শিশুর রাঙা বসন্ত

শিশুরাও বেড়াবে পহেলা ফাল্গুনে। মডেল: আয়ানা, নোরা ও জেরিন, পোশাক: রঙ বাংলাদেশ, ছবি: খালেদ সরকার
শিশুরাও বেড়াবে পহেলা ফাল্গুনে। মডেল: আয়ানা, নোরা ও জেরিন, পোশাক: রঙ বাংলাদেশ, ছবি: খালেদ সরকার

দরজায় ছুঁই–ছুঁই করছে বসন্ত। বসন্তবরণে আয়োজনের কমতি নেই। বড়দের সবার এত এত আয়োজনে কি গোমড়ামুখে বসে রইবে ছোটরা? যাদের চোখেমুখে ভাসে রঙিন স্বপ্ন, তাদের জন্যই তো থাকতে হবে রঙিন আয়োজন সবার প্রথমে। মাত্র কটা দিন পরেই গালে আলপনা এঁকে বাবা–মায়ের হাত ধরে ঘুরতে যাওয়ার সময় এল বলে! রঙ্গিলা নতুন পোশাকে ফুটফুটে ফুলের মতো ফুটে থাকা কচি মুখের হাসির মতো সুন্দর দৃশ্য খুব কমই আছে। শিশুর হাসির ফুলঝুরিতেই উৎসব হয়ে ওঠে আরও রঙিন, প্রাণবন্ত, উচ্ছল। 

মডেল: আবিয়ান ও জেরিন
মডেল: আবিয়ান ও জেরিন

ফুঁ দিয়ে বাতাসে বাবল ছড়ানো, নাগরদোলায় চড়া, নয়তো বায়োস্কোপ দেখা। সবকিছুতে বিস্ময় লেগেই থাকে ওদের চোখেমুখে। নানান আয়োজনে নিজেদেরও থাকে অংশগ্রহণ। আর বেড়াতে বেরিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় হরহামেশা। ওরাও বলাবলি করে, বাহ, তোর জামাটা দারুণ তো! কিন্তু এই ‘দারুণ’ জামার খোঁজ পেতে বাবা–মাকেও কম কাঠখড় পোড়াতে হয় না। শাড়ি, জামা, ফ্রক, টপস নাকি অন্য কিছু? কেমন হবে এ বছরের সোনামণির পোশাক?

পোশাক: শৈশব
পোশাক: শৈশব

দেশালের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার ইশরাত জাহান জানান, এ বছর ফাগুনরঙা মানে হলুদের কয়েক শেডের বেশ কিছু পোশাকের পসরা সাজিয়েছে তাঁর প্রতিষ্ঠান। ফ্রক, টপস ছাড়াও টু ও থ্রিপিসও আছে সেই কাতারে। ফ্রকে অনেক কুঁচির ব্যবহারে শিশুদের ফুলের মতো করে প্রস্ফুটিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। হাতার কাটে এসেছে বৈচিত্র্য। পায়জামায় ঢোলনকশা করে তুলেছে স্বতন্ত্র। আছে গ্রামীণ চেকের পোশাকে গ্রামীণ আবহ। তবে সব পোশাকেই সাধারণ কাটিং রাখা হয়েছে। 

শৈশব বাংলাদেশের প্রধান ডিজাইনার মোহাম্মদ সামিদ জানিয়েছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানে একেবারে ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে ১৩ বছরের কিশোর-কিশোরীদের পোশাক তৈরি করছে। শাড়ি, জামা, ফ্রক, ঘাগরা, পায়জামা, পাঞ্জাবি, ফতুয়া—সবকিছুই আছে ফাল্গুনী কালেকশন। মেয়েদের শাড়িতে এ বছর টাইডাই ও ব্লকের কাজ বেশি হয়েছে। প্রতিটি শাড়ির কুঁচি সেলাই করা আছে যাতে পরতে ও সামলাতে ঝামেলা পোহাতে না হয় আর সেই সঙ্গে বয়স অনুযায়ী শিশুদের শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ দেওয়া থাকে। জামায় ব্লক, এমব্রয়ডারি ও স্ক্রিন প্রিন্ট প্রাধান্য পেয়েছে। মেয়েদের সালোয়ার এসেছে রাজস্থানি ও প্যান্ট কাটিং। পাঞ্জাবি ও ফতুয়ায় টাইডাই ও স্ক্রিন প্রিন্ট প্রাধান্য পেলেও রাখা হয়েছে সাধারণ সালোয়ার। তবে চাইলে চুড়িদার সালোয়ার কিনে নেওয়া যেতে পারে। আবার পাঞ্জাবির সঙ্গে পরার জন্য কোটি বেছে নেওয়ার সুযোগ তো রইলই। 

এ ছাড়া আড়ং, কে-ক্রাফট, রঙ বাংলাদেশ, লা রিভসহ বেশ কিছু শোরুমে মিলবে শিশুদের উপযোগী পোশাক। আর ইচ্ছে করলে অনলাইন থেকে কেনার জন্য ইন্টারনেটের অবাধ দুনিয়ার হাতছানি তো আছেই। অপেক্ষা শুধু কিনে নেওয়ার। এবার ছোটরাও রাঙানো বসন্ত ছড়াক দিকে দিকে পছন্দের পোশাককে সঙ্গী করে।