পোশাকে লিখি বর্ণমালা

মডেল: সাহমির, জাকিয়া ঊর্মি ও জেরিন, শাড়ি: সাদা কালো, ছবি: সুমন ইউসুফ
মডেল: সাহমির, জাকিয়া ঊর্মি ও জেরিন, শাড়ি: সাদা কালো, ছবি: সুমন ইউসুফ

অ-তে অক্ষর, ক-তে কলম, ব-তে বাংলা। বর্ণমালা, মমতায় মাখা এক অব্যক্ত আবেগ। বাঙালির অহংকারের আরেক নাম একুশ। বড়দের হাত ধরে শিশুদের মধ্যেও সেই আবেগ সঞ্চারিত হয়। সাদা–কালো পোশাক জড়িয়ে ওরাও বিস্ময় নিয়ে শহীদ মিনারে যায় শ্রদ্ধা জানাতে।

ছোটবেলায় একুশের দিনে পরার জন্য মা আমাদের সুই-সুতায় ফোঁড় তুলে শহীদ মিনারের প্রতিচ্ছবি সেলাই করে দিতেন জামায়, শাড়িতে বা পাঞ্জাবিতে। কখনো থাকত জাতীয় পতাকা। শত ব্যস্ততার মধ্যে এখনো কিছুটা সময় বের করে টি-শার্ট রাঙিয়ে তোলা যেতেই পারে।

সাদা, কালো ও লাল—সাধারণভাবে তিনটি রং একুশের পোশাকের জন্য ব্যবহৃত হয়। শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফ্রক, সালোয়ার–কামিজ, নয়তো টি-শার্ট—বেছে নেওয়া যাবে যেকোনোটি। যে পোশাকে বর্ণমালা আঁকতে চান, সেটি সুতি বা গেঞ্জি কাপড় হলে দারুণভাবে বসবে রং। আবার এসব কাপড়ে রং ছড়িয়ে যায় না বলে, কাজ করতেও সুবিধা। প্রথমে কাগজে বর্ণমালার অক্ষর লিখে নিলে কাজ করতে সুবিধা হবে। ইচ্ছেমতো যেকোনো অক্ষর, চাইলে শিশুর নামের আদ্যক্ষর ব্যবহারেও ওরা আনন্দিত হবে।

শিশুর হাতে অাঁকা অক্ষর ফুটে উঠুক পোশাকে
শিশুর হাতে অাঁকা অক্ষর ফুটে উঠুক পোশাকে

যে পোশাকে রং করতে চান, সেটির ওপর কার্বন পেপার রেখে ওপরে বর্ণমালা লেখা কাগজ রাখতে হবে। পেনসিল বা কলম দিয়ে বর্ণমালার ওপর আঁকলে সেই ছাপ আঁকা হয়ে যাবে কাপড়ে। এবার অ্যাক্রেলিক রং কিংবা ব্লক রঙের কৌটায় তুলি ডুবিয়ে সাদা পোশাকে লাল ও কালো রং ব্যবহার করতে পারেন।

শুধু কালো রং বা সাদা রং দিয়েও বর্ণমালা রং করা যাবে। রং করা শেষে সারা দিন বাতাসে মেলে রাখলেই গায়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে একুশের পোশাক। নিজের পোশাক এঁকে নেওয়ার সময় একুশে ফেব্রুয়ারির ইতিহাসের কথা শুনতে শুনতে শিশুরা খেলাচ্ছলে শিখবে ভাষার প্রতি সম্মান জানানো। পাশাপাশি নিজের রাঙানো পোশাক গায়ে জড়ানোর উচ্ছ্বাস তো রইলই।