরের জন্ম হয়েছে পৃথিবীতে জয়ী হওয়ার জন্য। সব মকরকে কথাটি মনে রাখতে হবে।

কুম্ভ ২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি। ভর # ৯
আপনি বাইরের মানুষের মধ্যে পরিবর্তন আনার ক্ষমতা রাখেন। তবে আগে আপনাকে পরিবর্তনটা আনতে হবে নিজের মধ্যে। কথাটি শুধু এ সপ্তাহে নয়, সারা জীবনই মনে রাখবেন।

মীন ১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ। ভর # ৩
অতীতের ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ। অতীতকে না জানলে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার বুঝতে পারব না। গন্তব্য হবে ভুল। কাজেই প্রিয় মীন, অতীত জানতে ইতিহাস পড়ুন। সঠিক ইতিহাসের দিকে পা বাড়ান। তাহলে আপনার গন্তব্য আলোয় উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।