আপনার রাশি
আপনি নিজেই আপনার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন শতকরা ৯০ থেকে ৯৬ ভাগ। বাকিটা আমরা ফেট বা নিয়তি বলতে পারি। ভাগ্য অনেক সময় অনির্দিষ্ট কারণে আপনা থেকেও গতিপথ বদলাতে পারে। এখানে রাশিচক্রে আমি ‘নিউমারলজি’ বা ‘সংখ্যা-জ্যোতিষ’ পদ্ধতি প্রয়োগ করেছি।
মেষ ২১ মার্চ-২০ এপ্রিল। ভর # ৬
এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অবসরজীবনে কী করবেন ভাবছেন। বন্ধু পরামর্শ দিলেন: লেখক হয়ে যা। বই লেখ। চাকরিজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখ। ভদ্রলোক জবাব দিলেন: চাকরি তো সবাই করে। অভিজ্ঞতা একই। বন্ধুটি বললেন: এক কাজ কর, গালিগালাজের ওপরে বই লেখ। নাম দে—‘আদর্শ গালিগালাজ শিক্ষা’। বইমেলায় এই বইয়ের খুব কাটতি হবে। তুই পয়সা রাখার জায়গা পাবি না। প্রিয় মেষ, এ রকম কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ করতে আমি আপনাকে বলি না। তবে এইটুকু বলি, অবসরে যান বা না যান, কাজের মধ্যে থাকুন। কাজই বেঁচে থাকার একমাত্র মন্ত্র।
বৃষ ২১ এপ্রিল-২১ মে। ভর # ১
বৃষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালিকে বাংলা ভাষা শিখিয়েছেন। বাঙালি হয়ে উঠতে শিখিয়েছেন, কিন্তু আমি দীর্ঘজীবন থেকে ভেবেছি, তিনি কেন নিজের নামের পদবিতে ঠাকুর না লিখে টেগোর লিখতেন? আমার কাছে এটা অসংগতিপূর্ণ। প্রিয় বৃষ, চলতি সপ্তাহে সামঞ্জস্য বজায় রেখে চলবেন।
মিথুন ২২ মে-২১ জুন। ভর # ৬
ভাগ্যে জানার উপায় নামে আমার একটি এক শ পৃষ্ঠার ছোট বই আছে। এবারেও বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমা প্যাভিলিয়নে। প্যাভিলিয়ন নম্বর ১৫। এই বইতে ভাগ্যের ওপর খাদ্যের প্রভাব নামে ছোট একটি অনুচ্ছেদ আছে। খুব গুরুত্বপূর্ণ। মিথুনের মাধ্যমে সবাইকে আমি ওই অনুচ্ছেদসহ পুরো বইটি পড়তে অনুরোধ করি। বইয়ে অনেকটি অবাক হওয়ার মতো কেস স্টাডি আছে। বিনোদন হলেও ওগুলো সত্য ঘটনা।
কর্কট ২২ জুন-২২ জুলাই। ভর # ২
ভ্যালেন্টাইন ডে আমার কাছে আলাদা কোনো দিন নয় এবং দিনটাকে আমি বন্ধুত্ব দিবস হিসেবে গণ্য করি। প্রিয় কর্কট, আশা করি শুক্রবারের ভ্যালেন্টাইন ডে আপনার ভালো কেটেছিল। দিন, মাস, বছরটাও ভালো কাটবে। ভালোবাসার মধ্য দিয়ে থাকবেন সারা জীবন।
সিংহ ২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট। ভর # ১
অনেকেই আছেন—জ্যোতিষশাস্ত্রে যাঁদের বিশ্বাস নেই, আমি তাঁদের শ্রদ্ধা করি। নিয়তি আমাকে জ্যোতিষী করেছে। আমি তা হতে চাইনি। আমি নিজেকে প্রধানত একজন মোটিভেটর, পরামর্শক ইত্যাদি হিসেবে ভাবি। প্রিয় সিংহ, ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি খুব একটা মাথা ঘামাই না। আপনিও তা–ই করবেন। ভাগ্যটা নিজের হাতে গড়ে নেবেন।
কন্যা ২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর। ভর # ২
শুনলাম বসন্ত নাকি এসেছে। ফুলের ছবিতে ভেসে যাচ্ছে ফেসবুক। এসব দেখে মনটাকে রঙিন করে ফেলুন। বাইরে যান, গাছপালা এবং শিশুদের দেখুন। এটাই বসন্ত, এটাই ফাল্গুন।
তুলা ২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর। ভর # ২
অনেক শিশুরই আইডেন্টিটি ক্রাইসিস থাকে। ওরা ‘আমি’ কথাটা ব্যবহার করতে জানে না। আমার দুই বছরের নাতনি বলে: তৃয়া যাবে, তৃয়া মা যাবে; অর্থাৎ ও মায়ের কাছে যেতে চায়। শিশুদের ব্যাকরণের ভুলও আমাদের মন আনন্দে ভরিয়ে দেয়। ওদের ওই ভুলই শুদ্ধেরও বেশি কিছু শুদ্ধ হয়ে কানের মধ্যে গানের মতো বাজে। সুন্দর হোক আপনার জীবন।
বৃশ্চিক ২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর। ভর # ২
সকালে ঘুম থেকে উঠে ধুমধাম বিকট সংগীত শুনবেন না। ঠান্ডা গান শুনুন। বিশেষ করে রবীন্দ্রসংগীত। মন স্নিগ্ধ এবং শান্ত হবে, বাকি দিনটা চমৎকারভাবে কাটবে। একবার পরীক্ষা করেই দেখুন না।
ধনু ২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর। ভর # ৯
আমাদের দেশের প্রথিতযশা নজরুলগীতিশিল্পী ও শিক্ষক সুজিত মোস্তফা একজন সুলেখকও বটে। আজকাল নানা অনুষ্ঠানে যে বিকট আওয়াজ করে গানবাজনা হয়, তিনি এর বিরোধী। আমিও তা–ই। ওটা তো একটা অত্যাচার। বিনা দোষে পাওয়া সাজা। এ ছাড়া খুব চিৎকার করে যেসব গান গাওয়া হয়, সেসব আমার ভালো লাগে না। প্রিয় ধনু, গান শোনার রুচিটা ঠিক করে নিন।
মকর ২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি। ভর # ৩
ধৈর্যশীল মকর আরেকটু অপেক্ষা করুন। ফিরে আসছে আপনার হাসি ও আনন্দের দিন। একটুখানি কেবল প্রতীক্ষা।
কুম্ভ ২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি। ভর # ৯
ফেসবুকে দেখি আর ভাবি: লাইক দিয়েছেন যিনি, কমেন্ট দেবেন তিনি—কথাটা পাই জীব দিয়েছেন যিনি, আহার দেবেন তিনি। আমার কথাটা কি ভুল, প্রিয় কুম্ভ? সপ্তাহ আপনার ভালোই যাবে।
মীন ১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ। ভর # ৩
আমার একটা ধারণা এই যে অঙ্কে মীন রাশির অনেক ভালো ভালো কথা আসে। সেইভাবে আমি লিখি। অনেক সময় এক লাইন দুই লাইনে যা লিখি, মেধাবী মীন যদি তা ব্যাখ্যা করেন—তাহলে দেখবেন, অনেক দীর্ঘ হবে সেই ব্যাখ্যা। জীবন সম্পর্কে একটু পজিটিভ মনোভাব গ্রহণ করুন। আপনার জীবন তো কিছুতেই ব্যর্থ হবে না। জয় হোক!